সাইফুজ্জামান চৌধুরী
সম্পত্তি কর থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত কর আদায় করা যাবে: সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সম্পদের বৈষম্য কমাতে এবং রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে সম্পত্তি কর এবং উত্তরাধিকার কর আরোপের প্রস্তাব করেছে।
সিপিডি বলছে, তাদের সুপারিশ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করলে সম্পত্তি কর থেকে অতিরিক্ত ৬ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।
বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘স্টেট এন্ড স্কোপ অব প্রোপার্টি ট্যাক্সেশন ইন বাংলাদেশ’- শীর্ষক সিপিডি সংলাপে এ প্রস্তাব আসে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি।
সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এই বিষয়ে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, সম্পত্তি কর, হোল্ডিং ট্যাক্স এবং উত্তরাধিকার কর সঠিকভাবে আদায় করা সম্পদের বৈষম্য কমানোর সুযোগ তৈরি করবে।
উত্তরাধিকার কর হলো সম্পদ করের একটি রূপ, সম্পত্তির ওপর আরোপ করা হয় এবং অর্থ, সম্পদ বা উত্তরাধিকার থেকে অর্জিত হয়।
দেবপ্রিয় বলেন, দেশের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান সম্পদ এবং আয়ের বৈষম্য কর সংগ্রহ বৃদ্ধির মাধ্যমে কর ন্যায্যতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে।
আরও পড়ুন: ১৫০০ কোটি টাকার নিরাপত্তা তহবিল অযোগ্য সুবিধাভোগীদের জন্য ব্যয়: সিপিডি‘র জরিপ
তিনি বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্য এবং ক্রমবর্ধমান সম্পদ বৈষম্যের প্রবণতা মোকাবিলায় রাজস্ব আদায় ও কর ব্যবস্থায় ন্যায্যতাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘সুতরাং, সম্পদ কর প্রবর্তন এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।’
বর্তমানে, দেশে ‘সম্পদ কর’ হিসেবে উল্লেখ করা কোন নির্দিষ্ট কর নেই। ছয় ধরনের কর এবং শুল্ক রয়েছে, যেগুলোকে মোটামুটিভাবে সম্পদ-সম্পর্কিত কর হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে।
এর মধ্যে রয়েছে-ভূমি উন্নয়ন কর, হোল্ডিং ট্যাক্স, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স, স্ট্যাম্প ডিউটি, সম্পদ সারচার্জ এবং উপহার কর; যদিও এর প্রয়োগ সীমিত।
তিনি বলেন, ‘এছাড়াও আত্মীয়দের কাছ থেকে উপহার পাওয়া সম্পদের ওপর কোনো নির্দিষ্ট কর আরোপ করা হয় না বা কোনো প্রকার উত্তরাধিকার ট্যাক্স নেই।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ইইউ-এর বাংলাদেশের সহযোগিতার প্রধান মাউরিজিও সিয়ান, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ,
ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এবং চার্টার একাউন্টেন্ট স্নেহাশিষ বড়ুয়া প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অনানুষ্ঠানিক খাত থেকে ৮৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে: সিপিডি
২০২২ সালে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের অবনতি হয়েছে: সিপিডি
১ বছর আগে
হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল জাতীয় সংসদে
জাতীয় সংসদে হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল, ২০২২ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ১৯৫৯ সালের এ সম্পর্কিত অধ্যাদেশটিকে সময় উপযোগী করার জন্য বিলটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
রবিবার ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করলে তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট স্ক্রুটিনি কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিল অনুযায়ী, প্রস্তাবিত আইনে ২৬টি ধারা রয়েছে। আইন অনুযায়ী সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো হাট-বাজার করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: সংসদে বিইআরসি সংশোধনী অধ্যাদেশ-২০২২ পাস
কোনো এলাকায় অননুমোদিত হাট-বাজার বসালে সরকার তা খাস জমি হিসেবে দখল করবে।
হাট-বাজারের জমিগুলো জেলা প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা করবে এবং স্থায়ীভাবে কোনো জমি হস্তান্তর করা যাবে না।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, কেউ বা একদল লোক অবৈধভাবে কোনো হাট-বাজারের খাস জমি দখল করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করলে, অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আরও পড়ুন: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৫ জানুয়ারি
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে ৫টি সংসদীয় আসন শূন্য: স্পিকার
১ বছর আগে