বাংলাদেশ ব্যংক
ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
বাণিজ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের ব্যবস্থাপক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা শাখার (ডব্লিউটিওটিও) মহাপরিচালক, বিকাশ, নগদ, এসএসএল কমার্স, ফস্টার পেমেন্টস ও সূর্য পের প্রধান নির্বাহীকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে ২১ অক্টোবর এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)’।
আরও পড়ুন: দুই মাসের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নেয়ার নির্দেশ
সাবরিনা জেরিন বলেন, ‘ই-কমার্স ব্যবসায় অনেক গ্রাহক বা ক্রেতা অনলাইনে অর্ডার বা বিনিয়োগ করেছেন। পণ্য না পেলে সেসব গ্রাহকের টাকা ফেরত পাওয়ার কথা। কিন্তু এ টাকাটা ফেরত আসেনি। ফলে গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও যেন কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। যে কারণে নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছিলাম। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন।’
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা বিকাশ, নগদ ও পেমেন্ট গেটওয়ে এসএসএল কমার্স, ফস্টার পেমেন্টস ও সূর্য পে- এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানে আটকে থাকা টাকা ফেরত দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে গত ২১ অক্টোবর কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংগঠন সিসিএস’র পক্ষে ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন এ রিট দায়ের করেন।
ই-কমার্সে কোনো গ্রাহক পণ্যের অর্ডার দিলে তার টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে থাকে। পণ্য ডেলিভারি হওয়ার পর প্রমাণ জমা দিয়ে সেই টাকা ছাড় পায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। গত ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ থেকে এক নির্দেশনায় এ পদ্ধতি চালু করা হয়। কিন্তু গ্রাহক পণ্য না পেলেও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া টাকা ফেরত পান না। ফলে গ্রাহকের টাকা আটকে থাকছে। এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে এরই মধ্যে গ্রাহকের কয়েকশ কোটি টাকা গেটওয়েগুলোতে আটকে রয়েছে।
পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে আউট: বাণিজ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে