এরদোয়ান
এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী ডক্টর রেবেকা সুলতানা।
শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন এরদোয়ান।
৭৭টি দেশের নেতারা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এরদোয়ান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
শপথ গ্রহণের পরপরই প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আধুনিক তুর্কি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের সমাধি পরিদর্শন করেন। পরে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে ন্যাটো এবং অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)সহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তুরস্কে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
১ বছর আগে
এরদোয়ান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান রবিবার তার দেশের রানঅফ নির্বাচনে বিজয় অর্জন করেছেন। এ নিয়ে তিনি ক্রমবর্ধমান শাসনকে তৃতীয় দশকে প্রসারিত করলেন।
সংবাদ সংস্থাগুলোর অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যায় প্রায় ৯৯ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ফলাফলে তিনি এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২ শতাংশ ভোট আর প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ ভোট।
নির্বাচন শেষ হওয়ার পর তার প্রথম মন্তব্যে, এরদোয়ান ইস্তাম্বুলে তার বাড়ির বাইরে একটি প্রচারাভিযান বাসে সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন,‘আসন্ন পাঁচ বছরের জন্য আবারও এই দেশকে শাসন করার দায়িত্ব আমাকে অর্পণ করার জন্য আমি আমাদের জাতির প্রতিটি সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি তার হারের জন্য তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে উপহাস করেছেন, ‘বাই বাই বাই, কামাল’ বলে সমর্থকরা উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
এরদোয়ান বলেন, ‘আজকে একমাত্র বিজয়ী তুরস্ক।’
ইস্তাম্বুলে, এরদোয়ানের সমর্থকরা চূড়ান্ত ফলাফল আসার আগেই তুর্কি বা ক্ষমতাসীন দলের পতাকা নেড়ে এবং গাড়ির হর্ন বাজিয়ে উদযাপন শুরু করে।
ফলাফল আঙ্কারার বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে। তুরস্ক ইউরোপ এবং এশিয়ার সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে আছে এবং দেশটি ন্যাটোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভোট গণনা সংবাদ সংস্থাগুলো সম্পূর্ণ ব্যালট বাক্সের গণনা থেকে তাদের তথ্য পায় যা মাঠের কর্মীদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় এবং বিভিন্ন অঞ্চলে শক্তিশালী, প্রাথমিক তথ্যের কিছু বৈচিত্র্য ব্যাখ্যা করে। তুরস্কের নির্বাচনী বোর্ড ভোট গণনা চলাকালীন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নিজস্ব ডেটা পাঠায়, কিন্তু কিছু দিন পরে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করে না।
এরদোয়ান ২০ বছর ধরে তুরস্কের নেতৃত্বে রয়েছেন। গত ১৪ মে প্রথম রাউন্ডে সরাসরি জয়ের পর থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডের রানঅফে নতুন পাঁচ বছরের মেয়াদ জয়ে আশাবাদী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ন্যাটোর সদস্যপদ: ফিনল্যান্ডকে হ্যাঁ, সুইডেনের প্রতি নাখোশ এরদোয়ান
বিভক্ত জনতাবাদী ছয়-দলীয় জোটের প্রার্থী কিলিচদারোগ্লুর থেকে চার শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন এরদোয়ান। ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি এবং তিন মাস আগে একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্পের প্রভাব সত্ত্বেও এরদোয়ানের সফলতা এসেছে। এটিই প্রথমবার যেখানে তিনি প্রার্থী হিসেবে প্রথম রাউন্ডে নির্বাচনে জয়লাভ করেননি।
দুই প্রার্থী দেশের ভবিষ্যত এবং এর সাম্প্রতিক অতীত সম্পর্কে তীব্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।
৭৪ বছর বয়সী কিলিচদারোগ্লু নিচে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই নির্বাচনটি অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে হয়েছিল, সেখানে সব ধরনের অপবাদ এবং মানহানি ছিল।’ ‘তবে আমি জনগণের সাধারণ জ্ঞানে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্র আসবে, স্বাধীনতা আসবে, মানুষ রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে পারবে এবং রাজনীতিবিদদের স্বাধীনভাবে সমালোচনা করতে পারবে।’
ইস্তাম্বুলের একটি স্কুলে ভোট দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এরদোয়ানন উল্লেখ করেন যে এটি তুরস্কের ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তিনি প্রথম রাউন্ডে উচ্চ ভোটার উপস্থিতির প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি রবিবার আবারও বেশি অংশগ্রহণের প্রত্যাশা করেছিলেন। তিনি কিলিচদারোগ্লুর মতো একই সময়ে ভোট দিয়েছেন, কারণ স্থানীয় টেলিভিশনে প্রতিদ্বন্দ্বীরা বিভক্ত পর্দায় ব্যালট কাস্ট করছে।
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, এটা (নির্বাচন) আমাদের দেশ ও জাতির জন্য উপকারী হবে।
আরও পড়ুন: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: দ্বিতীয় পর্বের ভোটে লড়তে হতে পারে এরদোয়ান ও কিলিচদারুগ্লুকে
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের নির্দেশ এরদোয়ানের
কারাগারে থাকা তুর্কি ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী ওসমান কাভালার মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানিসহ আঙ্কারায় নিযুক্ত ১০ বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে শনিবার বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
২০১৭ সাল থেকে কারাগারে থাকা কাভালার মুক্তির দাবি জানিয়ে চলতি সপ্তাহে এই বিবৃতি দেয় এই ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত। তবে এ বিবৃতিকে ‘ঔদ্ধ্যতপূর্ণ’ বলে মনে করছে তুরস্ক।
১০টি দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড। এর আগে মঙ্গলবার তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে।
শনিবার দেশটির এসকিসেহির শহরে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, এ বিষয়ে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা তুরস্ককে বুঝবে ও জানবে। যে দিন তারা তুরস্ককে বুঝতে পারবে না, তারা চলে যাবে।’
৬৪ বছর বয়সী কাভালা ২০১৩ সালে সরকার বিরোধী আন্দলোনে যুক্ত থাকার অভিযোগ থেকে গত বছর মুক্তি পান। পরে তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
আন্তর্জাতিক পর্যবেকক্ষকারী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো কাভালা ও কুর্দি রাজনীতিক সালেহাতিন ডেমারতাসের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। তারা বলছে, এই দুইজনকে রাজনৈতিক বিবেচনায় কারাগারে রাখা হয়েছে। তবে আঙ্কারা এ দাবি অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসতে পারেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় শেখ হাসিনার প্রশংসায় এরদোয়ান
প্রধানমন্ত্রীকে এরদোয়ানের অভিনন্দন
৩ বছর আগে