২০২২ সাল
রবির কলড্রপের হার দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম: সিইও
২০২২ সালের অক্টোবরে রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজীব শেঠি। এর আগে তিনি মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর ওরেডুর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি এয়ারটেল আফ্রিকার প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ভোডাফোন, এইচপি, হাচিসন টেলিকম ও এশিয়ান পেইন্টসের মতো বিখ্যাত কোম্পানিগুলোতেও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কেটিং, ফাইন্যান্স ও অপারেশনে এমবিএ করা শেঠির পরিচয় নতুন নয়। এর আগে তিনি গ্রামীণফোনের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউএনবির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রবির প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশের টেলিকম খাতে তার অভিজ্ঞতা এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে কথা বলেন শেঠি।
ইউএনবি: ২০২৩ সালে রবির আয় ১৬ শতাংশ বেড়েছে। মুনাফাও বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন কি?
রাজীব শেঠি: রেকর্ড গড়া জরুরি নয়। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য প্রতি বছর নিজস্ব রাজস্ব রেকর্ড ভাঙা সাধারণ। তবে ২০২৩ সালে রবির ব্যবসা সম্প্রসারণের হার চোখে পড়ার মতো। প্রতিষ্ঠানটির ২৭ বছরের ইতিহাসে গত বছর সর্বোচ্চ রাজস্ব ও মুনাফা প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে রবির প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের অন্য সব টেলিকম কোম্পানিকে ছাড়িয়ে গেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবির প্রবৃদ্ধি ছিল অতুলনীয়।
ইউএনবি: এই সাফল্যের পেছনে কোন বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে আপনি মনে করেন?
রাজীব শেঠি: এটা নিরন্তর প্রচেষ্টার ফল। আমরা আমাদের নেটওয়ার্ক উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছি। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, বর্তমানে ভয়েস কল ও ইন্টারনেট ব্যবহার উভয়ের জন্যই রবির উন্নত নেটওয়ার্ক রয়েছে। এটি আমাদের সাফল্যের একটি মূল কারণ। আমরা আমাদের ইন্টারনেট ও মিনিট প্যাকেজগুলো ব্যবহাকারীবান্ধব ও সহজ করেছি। আমাদের গ্রাহকদের চাহিদাগুলো পূরণ করে এমন প্যাকেজগুলো সরবরাহ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের ব্র্যান্ডিং প্রচেষ্টাও সফল হয়েছে। আমরা 'পারবে তুমিও' নামে একটি নতুন ব্র্যান্ডিং ক্যাম্পেইন চালু করেছি।
ইতিবাচক ব্যবসায়িক ফলাফল এই সমস্ত প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি।
ইউএনবি: ১৯৯৭ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করা সত্ত্বেও রবি কেন তার প্রতিযোগীদের মতো একই পর্যায়ে মুনাফা অর্জন করতে পারছে না?
আরও পড়ুন: অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে ইভ্যালি: সিইও রাসেল
রাজীব শেঠি: এখানে একাধিক ফ্যাক্টর কাজ করে। সংখ্যা ও গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর বিষয় এখানে জড়িত। গ্রাহক সংখ্যা যত বেশি, রাজস্ব ও মুনাফা তত বেশি। গ্রাহকের সংখ্যা বেশি হলে গ্রাহকপ্রতি পরিচালন ব্যয় কমে যায়। টেলিকম খাতের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায়, ছোট অপারেটরদের পক্ষে মুনাফা বাড়ানো চ্যালেঞ্জিং।
বিশ্বব্যাপী, এই ছোট সংস্থাগুলো রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে এ বিষয় উত্থাপন করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা শুধু কোনো একক অপারেটরের লাভ-লোকসানের বিষয় নয়। বাজারে কোনো প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া আধিপত্য থাকলে গ্রাহকরাই লোকসানে পড়েন।
ইউএনবি: বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টরের অভিজ্ঞতা আপনার আছে। এই খাতের নিয়মকানুন, নীতিমালা ও অন্যান্য বিধিবিধান সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
রাজীব শেঠি: এই প্রশ্ন বিভিন্ন উপায়ে করা যেতে পারে। একটি দৃষ্টিকোণ হলো, জনসংখ্যার অধিক ঘনত্বের কারণে বিনিয়োগের জন্য এই দেশের টেলিকম খাত আকর্ষণীয়, যা টেলিকম অবকাঠামো স্থাপনের জন্য সুবিধাজনক। জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ তরুণ এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনে তারা আগ্রহী। অনেক বাড়িতেই ব্রডব্যান্ড সংযোগ ছাড়াই টেলিকম খাতের জন্য বেশ সুযোগ করে দেওয়া হয়। তবে এই খাত অত্যন্ত উচ্চ করের বোঝায় জর্জরিত। ১০০ টাকা আয়ের বিপরীতে ৫৬ টাকা যায় সরকারের হাতে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় দ্বিগুণ। বিভিন্ন স্তরে টেলিকম পরিষেবা দেওয়ার জন্য সমন্বিত লাইসেন্সের অনুপস্থিতির কারণে কোনো সংস্থা স্বাধীনভাবে সব পরিষেবা সরবরাহ করতে পারে না এবং অবশ্যই টাওয়ার কোম্পানির উপর নির্ভর করতে হবে। এই নির্ভরশীলতা শুধু ব্যয়ই বাড়ায় না বরং পরিষেবার মানেও প্রভাব ফেলে।
ইউএনবি: বাংলাদেশে বসবাসরত একজন ভারতীয় হিসেবে আপনি দুই দেশের নেটওয়ার্কের মানের তুলনা কীভাবে করবেন?
