সামাজিক মাধ্যম
সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের কথা তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) নেতাকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং বিএনপি ও জামায়াতের অপকর্ম তুলে ধরতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তৈরি করেছি। কিন্তু আজ সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ভেসে যাচ্ছে। আমি আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এসবের উপযুক্ত জবাব দিতে বলতে চাই।’
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যখন আমাদের বিরুদ্ধে কিছু লেখে, তখন আপনাকে উত্তর দেয়ার দরকার নেই। যদি শুধুমাত্র তাদের অপকর্মের কথা মন্তব্যে উল্লেখ করা যায় (সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা পোস্টের মধ্যে) তারা থামবে।’
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ সময় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। বিসিএলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল ২০১৮ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে হামলা: সামাজিক মাধ্যমে দেয়া বিভিন্ন পোস্ট দেখে শাস্তি দেয়া হচ্ছে
জানুয়ারির ৬ তারিখ যেসব দাঙ্গাকারী যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে হামলা করেছে কিংবা হামলার আগে-পরে বিভিন্ন উসকানিমূলক তথ্য বা ছবি শেয়ার করেছে, এখন তাদের সেসব পোস্ট তাদের সাজা দেয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের জেলা জজ অ্যামি জ্যাকসন রাসেল পিটারসন নামের এক দাঙ্গাকারীর সাজা ঘোষণার আগে রাসেলের দেয়া একটি ফেসবুক পোস্ট পড়ে শোনান। পোস্টে লেখা ছিল, ‘সবমিলিয়ে আমার খুব মজা লেগেছে, লল।’
পোস্টটি পড়ে শোনানোর পরে জজ জ্যাকসন বলেন, এই পোস্ট পড়ার পর রাসেলকে মুক্তি দেয়া খুব কষ্টকর। কেননা ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে যা কিছু হয়েছে,তাতে মজা পাওয়ার কিছু ছিল না। দাঙ্গাকারীদের ভয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ ঘরে আইন প্রণয়নকারীদের আটকে থাকা কিংবা টেবিলের নিচে আত্মগোপনে থাকাটা কোনোভাবেই হাসি-মজার ব্যাপার না।
এভাবেই দাঙ্গাকারীদের সামাজিক মাধ্যম তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকিতে টর্নেডোর তাণ্ডবে শতাধিক মৃত্যুর শঙ্কা
এফবিআই সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে দেয়া কয়েকশ’ পোস্ট থেকে কয়েকশ’ দাঙ্গাকারীকে শনাক্ত করেছে। আইনজীবীরা সেসব পোস্ট মামলার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করছেন।
এমনকি বিচারকেরা ব্যবহারকারীদের ব্যবহৃত শব্দ বা বাক্যের গুরুত্বের ওপর ভিত্তি করে বেশি বা কম সাজা দিচ্ছেন।
সম্প্রতি আদালতের দেয়া রায় পর্যালোচনা করে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) দেখেছে শুক্রবারও ওই দাঙ্গার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৫০ জন ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে অন্তত ২৮টি মামলায় আইনজীবীরা প্রমাণ হিসাবে দাঙ্গাকারীদের ফেসবুকে দেয়া বিভিন্ন পোস্টকে ব্যবহার করেছেন।
সেসময় অনেক দাঙ্গাকারী সামাজিক মাধ্যমে দাঙ্গা উপলক্ষে আগ্রাসী বিভিন্ন কথা লিখেছে বা বিভিন্ন ঘৃণাসূচক মন্তব্য করেছে। অনেকে আবার এই দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়েছে কিংবা না জেনেই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন তত্ত্ব আলোচনা করেছে। তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র
