দস্যু
সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ
সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজটিতে কর্মরত ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক দস্যুদের কাছে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে এ জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়ে। সোমালিয়া থেকে প্রায় ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্রে অন্তত ১০০ দস্যু জাহাজটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, জাহাজের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। জাহাজের ক্রুরা (নাবিক) নিরাপদে রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক যে প্রক্রিয়া ও কৌশল রয়েছে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি জাহাজ এবং ক্রুরা নিরাপদে দেশে ফিরবে।
আরও পড়ুন: প্রথমবার ঝুট নিয়ে ভারতে যাচ্ছে বাংলাদেশি জাহাজ
নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, সমুদ্রগামী এ জাহাজ কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল। গালফ অব ইডেনে পৌঁছালে জাহাজটিতে হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় দস্যুরা। তাদের অনেকের হাতে অস্ত্র রয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নাবিকেরা নিরাপদে রয়েছেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামের এসআর শিপিং লিমিটেড। এটি মূলত বাল্ক ক্যারিয়ার।
আরও পড়ুন: কলম্বো বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজের জন্য অগ্রাধিকারমূলক নোঙ্গরের সুবিধা
৮ মাস আগে
সুন্দরবনে আর দস্যুতা করতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুন্দরবনের কোথাও আর দস্যুতা করতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের জলে, স্থলে, বনে কোথাও আর দস্যুতা করতে দেয়া হবে না। দস্যুতা রোধে র্যাবের স্থায়ী ক্যাম্প নির্মাণ করা হবে। প্রয়োজনে কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হবে।’
সোমবার (০১ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আয়োজিত দস্যুমুক্ত সুন্দরবন দিবসের তৃতীয় বর্ষপূর্তি ও আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সাবেক দস্যুদের পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দস্যুতা ছেড়ে যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন তাদের নামে থাকা ধর্ষণ ও খুনের মামলা ছাড়া অন্য সব মামলা পর্যায়ক্রমে তুলে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সাবেক দস্যুদের পুনর্বাসন করা হয়েছ। যদি কেউ আবার বিপথে যান, তবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীও বসে থাকবে না।’
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটন: সেবা কার্যক্রম উন্নত করতে অটোমেশনের দিকে নজর
তিনি বলেন, ‘আমি এখানে (রামপালে) এসে শুনতে পেয়েছি, কেউ কেউ আবার বিপথে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু বিশ্বাস করিনি। আমি জানি, আপনারা কষ্ট করছেন। আপনাদের জীবিকার জন্য সরকার আপনাদের পাশে আছে, আমরা আপনাদের ভুলিনি।’
মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এখানে মাছ ও মধু আহরণ করা হয়। এগুলোকে টার্গেট করে গড়ে ওঠে জলদস্যু-বনদস্যু বাহিনী। সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করা হয়েছে, এটাকে ধরে রাখতে হবে। এ ধারা অব্যাহত এবং সুসংহত রাখতে সেখানে র্যাবের একটি স্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। এখানে ডাকাতি হতে দেয়া হবে না। সুন্দরবনে এখন শান্তি প্রবাহমান। এখানে আগে জেলে- মৌয়ালদের আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করাসহ নানা ধরণের অপরাধ করা হতো।
আসাদুজ্জামান বলেন, আত্মসমর্পণকারী দস্যু ও তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা যেন স্বভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন, সেজন্য নগদ অর্থ, ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, নৌকা ও জাল দেয়া হয়েছে। তবে, মনে রাখতে হবে এখানেই শেষ নয়। যাদের পুনর্বাসনের আওতায় আনা হয়েছে, তাদের বিষয়ে নিবিড় নজরদারিও থাকবে। তারা যদি পুনরায় একই ধরণের অপরাধ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন : পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে সুন্দরবন!
তিনি বলেন, যেসব দস্যু আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের মামলাগুলো কীভাবে প্রত্যাহার করা যায় সে জন্য পাবলিক প্রসিকিউটিরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা বিভাগের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। আশ করছি শিগগিরই মামলা তুলে নেয়া বা প্রত্যাহার করা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যেমন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক নির্মূলের কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ঠিক তেমনই সুন্দরবনকে নিরাপদ রাখতে সব ধরণের কর্মকাণ্ডও অব্যাহত রাখা হবে।
৩ বছর আগে