হাসপাতালের বার্ন ইউনিট
কুতুবদিয়ায় মাছ ধরার নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ১৪ জেলে দগ্ধ
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে মাছ ধরার একটি নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১৪ জেলে দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আট জেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। দগ্ধ হওয়া জেলেদের প্রথমে কুতুবদিয়া হাসপাতালে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল হাসান জানিয়েছেন, দ্বীপের একমাত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৪ জেলেকে চিকিৎসার জন্য আনার পর ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপর আটজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে।
গুরুতর আহতরা হলেন, সাইফুল ইসলাম (২৪), ফরিদুল আলম (৪৩), নৌকার মাঝি মামুন (২৪), জিসাদ (২৪), মিনহাজ (১৭), সাদ্দাম (২০), নুরুল হোছাইন (৩৫), দিলশাদ (১৭)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়নুল আবেদীন জানান, দগ্ধদের মধ্যে সাইফুলের শরীরের ৮১ শতাংশ, ফরিদের ৬৪ শতাংশ, নুরুল হোসাইনের ৫৫ শতাংশ, মিনহাজের ৪৮ শতাংশ, দিলশাদের ৪৭ শতাংশ, জিশাদের ৪৭ শতাংশ, মামুনের ১৪ শতাংশ ও সাদ্দামের শরীরের ১১ ঝলসে গেছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চের ছাদে ডিজে পার্টি: একজনের মৃত্যু, দগ্ধ ১৫
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত দশটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নস্থ অলি পাড়ার আনছার মিস্ত্রির মালিকানাধীন এফ,বি মায়ের দোয়া নামের নৌকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নৌকাটি বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে তীরে ফিরছিল। ইঞ্জিন থেকে সৃষ্ট আগুনের ফুলকি নৌকায় মজুদ থাকা জ্বালানি তেলের ড্রামে লাগলে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় জেলেরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আগুনের তাপে নৌকায় থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন ১৪ জন জেলে। বাকিরা সাগরে লাফ দিলে অন্য একটি ট্রলার তাদের উদ্ধার করে।
তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা নৌকার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে চিকিৎসক দগ্ধ আট জেলের অবস্থা আশংকাজনক হলে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৪৩ দস্যুর আত্মসমর্পণ
স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন দগ্ধদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ নূরের জামান চৌধুরী ও কুতুবদিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, দগ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা পাঠানোর জন্য স্হানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২
৩ বছর আগে