রাজীব শেঠি: আসলে মানের উপর তুলনার নির্ভর করে। তবে এটুকু বলতে পারি, ঢাকায় আমি যে নেটওয়ার্কের যে মান অনুভব করি তা দিল্লির নেটওয়াকের মানকে ছাড়িয়ে গেছে।
ইউএনবি: বাংলাদেশে গ্রাহকদের কাছ থেকে সেবার মান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে বাড়িতে নেটওয়ার্ক কভারেজের অভাব ও কল ড্রপ। এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
রাজীব শেঠি: মানুষ যখন কোনো পরিষেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট হয় তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের অভিযোগগুলো প্রকাশ করে এটি খুবই সাধারণ, যখন তারা সন্তুষ্ট থাকে এর ঠিক বিপরীত হয়। প্রতিদিন করা লাখ লাখ কল দেওয়া, ত্রুটিপূর্ণ রেডিও তরঙ্গের কারণে কয়েকটি কল ড্রপ অনিবার্য। কলড্রপের হার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় মানের চেয়ে বেশি কি না তা মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন রবির কলড্রপের হার ০.২, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। যাইহোক, আমরা ক্রমাগত আমাদের সেবা উন্নত করার চেষ্টা করি। আমরা কক্সবাজারের উখিয়ার মতো কিছু চ্যালেঞ্জিং স্থানে টাওয়ার স্থাপনের চেষ্টা করছি, কিন্তু টাওয়ার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
ইউএনবি: ঢাকায় টাওয়ারের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি?
রাজীব শেঠি: অবশ্যই। আমাদের কাছে প্রায় ৬০০টি টাওয়ার স্থাপনের সরঞ্জাম রয়েছে, তবে স্থানের সীমাবদ্ধতার কারণে সেগুলো বর্তমানে আমাদের গুদামে অব্যবহৃত রয়েছে। আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও টাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছি। টাওয়ার বিনিময়ের ধারণাটি আশাব্যঞ্জক বলে মনে হচ্ছে এবং আমরা সেই সম্ভাবনা খুঁজছি।
ইউএনবি: বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়াতে কী কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে?
রাজীব শেঠি: বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ তাদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য, স্মার্টফোনগুলোকে আরও সাশ্রয়ী করা বা সামথ্যের মধ্যে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; বর্তমানে এ দেশে এটি বেশ ব্যয়বহুল। স্থানীয় কোম্পানিগুলো স্মার্টফোন উৎপাদন শুরু করেছে এবং কীভাবে তাদের দাম কমানো যায় সে বিষয়ে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: এজেন্ট ব্যাংকের আউটলেটে ১৪,৩০৫ কোটি টাকা জমা: ইসলামী ব্যাংকের সিইও
ইউএনবি: সরকার উচ্চগতির ৫-জি ইন্টারনেট পরিষেবা বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করছে। পরিষেবা সরবরাহকারীরা কি প্রস্তুত এবং বাজারে কি ৫-জি’র চাহিদা রয়েছে?
