সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার
জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
জাতির স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যেকোনো জাতীয় প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।’
চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্ট এর নিকট নতুন পতাকা হস্তান্তর এবং সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিটকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
পড়ুন: রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে বিশ্ব বাজারের নতুন চাহিদা চিহ্নিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা এবং আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য সম্মান ও মর্যাদা বয়ে এনেছে, যা নিঃসন্দেহে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ ৪, ১২ ও ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫ এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি, রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন, ১ ও ২ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, সেনাবাহিনীর নিজ নিজ কমান্ডারদের কাছে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন। এভিয়েশন গ্রুপ এবং এনসিও একাডেমির পাশাপাশি মুজিব রেজিমেন্ট এবং রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারির কমান্ডারদের কাছে নতুন পতাকা প্রদান করেন।
পড়ুন: স্বার্থান্বেষী মহল দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে: প্রধানমন্ত্রী
দলীয় নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৩ বছর আগে