সিডস ফর দ্য ফিউচার
‘সিডস ফর দ্য ফিউচার' আঞ্চলিক রাউন্ডে থাইল্যান্ড গেলেন বাংলাদেশের ৮ শিক্ষার্থী
‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’- এর এশিয়া প্যাসিফিক রাউন্ডে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন হুয়াওয়ের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২২, বাংলাদেশ’ রাউন্ডের বিজয়ীরা। তারা আগামী ১০দিন থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’- এর পরবর্তী রাউন্ডে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আরও ১০ টি দেশের পাশাপাশি আসিয়ান ফাউন্ডেশন এবং আইটিইউ থেকে আগত অন্যান্য ১১২ জন প্রতিযোগীর সঙ্গে অংশ নেবেন।
এবছর এপ্রিল মাসে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২২, বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যেখানে প্রায় ১০০০ ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয় এবং জুলাই মাসে ৯জনকে বাংলাদেশ পর্বের বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই প্রতিযোগিতার পরবর্তী রাউন্ড হিসেবে আসিয়ান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় থাইল্যান্ডে এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক রাউন্ডের আয়োজন করা হচ্ছে যা আগামীকাল পার্ক হায়াত, ব্যাংকক বিজনেস সেন্টারে উদ্বোধন করা হবে।
এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন, হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝ্যাং ঝেংজুন ও আসিয়ান ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. ইয়াং মি ইং এবং ইউনেস্কোর এডুকেশনাল ইনোভেশন ও স্কিল ডেভেলপমেন্টের সেকশন প্রধান লিবিং ওয়াং সহ আরও অনেকে।
এই আঞ্চলিক রাউন্ডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষা ও প্রতিযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে কালচারাল ট্যুর, বিভিন্ন বিষয়ে নানাধরনের কর্মশালা ও খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সাথে নলেজ শেয়ারিং সেশন।
এইসব আয়োজনের মূল বিষয়বস্তু হিসেবে থাকবে- ডিজিটাল উদ্ভাবন, মেটাভার্স, সাসটেইনিবিলিটি এবং নেতৃত্ব গুণাবলী অর্জন। এছাড়াও তাঁরা থাইল্যান্ডে অবস্থিত জাতিসংঘ কার্যালয় এবং হুয়াওয়ে ওপেন ল্যাব পরিদর্শন করার সুযোগ পাবেন।
সব মিলিয়ে অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা, মুক্তচিন্তা, আইসিটি স্কিল এবং নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে ৩০জন বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে যারা আগামী ২৯ আগস্ট সিঙ্গাপুরে ‘টেকফরগুড অ্যাকসেলেরেটর ক্যাম্পে’ অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: ৩০ শিক্ষার্থী নিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’
হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
২ বছর আগে
৩০ শিক্ষার্থী নিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’
সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২২, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার তৃতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবে ৩০ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ, অ্যাকাডেমিক জ্ঞান, সৃজনশীলতা/প্রজেক্ট আইডিয়া ও ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে তাদের এ প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
হুয়াওয়ের কর্মকর্তা, প্রজেক্ট ম্যানেজার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেয়া ২০০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে থেকে তৃতীয় রাউন্ডের জন্য এই ৩০ শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করেন।
প্রাথমিকভাবে এই প্রোগ্রামে এক হাজার একশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে যেই ৩০ জন এখন এখন তৃতীয় রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছে এই ধাপে তাদের দক্ষতা, পরীক্ষা, প্রকল্প, ও প্রেজেন্টেশেন স্কিল রপ্ত করার ওপর জোর দেয়া হবে।
‘মিট দ্য মেন্টর’ শীর্ষক প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। তৃতীয় রাউন্ডের পারফরমেন্সের ভিত্তিতে নয়জন সেরা শিক্ষার্থী থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন। এবং রিজিওনাল রাউন্ডের বিজয়ীরা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য ‘টেকফরগুড অ্যাকসেলেরেটর ক্যাম্প’ এ অংশ গ্রহণ করবে।
এ নিয়ে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশন্স বিভাগের প্রধান ইউইং কার্ল বলেন, ‘নয় বছর আগে হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ (এসএফটিএফ) প্রোগ্রামটি চালু করে। প্রতিবারই আমরা অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। এই বছর অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা চমৎকার। আইসিটি খাত রূপান্তরের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। এই স্বপ্নপূরণে তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মেধাবী এসব তরুণদের মাঝে যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে তা দেখে আমি বেশ আশাবাদী। আমাদের এ প্রোগ্রামটি দেশের চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ প্রোগ্রামটি দেশটির ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরাণ্বিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এসএফটিএফ এর পরবর্তী ধাপে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।’