রাজীব শেঠি: আমরা সার্ভিস প্রোভাইডাররা ৫জি-র জন্য তৈরি। তবে বাজারের প্রস্তুতি আলাদা বিষয়। তবে ৫-জি গড় ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে না, কারণ বর্তমান ইন্টারনেটে মুভি দেখার অভিজ্ঞতার মতোই হবে। ৫-জির আসল প্রয়োজনীয়তা শিল্প ও সেবা খাতে। এই খাতগুলোতে অটোমেশনের পরিমাণ মূল্যায়ন করা দরকার।
ইউএনবি: সম্প্রতি অ্যাক্সেনটেক ও আর-ভেঞ্চারস নামে রবির দুটি সাবসিডিয়ারি ফার্ম প্রতিষ্ঠা কারণ কী?
রাজীব শেঠি: এই সহায়ক সংস্থাগুলোর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোতে ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করা। বর্তমানে, এই খাত থেকে আয় ন্যূনতম, তবে ভবিষ্যতে পরিষেবাগুলো প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং একজন নতুন সিইও নিয়োগ করা হয়েছে। এটি লক্ষণীয় যে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এরকম ব্যবসায়িক রাজস্ব উল্লেখযোগ্য বেড়েছে।
ইউএনবি: রবি কি পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত শেয়ার ইস্যু করার কথা ভাবছে?
রাজীব শেঠি: এটা পরিচালনা পর্ষদের আওতাভুক্ত। তবে আমার জানামতে আপাতত বিষয়টি বিবেচনায় আনা হচ্ছে না।
ইউএনবি: বাংলাদেশে বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে কোন কোন বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করবেন?
রাজীব শেঠি: বিনিয়োগকারীরা একটি স্থিতিশীল নীতিভিত্তিক পরিবেশ পছন্দ করে কারণ এটি কৌশলগত পরিকল্পনাকে সহজতর করে। বিনিয়োগ সম্পর্কিত সরকারি নীতিতে আকস্মিক পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। তৃতীয় পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার উপস্থিতি ব্যবসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি সাধারণত আদালতের মাধ্যমে করা হয়। বিনিয়োগের জন্য মৌলিক প্রয়োজন নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা। টেলিকম খাতে বিনিয়োগের জন্য যদি একটি দেশ নির্বাচন করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ হবে প্রধান পছন্দ। দেশটিতে বিনিয়োগের জন্য অসংখ্য সুবিধা রয়েছে।
ইউএনবি: দীর্ঘ সময় ধরে এখানে কাজ করার পর বাংলাদেশিদের সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?
রাজীব শেঠি: বাংলাদেশের প্রতি আমার গভীর অনুরাগ রয়েছে। এখানকার লোকেরা অবিশ্বাস্যভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং জ্ঞান অর্জন ও শেখার জন্য তাদের গভীর আগ্রহ রয়েছে। ক্রিকেটের প্রতি তাদের আবেগ প্রগাঢ়। দেশটিতে অনেক প্রতিভা রয়েছে, যা বিশ্ব এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি। আমরা ডিজিটাল সেক্টরে প্রতিভা অনুসন্ধানে কাজ করেছি এবং আমরা যে ব্যতিক্রমী তরুণ প্রতিভা পেয়েছি তা দেখে অবাক হয়েছি। তারা আমার মতো ৪০ থেকে ৫০ বয়সী নয়, এরা ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ। তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য উপযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন।
২০২৩ সালের জন্য রবির আর্থিক তথ্য
রবির রাজস্ব আয় হয়েছে ৯৯.৪২ বিলিয়ন এবং কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৩.২১ বিলিয়ন টাকা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত কোম্পানিটির মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৩৮০ বিলিয়ন টাকা। কোম্পানিটির গ্রাহক সংখ্যা ৫৫.৭ মিলিয়ন। এটি ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়, যার শেয়ার বাজার মূল্য ৩১.২০ টাকা এবং এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।
রবির সংক্ষিপ্ত বিবরণ
রবিতে মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের ৬১ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ভারতের ভারতী এয়ারটেলের হাতে রয়েছে ২৮ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার, বাকি ১০ শতাংশ বাংলাদেশের সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের হাতে। ১৯৯৭ সালে টেলিকম মালয়েশিয়া এবং এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি অব বাংলাদেশ একটেল ব্র্যান্ড নামে যৌথভাবে এই কোম্পানি চালু করে। ২০০৮ সালে এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি তাদের শেয়ার বিক্রি করে দেয়। ২০১০ সালে কোম্পানিটির নাম একটেল থেকে রবিতে পরিবর্তন করে পুনরায় ব্র্যান্ডিং করা হয়।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
৯ মাস আগে
১৩ মাসে বজ্রপাতে ৩৪০ জনের মৃত্যু: এসএসটিএফ
২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ৩ মে ২০২৩ পর্যন্ত দেশে বজ্রপাতে মোট ৩৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে গত বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বজ্রপাতে ২৩৯ জন পুরুষ ও ৩৫ জন নারীসহ ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম(এসএসটিএফ) খোলা আকাশের নিচে কাজ করা প্রায় ৩০০ কৃষকদের বজ্রপাত সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন মূলক কমসূচি পালন করে মৃত্যুর এই পরিসংখ্যান প্রকাশ কর হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় পৃথক বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রসহ ৩ জনের মৃত্যু
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা, গবেষণা সেলের প্রধান আব্দুল আলীম, নির্বাহী সদস্য মোস্তাক আহমেদসহ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।
