পাঁচলাইশ থানা
চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে চমেক ছাত্রলীগের একাংশ এ মামলা দায়ের করেছে। মামলার বাদী হলেন ৫৮তম ব্যাচ ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন-রক্তিম দে (২১) ও এনামুল হোসেন ওরফে সীমান্ত (২১)। তারা দুজন এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। রক্তিম ১১ নম্বর ও এনামুল এজাহারভুক্ত ১৫ নম্বর আসামি বলে জানায় ওসি।
গতকাল শনিবার সকালে এবং আগের দিন শুক্রবার মধ্য রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস ও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে দুদফা সংঘর্ষের পর শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। রাতেই আবাসিক শিক্ষার্থিরা হল ছেড়ে চলে যায়।
সংঘর্ষে মাহফুজুল হক (২৩), নাইমুল ইসলাম (২০) এবং মাহাদি জে আকিব হোসেন (২০) নামে তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আকিব হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তার মাথার হাঁড় ভেঙ্গে গেছে।
পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: চমেক বন্ধ, হল ছাড়ার নির্দেশ
চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রঞ্জন কুমার নাথ জানান, আকিবের মাথায় অস্ত্রোপচার শেষে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ডা. মতিউর রহমানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুকেশ কুমার দত্ত, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আরিফুর রহমান, হোস্টেল কমিটির চেয়ারম্যান ডা. মিজানুর রহমান চৌধুরী ও ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রিজোয়ান রেহান।
পড়ুন: বিয়েতে মাংস না দেয়ায় বর-কনেপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
৩ বছর আগে