ইন্দো-প্যাসিফিক
ইন্দো-প্যাসিফিকে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আলোচনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বেলজিয়ামে গত ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ইইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে অংশ নিয়ে দেশে ফিরে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফোরামে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষা বিষয়ে বক্তৃতার দিয়েছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, ইইউ কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস ও কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট এবং ভিয়েতনাম, বেলজিয়াম, চেক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, পর্তুগাল, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, দশটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
লিবিয়া ও থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ
এর আগে সোমবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুলমুতালিব এস সুলাইমান এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠকে লিবিয়ার পুনর্গঠনে বাংলাদেশ পাশে থাকবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে বাংলাদেশি ডাক্তার, নার্স, প্রকোশলী, কৃষিবিদসহ দক্ষ পেশাজীবী ও জনশক্তি এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজের সুযোগের বিষয়ে আলাপ করেন।
থাই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট, চট্টগ্রাম-ইয়াঙ্গুন কোস্টাল শিপিং, ওষুধ, চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি, এলএনজি আমদানি বিষয়ে আলোচনা করেন ড. হাছান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলস সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল এবং সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার জেনাজ লেনারসিকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
১ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি লুক্সেমবার্গ সফরকালে তিনি লুক্সেমবার্গের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
এছাড়া বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, লিথুয়ানিয়া, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, ভিয়েতনাম ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলসের উদ্দেশে বুধবার রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন।
সম্প্রতি উগান্ডায় অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে দুই দিনে ১৭টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা স্মরণ করে বুধবার রওনা হওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'দেখা যাক আমরা কতগুলো বৈঠক করতে পারি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল এই ফোরামের সভাপতিত্ব করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল ফোরাম ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলোকে পশ্চিমে আফ্রিকার পূর্ব উপকূল থেকে পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত দেশগুলোর সঙ্গে একত্রিত করবে।
ইইউ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদাররা উভয় অঞ্চলকে প্রভাবিত করে এমন জটিল অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, ভূ-রাজনৈতিক ও সুরক্ষা চ্যালেঞ্জগুলোর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এতে একটি উদ্বোধনী অধিবেশন, তিনটি গোলটেবিল আলোচনা এবং একটি সমাপনী অধিবেশন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ব্রাসেলস ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে এবং ২০২৩ সালের মে মাসে স্টকহোমে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী দুটি ফোরামের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আয়োজন করা হয়েছে।
সংলাপের জন্য এটি একটি প্ল্যাটফর্ম। এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি, সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সংহতি বাড়াতে প্রায়োগিক উপায়গুলো চিহ্নিত করাই এ প্লাটফর্মের উদ্দেশ্য ।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
ইউরোপ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অত্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত এবং পরস্পর নির্ভরশীল, এ কারণেই ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম ইউরোপ এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের মধ্যে সংলাপ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।
অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতার জন্য ২০২১ সালের ইইউ কৌশলটি নির্ধারণ করে যে কীভাবে ইইউ এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতে, এটি স্পষ্ট যে সহযোগিতা এই চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ঝুঁকি ও বাধাগুলোর স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার মূল চাবিকাঠি।
বিশেষ করে ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন ও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
১০ মাস আগে
অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ সফরে ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশের নেতৃত্বের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ সদস্যের ব্রিটিশ ক্রস-পার্টি সংসদীয় প্রতিনিধি দল সফরে আসছে।
২৮ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
তাদের আজ (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটিই যুক্তরাজ্যের প্রথম সংসদীয় সফর।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ চায় যুক্তরাজ্য
সাবেক কনজারভেটিভ টেক অ্যান্ড ডিজিটাল ইকোনমি মন্ত্রী পল স্কালি এমপির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের এই সংসদীয় প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- ৩ জন লেবার দলের সংসদ সদস্য (এমপি)। তারা হলেন- বাংলাদেশবিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও ইন্দো-ব্রিটিশ বিষয়ে এপিপিজির চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মা এমপি, ইউকে হাউস অব কমন্সের পররাষ্ট্রবিষয়ক নির্বাচন কমিটির সদস্য নিল কোয়েল এমপি ও হাউস অব কমন্সে বিরোধীদলীয় হুইপ অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন এমপি। হাউস অব কমন্সের জ্যৈষ্ঠ সংসদীয় সহকারী ডমিনিক মফিটও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