এসএসটিএফ ২০১৯ সাল থেকে বজ্রপাতে হতাহতের পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে সরকারের কাছে দুই দফা দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি কবিরুল বাশার ও সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা।
এক- মানুষের মধ্যে বজ্রপাত সচেতনতা বাড়াতে বজ্রপাত সচেতনতা সম্পকৃত বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
দুই. মাঠে মাঠে বজ্রনিরোধক টাওয়ার নির্মাণ ও উচু দ্রুত বর্ধনশীল গাছ লাগানোর দাবি জানানো হয়।
এসএসটিএফ এর পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে বজ্রপাতে প্রথম মারা যায় মার্চ মাসের ১৫ তারিখ। মার্চ থেকে মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৬ জন। এর মধ্যে ৬৩ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। নারী ও পুরুষের মধ্যে শিশু রয়েছে ২ জন। এই সময়ের মধ্যে আহত হয়েছে ৮ জন। এর মধ্যে শুধু কৃষি কাজ করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। নৌকায় থাকা অবস্থায় বা মাছ ধরতে গিয়ে মারা গেছে ১১ জন।
এছাড়া, বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা গেছে ১ জন। বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করার সময় বজ্রপাতে মারাগেছে ৩ জন।
অন্যদিকে চলতি বছর বজ্রপাতে মৃত্যুর মোট সংখ্যার মধ্যে পুরুষ মারা গেছে ৬৩ এবং নারী ৩ জন। নারী ও পুুরুষের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ২ জন ও কিশোর ৪ জন।
চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রপাতে হতাহতের কোনো ঘটনা না থাকলেও মার্চ মাসের ১৫ তারিখ থেকে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়। মার্চ মাসের শেষ দিন পর্যন্ত মারা যায় ১৫ জন। এপ্রিল মাসে মারা যায় ৫০ জন। অন্যদিকে চলতি মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত পর্যন্ত মারা গেছে ১ জন।
বজ্রপাতে হতাহতের এই পরিসংখ্যান করা হয়েছে জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিউজ ও টেলিভিশনের স্ক্রল পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।
এবছর বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জে। এ জেলায় মারা গেছে ৭ জন। সিলেট জেলায় মারা গেছে ৫ জন।
আরও পড়ুন: রায়পুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু, আহত ১
চৌগাছায় মাঠে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
১ বছর আগে
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে একটু পরেই
২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের মধ্য দিয়ে বুধবার ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ শিক্ষার্থীর অপেক্ষার অবসান ঘটবে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
গত বছরের ৬ নভেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সারাদেশে দুই হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্র ও ৯ হাজার ১৮১টি প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পূর্বেই এইচএসসির ফলাফল জানবেন যেভাবে
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ আগামীকাল
১ বছর আগে
স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪৬ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে ২০২২ সালে: গবেষণা
গত বছর দেশের স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪৬ জন স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সর্বশেষ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত সংস্থাটির গবেষণায় তারা দেখিয়েছে যে ৩৪০ জন স্কুলছাত্র এবং ১০৬ জন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ২০২২ সালে আত্মহত্যা করেছে।
গবেষণাটি ১৫০টিরও বেশি জাতীয়, স্থানীয় সংবাদপত্র এবং অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্কুল ও হাইস্কুল শিক্ষার্থী, ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ তাদের জীবন শেষ করেছে।
এরপরের অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম (১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ) ও রাজশাহী (১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ), খুলনা (১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ), রংপুর (৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ), বরিশাল (৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ), ময়মনসিংহ (৬ দশমিক ২৭ শতাংশ) এবং সিলেট (৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ)।
এছাড়াও ৮৫ জন বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫৪ জন মাদরাসা ছাত্র আত্মহত্যা করেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে দেখা যায় গড়ে প্রতি মাসে ৩৭ জন স্কুল এবং হাইস্কুল ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার তথ্যের একটি লিঙ্গ বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি (৬০ দশমিক ১৫ শতাংশ)।
আর স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা করে ৬৩ দশমিক ৯০ শতাংশ মেয়ে। এবং আত্মহত্যাকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৪৪ শতাংশই মেয়ে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে দুই সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!
