ঋণ জালিয়াতি
ঋণ জালিয়াতি: তানভীর মাহমুদসহ ১৮ জনের রায় ১৯ মার্চ
সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেমের আদালত দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: কোন কোন আদালতে লোহার খাঁচা রয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, তানভীরের স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান ও নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক কারাগারে রয়েছেন।
এছাড়া জামিনে রয়েছেন, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।
পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ডিএমডি মো. আতিকুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।
দুদক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম জানান, তানভীরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে সেদিন দুদকের পক্ষ থেকে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে থেকে নিয়ে আরও দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর ওই দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণ, আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায় প্রচারের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
গত ২৮ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেন। তবে ওই দিন আরও দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলায় অস্তিত্বহীন ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের নামে প্রায় ৫২৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসামিরা। মামলায় আদালত অভিযোগপত্রের মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আরও পড়ুন: আদালতের হাজতখানায় কেক কেটে ছাত্রদল নেতার জন্মদিন পালন, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
গ্রাম আদালতকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার ক্ষমতা দিয়ে বিল উত্থাপন
৭ মাস আগে
অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংকের এমডিসহ ৯ জনের কারাদণ্ড
ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ৯ জনকে পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হোসেন খান ও সাইফুল হাসান এবং প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
সরকারি কর্মচারী কর্তৃক সম্পত্তি আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে।আর প্রতারণার দায়ে প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড না দিলে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে দণ্ডিতদের ১০ বছর কারাভোগ করতে হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
রায় ঘোষণার সময় ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন এবং এজিএম কামরুল হোসেন খান আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্য পাঁচ আসামি পলাতক আছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
২ বছর আগে
ঋণ জালিয়াতি: এবি ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে করা মামলার আসামি এবি ব্যাংকের সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মসিউর রহমান চৌধুরী ও শামীম আহমেদ চৌধুরীসহ ১৫ জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও দুদকের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ মামলার আসামি ব্যাংকটির সাবেক এভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার আবদুর রহিম ও ব্যংকটির সাবেক ভিপি শহিদুল ইসলামের জামিন আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত আব্দুর রহিম ও শহিদুল ইসলামকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: ঋণ জালিয়াতি: এবি ব্যাংকের সাত্তারকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
যাদেরকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন-এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি মসিউর রহমান চৌধুরী ও শামীম আহমেদ চৌধুরী, এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক ব্যবসায়ী মো. এরশাদ আলী, ব্যাংকটির সাবেক ইভিপি ও শাখা ম্যানেজার এ বি এম আবদুস সাত্তার, এসভিপি ও সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার আনিসুর রহমান, এভিপি মো. রুহুল আমিন, ইভিপি এবং হেড অব সিআরএম ওয়াসিকা আফরোজী, ভিপি, সিএমআরের সদস্য মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব সিআরএম সালমা আক্তার, এভিপি ও সিআরএম সদস্য এমারত হোসেন ফকির, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম, এসভিপি ও সিআরএমের সদস্য শামীম এ মোরশেদ, ভিপি ও সিআরএমের সদস্য খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, এভিপি ও সিআরএমের সদস্য সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ভিপি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য মাহফুজ-উল ইসলাম।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান ও সরকার পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, আব্দুর রহিম ও শহিদুল ইসলামের জামিন আবেদনের শুনানিকালে আদালত জানতে চান, ‘এই দু’জন কারাগারে, বাকি ১৫ জন কোথায়। তখন আমি বলেছি দুদক তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরপর হাইকোর্ট পালিয়ে বেড়ানো ১৫ জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। আদেশ হাতে পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এই গ্রেপ্তার করতে হবে। এছাড়া তারা যাতে বিদেশ যেতে না পারে সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দুদক, ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং আইজিপি’র প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবি ব্যাংকের অনলাইন ‘এ-চালান’ সেবা চালু
এর আগে গত ৯ জুন দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি হয়। দুদকের উপসহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আসামিরা ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে একে অন্যের সহায়তায় জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে জাল কার্যাদেশ প্রস্তুত করে ছয়টি জাল কার্যাদেশের বিপরীতে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া মামলায় উল্লিখিত এবি ব্যাংক কাকরাইল শাখার কর্মকর্তারা প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়া সাতটি অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে আরও ১০ কোটি টাকা ঋণ দেন, তা তুলে আত্মসাৎ করেন। সব মিলিয়ে আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
২ বছর আগে
ঋণ জালিয়াতি: এবি ব্যাংকের সাত্তারকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
পদ্মা বহুমুখী সেতুর ঠিকাদারির নাম করে অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় এবি ব্যাংকের সাবেক ইভিপি এবং ম্যানেজার এবিএম আবদুস সাত্তারকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসিফ হাসান।
পড়ুন: প্রতারণার মামলা: সাহেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, পদ্মা বহুমুখী সেতুর ঠিকাদার সিনোহাইড্রেন করপোরেশন লিমিটেড ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নাম করে ৬টি ভুয়া ও জাল ওয়ার্ক অর্ডার করে ৭টি অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ ঋণ দেয়া নিয়ে গত ৮ জুন মামলা হয়। দুদকের উপপরিচালক পরিচালক আবুল কালাম আযাদ ১৭ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।
এ মামলায় এবি ব্যাংকের সাবেক ইভিপি এবং ম্যানেজার এবিএম আবদুস সাত্তারকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।
পড়ুন: সাবেক এমপি আউয়ালকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
৩ বছর আগে