সেসময় দেয়া বিভিন্ন ফেসবুক পোস্ট বা প্রমাণ ডিলিট করার জন্যও আদালত অনেক জনকে সাজা দিয়েছে। এই পর্যন্ত ক্যাপিটল দাঙ্গার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৭০০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এরমধ্যে অন্তত ১৫০ জন নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটলে গত ৬ জানুয়ারি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ৩ নভেম্বর হওয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি দেয়ার সংসদীয় প্রক্রিয়ার মধ্যেই সেখানে তাণ্ডব চালায় উগ্রবাদীরা। এতে এক পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সব ব্যবসার প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণ চায় যুক্তরাষ্ট্র
৩ বছর আগে
বাংলাদেশের ছেলে বেলারুশের মেয়ে: সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় দম্পতি হাবিব-নাতালিয়া
বেলারুশিয়ান-বাংলাদেশি দম্পতির সাংসারিক জীবনের খুনসুটি ভরা মজার মজার ভিডিও হাস্যরসে ভরিয়ে তুলেছে সামাজিক মাধ্যম। মেয়ে বেলারুশের, নাম নাতালিয়া। আর ছেলে বাংলাদেশি, নাম হাবিব। ঘোরাঘুরি, কেনাকাটা, রান্নাবান্না, খেলাধুলাসহ জীবনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে ছড়িয়ে থাকা হাসির উপাদানগুলো দর্শকদের উপহার দিচ্ছে এই দম্পতি। এছাড়া বাংলাদেশের সমসাময়িক ঘটনার সাথে হাস্যরস মিশিয়ে নির্মল আনন্দের খোরাক যোগাচ্ছে তাদের ইউটিউব চ্যানেলটি। পাশাপাশি তাদের ফুটফুটে ছোট্ট মেয়েটিও ভিডিওগুলোর মধ্যমণি হয়ে থাকছে। চলুন, ভাইরাল হওয়া এই দ্বিজাতি দম্পতির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিই।
হাবিব-নাতালিয়ার সম্পর্কের শুরুটা
বিশ্ববিখ্যাত ফুটবল ক্লাব জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের অফিসিয়াল স্টেডিয়াম আলিয়াঞ্জ অ্যারিনায় ঘটনাক্রমে একসাথে কাজ করতে হয়েছিল হাবিব ও নাতালিয়াকে। সময়টা ছিল ২০১২ সাল এবং সে সময় জার্মানির এক বিখ্যাত উৎসব অক্টোবর ফেস্ট চলছিল। আর সেই মেলাতেই খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটানোর মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে হাবিব ও নাতালিয়ার মধ্যে। এই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে পরিণত হয় পরিণয়ে। অবশেষে ২০১৭ সালের ৯ জুলাই জার্মানির খেম্নিজে তাদের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: চরকিতে রায়হান রাফির প্রথম অনলাইন সিনেমা ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’
হাবিব ও নাতালিয়ার ব্যক্তি জীবন
হাবিব লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ছেলে। আত্মীয়-স্বজনরা সবাই ঢাকায় থাকে। বাবার কাজের কারণে হাবিবের সময় কেটেছে সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগে।
২০১২ সালে জার্মানি চলে যান উচ্চশিক্ষার জন্য। সেখানে মিউনিখ শহরের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ থেকে মাস্টার্স করেন। পড়াশোনা শেষে এখন একটি জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সাল্টিং ফার্মে ইন্টার্ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন।
অপরদিকে নাতালিয়ার জন্মস্থান চেক-এর রাজধানী প্রাগে। তার আত্মীয়রা থাকেন বেলারুশের রাজধানী মিনাস্কের নিকটস্থ বাবরুস্ক শহরে। ২০১০ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য জার্মানির মিউনিখে চলে যান। সেখানে লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসিতে ভর্তি হন। পড়াশোনা সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগেই ফার্মাসিস্ট হিসেবে একটি কোম্পানিতে ইন্টার্ন হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যান। এখন পর্যন্ত সে কোম্পানিতেই স্থায়ীভাবে কাজ করছেন নাতালিয়া।বর্তমানে মেয়ে নাদিয়াসহ হাবিব-নাতালিয়া জার্মানির স্থায়ী বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: আপন ঠিকানা : হারানো স্বজনদের খুঁজে পেতে আরজে কিবরিয়ার মহৎ উদ্যোগ
৩ বছর আগে