আত্মহত্যার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আত্মহত্যাকারী স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত (২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ), আবেগপ্রবণ জনিত সমস্যা (২৩ দশমিক ৩২ শতাংশ), পারিবারিক দ্বন্দ্ব (তিন দশমিক ১৪ শতাংশ), বিষণ্নতা (দুই দশমিক শূন্য এক শতাংশ), মানসিক সমস্যা (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ) সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
এছাড়া আর্থিক সমস্যা (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ), হয়রানি (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ), এবং ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির ঘটনা (এক দশমিক ৩৪ শতাংশ)।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামিরা আক্তার সিয়াম বলেন, ‘আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয় হল, ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। ‘ছোটবেলা থেকেই, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আবেগ ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলো বাড়িতে পরিবার, সামাজিক অবস্থান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখানো উচিত।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' স্ট্যাটাস দিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা
১ বছর আগে
বাংলাদেশে ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৯৫১ মৃত্যু, ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ: প্রতিবেদন
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, ২০২২ সালে সারাদেশে সাত হাজার ৬১৭টি সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে দুর্ঘটনায় মোট ১০ হাজার ৮৫৮ জন নিহত এবং ১২ হাজার ৮৭৫ জন আহত হয়েছে।
এর মধ্যে ছয় হাজার ৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৯৫১ জন নিহত এবং ১২ হাজার ৩৫৬ জন আহত হয়েছে যা গত আট বছরের পরিসংখ্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সোমবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে যাত্রীদের কল্যাণে কাজ করা সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী তাদের নতুন প্রতিবেদন এই তথ্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত
এতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
সদ্য শেষ হওয়া বছরে ৬০৬টি রেল দুর্ঘটনায় ৫৫০ জন নিহত এবং ২০১ জন আহত হয়েছে এবং নৌপথে ২৬২টি দুর্ঘটনায় ৩৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩১৮ জন আহত হয়েছে এবং আরও ৭৪৩ জন নিখোঁজ হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে গত বছর মোট দুর্ঘটনার ৫২ দশমিক ০২ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৭ দশমিক ৭০ শতাংশ জাতীয় সড়কে এবং ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ পার্শ্ব সড়কে হয়েছিল।
এছাড়া দেশের মোট দুর্ঘটনার পাঁচ দশমিক ৬৭ শতাংশ ঘটেছে রাজধানীতে, এক দশমিক ৭১ শতাংশ চট্টগ্রাম শহরে এবং শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ বিভিন্ন রেলক্রসিংয়ে।
দুর্ঘটনাগুলোর বিভিন্ন কারণগুলোর মধ্যে প্রধান কারণগুলোর মধ্যে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং, জরাজীর্ণ রাস্তা, অযোগ্য যানবাহন, অদক্ষ চালক, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন বা হেডফোন ব্যবহার এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাবকে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংস্থাটি অভিযোগ করেছে যে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দায়ী সংস্থাগুলোর অনিয়ম, দুর্নীতি এবং জবাবদিহিতার অভাবের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যানবাহনের ফিটনেস নিশ্চিত করে ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া হয় যাত্রী কল্যাণ সমিতির ও প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
১ বছর আগে
২০২২ সালে ১০০ কোটির ক্লাবের ভারতীয় সিনেমা কোনগুলো
করোনা মহামারির কারণে ভারতীয় সিনেমা শিল্পে প্রায় ধস নামে। তবে ২০২২ সালে আরআরআর, কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২ এবং ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান- শিবের মতো ব্লকবাস্টার সিনেমাগুলো আশার আলো দেখায়। ২০২২ সালে ১০০ কোটির ক্লাবে নাম লেখানো ভারতীয় সিনেমাগুলো হলো-
ভুল ভুলাইয়া ২
আনিস বাজমি পরিচালিত ভুল ভুলাইয়া ২ সিনেমাটি একটি হরর কমেডি ঘরানার। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন-কার্তিক আরিয়ান, কিয়ারা আদভানি ও টাবু। ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় হিট সিনেমাগুলোর মধ্যে এটি একটি। ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শের মতে, ছবিটি মুক্তির এক মাসের মধ্যে ১৭১ কোটি রুপি সংগ্রহ করে।
২ বছর আগে
২০২২ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী শহর কোনগুলো?
