আদালত
বরিশালে সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা
আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে স্থিতাবস্থা থাকা জমিতে শিশু পার্ক নির্মান কাজ চালিয়ে যাওয়ায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বসিক) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুখ হোসেনের বিরুদ্ধে ভায়োলেশন মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. জালাল ও বাদী পক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে নগরীর কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন হাওলাদার মামলাটি করেন। বিচারক রুবাইয়া আমেনা মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য্য করেছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে মাদক মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারেমামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক সংলগ্ন নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের মধ্যে সাহান আরা আব্দুল্লাহ শিশু পার্ক নির্মাণের কাজ করছে বরিশাল সিটি করপোরেশন। কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন হাওলাদারের জমিতে ২০১৯ সাল থেকে আদালতের স্থিতিবস্থার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পার্ক নির্মাণের জন্য সিটি করপোরেশন মনোয়ারের মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজ নামের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানেই পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। বিবাদীদের আদালতের স্থিতিবস্থার কথা জানালেও তারা তা তোয়াক্কা করেনি বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।প্রসঙ্গত, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে থ্রি হুইলার চলাচলের জন্য নির্মিত সড়ক ও জনপথের সড়কে সিটি করপোরেশন কোনো অনুমতি ছাড়া শিশু পার্ক নির্মাণ করছে। মহাসড়কের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে শিশু পার্ক নির্মাণ করা নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক দখল করে পার্ক নির্মাণের কাজ চললেও তা জানে না বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
আরও পড়ুন: বরিশালে ধর্ষণ মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
ইভ্যালি’র এমডি’র বিরুদ্ধে বরিশালে চেক প্রতারণার ৩ মামলা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে বরিশালে তিনটি চেক প্রতারণা মামলা হয়েছে। রবিবার বরিশাল অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক পৃথক তিনটি মামলা আমলে নিয়ে সমন জারি করে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারি চারচিল ও বাদী পক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান।মামলা সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের বাসিন্দা নিলয় শরীফ মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, সাদিকুর রহমান সুরুজ দুই লাখ ৭১ হাজার টাকা এবং মো. ফেরদাউস এক লাখ ৭৪ হাজার টাকা ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের কাছে দেন। এর বিপরীতে চেক দেয়া হয়। কিন্তু চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে সেই চেক ফেরত দেয় ব্যাংক কতৃপক্ষ।পরে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে টাকা ফেরত চেয়ে লিগাল নোটিশ করা হলেও কোনো সদুত্তর না মেলায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন নিলয়, সুরুজ ও ফেরদাউস।
আরও পড়ুন: সাভারে ইভ্যালির ৪ ওয়্যার হাউজ সিলগালা করেছে পরিচালনা কমিটি
ইভ্যালির গ্রাহকরা ৬ মাস পাওনার জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না: হাইকোর্ট
৩ বছর আগে
ভরণপোষণ না দেয়ায় সন্তানদের বিরুদ্ধে ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধার মামলা
চিকিৎসার অভাবে শয্যাশায়ী ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা দুই সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই বৃদ্ধা নিজে আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা করতে না পারায় বিচারক নিজে বৃদ্ধার বাসায় গিয়ে মামলাটি গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বরিশাল অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ মামলাটি গ্রহণ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলায় বরিশাল নগরীর বৈদ্যপাড়ার জোড়াপুকুর এলাকার জাহানুর বেগম তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও মেয়ে সাবিনা আক্তারকে বিবাদী করেছেন।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা করতে এসে জেল হাজতে বাদী
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, খুলনায় তিনি স্বামীর ঘরে থাকতেন। তার চিকিৎসার খরচের জন্য খুলনার সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ক্রেতা বরিশালে আসলে তাদের সাথে কথাও বলেন। তবে ২২ অক্টোবর আসামিরা বরিশালে এসে সম্পত্তি বিক্রি করতে দেবে না বলে জানায় এবং তার ভরণ পোষণ এর জন্য কোনো টাকা পয়সাও দিতে পারবে না বলে জানায়।
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে আমি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হই। সর্বশেষ ব্রেইন স্ট্রোক, মেরুদন্ড অচল এবং পিঠে ক্ষত ও প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হই’।
মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও ভরণ পোষনের আবেদন করা হয়।
বরিশাল সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, জাহানুর বেগম পিতা মাতার ভরণপোষণ আইন ২০১৩ এর ৫ ধারা মোতাবেক মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবিনা আক্তারের বিরুদ্ধে ওকালতনামা সহ নালিশী দরখাস্ত আদালতে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলা: আসল আসামির বদলে নকল আসামির আত্মসমর্পণ!
বাদী পক্ষের আইনজীবী ও নালিশী দরখাস্তের বাহককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিচারক জানতে পারেন বাদী শয্যাশায়ী, যার কারণে তিনি আদালতে আসতে পারেন নি।
সাজ্জাদ পারভেজ আরও জানান, বিচারক নালিশী দরখাস্তের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বাদীর বাসায় যান। বাদী বৃদ্ধার আইনজীবী ও তার উপস্থিতিতে বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক। বাদীর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হয়।
৩ বছর আগে