পড়ুন: অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
সেরা ৩০ জন শিক্ষার্থী হলেন-বুয়েট থেকে তাকি ইয়াশির, এলিন রঞ্জন দাস ও গোলাম মাহমুদ সামদানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহাদ সারোয়ার, শাদমিন সুলতানা, মো. আশিকুজ্জামান কৌশিক ও নাফিসা আমিন হৃদি, কুয়েট থেকে সুনন্দা দাস ও মো. সাজেদুর রহমান, রুয়েট থেকে মনোয়ারা নাজনীন, ফারহানা আমিন, মাদিহা বিনতে জাকির, মেহেরীন তাবাসসুম ও মো. মাশরুর সাকিব, আইইউটি থেকে ওয়াসিফা রহমান রেশমি, আনিকা রেহনুমা, মো. সুমিত হাসান, ফাইরুজ শাইআরা ও মো. সাজিদ আলতাফ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে মাফরুজা মাহরিন নেহা, সাদ মাহবুব চৌধুরী ও মারজিয়া তাবাসসুম প্রীতি, এইউএসটি থেকে আব্দুল্লাহ সালেহ ও আবু মো. ফুয়াদ, চুয়েট থেকে সুমাইয়া আবুল কালাম ও মোহাম্মদ ইফতেখার ইবনে জালাল, এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে মো. সায়েম সাদাত হোসাইন, লাজিব শারার শায়ক, মোহসীনা তাজ ও আংকিতা কুন্ড।
বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে সামগ্রিক আইসিটি ইকোসিস্টেম বিকাশে অবদান রাখছে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশের মানুষকে ডিজিটাল রূপান্তরের সুফল ভোগ করতে সহায়তা করছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।
‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ উদ্যোগটি বৈশ্বিকভাবে ২০০৮ সালে থাইল্যান্ডে শুরু হয়। এখন পর্যন্ত, এ প্রোগ্রামটি বিশ্বব্যাপী ১৩৭টি দেশে চালু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী ও ৫০০ এরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এ উদ্যোগের সুবিধাভোগ করেছে। এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) ও নন-এসটিইএম পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এসএফটিএফ প্রোগ্রাম অংশগ্রহণকারীদের জন্য শেখার সুযোগ তৈরি করছে।
পড়ুন: দেশের বাজারে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’র রিয়েলমি ৯ ফোরজি ও সি৩৫
২ বছর আগে
হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১ বাংলাদেশ’এর ১৬ জন শীর্ষস্থান অধিকারকারীর নাম ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে। সোমবার (০১ নভেম্বর) অনলাইনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই বিজয়ীদের নাম জানানো হয়।
‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বিশ্বব্যাপী এসটিইএম (সায়েন্স, টেকনোলোজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাথ) শিক্ষার্থীদের জন্য হুয়াওয়ের বিশেষ একটি ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আইসিটি খাতের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করা হয়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে চালু হওয়ার পর থেকেই এ প্রোগ্রামটি এই খাতের প্রতিভাবানদের মেধা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে।
এ বছর ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১ বাংলাদেশ’ এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট-এর পাশাপাশি প্রথমবারের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় শাবিপ্রবি শীর্ষে
বাছাই পর্বে এ বছর এই আটটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬শ’ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের অ্যাকাডেমিক রেকর্ড, তাৎক্ষণিক পরীক্ষা (স্পট এক্সাম), উপস্থাপন দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তার ভিত্তিতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রীকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও একটি বিশেষ জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল যা স্পট এক্সামের জন্য প্রশ্নপত্র তৈরি ও অংশগ্রহণকারীদের মূল্যায়নে কাজ করেছে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা হলেন: বুয়েট থেকে ইমতিয়াজ আহমেদ ও সৈয়দা ফাতিমা ফায়রুজ; কুয়েট থেকে সুমাইয়া রহমান ও মেহেদী হাসান; রুয়েট থেকে নাহিয়ান রিফাত ও নাজিফা রহমান অধরা; চুয়েট থেকে অনিন্দ্য নন্দী ও ফাতেমা ইসলাম তানিয়া; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সৈয়দ দোহা উদ্দিন ও নিশাত তাসনিম; ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে সীমামুন হাসিবা রেজা ও মোহতাসিম তাসনিম জামান; এইউএসটি থেকে কাজী আরহাম কবির ও সাদিয়া কারিশমা কবির; এবং আইইউটি থেকে এ কে এম রাকিব ও রামিশা রাইদা করিম।
আরও পড়ুন : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে সংযোজিত হচ্ছে আরও ৪টি মিউজুবাস
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. ওমর জাহ্ এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং ঝেংজুন। এছাড়াও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সাধারণত শিক্ষা সফরে চীনে যায়, তবে কোভিড-১৯ মহামারির ফলে এ প্রশিক্ষণটি একটি অনলাইন প্রোগ্রামে রূপান্তরিত করা হয়েছে। বিজয়ীদের পুরস্কারের পাশাপাশি সনদপত্রও প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন : শাবির ৯৫ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ
৩ বছর আগে