জানতে চান বিশ্বের কোন কোন শহরে শীর্ষ ধনীরা বসবাস করেন? কোন শহরে মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং কত সংখ্যক মিলিয়নিয়ার বসবাস করেন? ২০২২ সালে সর্বাধিক মিলিয়নিয়ারসহ শীর্ষ ১০টি ধনী শহরের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সম্প্রতি ‘হেনলি গ্লোবাল সিটিজেনস’ এই তালিকা প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া মিলিয়নিয়ারদের ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব এবং সেইসঙ্গে বৈশ্বিক সম্পদ নিয়ে কাজ করা গোয়েন্দা সংস্থা নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথের দেয়া তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৪র্থ
২০২২ সালে কোন শহরে সবচেয়ে বেশি কোটিপতি আছে?
হেনলি গ্লোবাল সিটিজেনসের রিপোর্ট অনুসারে, নিউইয়র্ক তিন লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ মিলিয়নিয়ার নিয়ে এই তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে। নিউইয়র্কে মাল্টি-মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৭০ এবং দেশটিতে ৫৯ জন বিলিয়নেয়ার আছে।
বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ধনী শহরের অর্ধেকই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
২০২২ সালে শীর্ষ ১০টি ধনী শহর
১. নিউইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (তিন লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
২. টোকিও, জাপান (তিন লাখ চার হাজার ৯০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৩. সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়া, ইউএসএ (দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৪. লন্ডন, যুক্তরাজ্য (দুই লাখ ৭২ হাজার ৪০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৫. সিঙ্গাপুর (দুই লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৬. লস এঞ্জেলেস মালিবু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (এক লাখ ৯২ হাজার ৪০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৭. শিকাগো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (এক লাখ ৬০ হাজার ১০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৮. হিউস্টন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (এক লাখ ৩২ হাজার ৬০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৯. বেইজিং, চীন (এক লাখ ৩১ হাজার ৫০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
১০. সাংহাই, চীন (এক লাখ ৩০ হাজার ১০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্যগুলো সম্পদ গোয়েন্দা সংস্থা নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ সরবরাহ করেছে। যা বর্তমানে একমাত্র স্বাধীন গবেষণা সংস্থা, যা নিয়মিতভাবে জাতীয় সীমানা ও শহরগুলোর নাগরিকদের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করে। প্রতিবেদনে শুধুমাত্র প্রতিটি শহরের আবাসিক নাগরিকদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এবং সম্পদের পরিমাণ মার্কিন ডলারে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা আবারও ‘মধ্যম’
অস্বাস্থ্যকর শহরের তালিকায় ঢাকা ২৯তম
২ বছর আগে
আগামী বছর সরকারি ছুটি ২২ দিন
২০২২ সালে ২২ দিন সরকারি ছুটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয় দিন শুক্র ও শনিবার রয়েছে। এ ছুটির মধ্যে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি ও সরকারের নির্বাহী আদেশে আট দিন ছুটি।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন এবং অন্যান্য মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা সচিবালয় থেকে এ সভায় যোগ দেন। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৪ দিনের সাধারণ ছুটি থেকে তিন দিন ও আট দিনের অন্যান্য সরকারি ছুটি থেকে তিন দিন সাপ্তাহিক ছুটির সাথে মিলিত হবে।
এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে তিন দিন ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারবেন। একইভাবে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে দুই দিন ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৭ দিন বাড়ানোর সুপারিশ
কারখানা ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
৩ বছর আগে