এছাড়া, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকবেন কুইন্স কমনওয়েলথ ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও সিডব্লিউইআইসির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই এবং কানেক্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ইভেলিনা বানিয়ালিয়েভা।
প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়া সফর করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এবারই প্রথম ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ পরিদর্শন করছে।
সফরকালে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করার পর একটি সবুজ পোশাক কারখানা পরিদর্শন করবে।
তারা ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য সিলেট সফর করবেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের উদারভাবে আশ্রয় প্রদান এবং দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে ৩০ জানুয়ারি প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল এবং কমনওয়েলথ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কানেক্ট এই সফরের সমন্বয় করছে।
প্রতিনিধি দলটির ৩১ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের আহ্বান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের
১০ মাস আগে
ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ চায় যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্য জরুরি মানবিক সেবা দিতে আরও ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ডের তহবিল ঘোষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়কমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ব্যাংককে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) আঞ্চলিক সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে রোহিঙ্গা শরণার্থীবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠক ১৭ অক্টোবর
ট্রেভেলিয়ান বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজতে যুক্তরাজ্য অঙ্গীকারবদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন অন্তর্ভুক্ত, যখন সেখানকার পরিস্থিতি উপযুক্ত হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যেতে না পারা পর্যন্ত আমরা চলমান মানবিক সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য আমরা বাংলাদেশে শরণার্থীদের সুরক্ষা সেবা, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির জন্য যুক্তরাজ্যের আরও ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে টেকসই সমাধান এবং রোহিঙ্গা ও তাদের স্বাগতিক দেশগুলোর প্রতি সমর্থন নিয়ে আলোচনার জন্য আজকের সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।’
৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ডের তহবিলের মধ্যে রয়েছে-
রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে ২ দশমিক ১ মিলিয়ন পাউন্ড।
শরণার্থী ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য এনজিওগুলোর মাধ্যমে ২ মিলিয়ন পাউন্ড। এনজিওগুলির মধ্যে রয়েছে- নরওয়েজিয়ান রেফিউজি কাউন্সিল, ড্যানিশ রেফিউজি কাউন্সিল, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি এবং হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিতে ব্যাংককে মোমেন
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) মাধ্যমে ৪ লাখ ৫০০০০ হাজার পাউন্ড।
সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রেভেলিয়ান।
২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য ৩৭০ মিলিয়ন পাউন্ড এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের সহায়তার জন্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এর মধ্যে খাদ্য, পানীয়, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং সুরক্ষা পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যা ক্যাম্পগুলোর নারী ও মেয়েদের জন্য অত্যাবশ্যক।
যুক্তরাজ্য ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ সমর্থন করে এবং মিয়ানমারের জনগণের পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা সকল সহিংসতার অবসান এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য এবং প্রয়োজনীয় সকলের কাছে নিরাপদ ও বাধাহীন মানবিক অভিগম্যতার জন্য আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি।’
২০২৩ সালের মার্চে প্রকাশিত ইন্টিগ্রেটেড রিভিউ রিফ্রেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রোহিঙ্গাদের প্রতি যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সমর্থন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতি তার দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন: আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
১ বছর আগে
স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের আহ্বান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেছেন, ভারত একটি মুক্ত ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; যেখানে সকল জাতির সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা হয়। কারণ এই অঞ্চলে চীনা প্রভাব নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস কনফারেন্সে জেনারেল মনোজ পান্ডে এসব কথা বলেন।
সামরিক কূটনীতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রচারের লক্ষ্যে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ৩০টি দেশের সেনাপ্রধান ও প্রতিনিধিদল দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, যা বুধবার শেষ হবে।
পান্ডে বলেছেন, এই অঞ্চলের দেশগুলো যখন একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিতে কাজ করছে, তখন ‘আমরা আন্তঃরাজ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা দেখতে পাচ্ছি।’
পরোক্ষভাবে তিনি চীনের কথা বলেছেন, কেননা দেশটি সম্প্রতি এই অঞ্চলে তার কার্যক্রম বাড়িয়েছে।
পান্ডে বা মার্কিন সেনাপ্রধান র্যান্ডি জর্জ কেউই তাদের মন্তব্যে স্পষ্টভাবে চীনের কথা উল্লেখ করেননি।
একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনা সম্প্রসারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জর্জ বলেন, অঞ্চলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। ‘এ কারণেই আমরা এই কনফারেন্স আয়োজন করেছি এবং এজন্যই আমরা প্রশান্ত মহাসাগরের অন্য যে কোনও জায়গার চেয়ে এই অঞ্চলে বেশি সক্রিয়।’
মার্কিন সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘এই সম্মেলন যা প্রমাণ করে... তা হলো (আমাদের) ঐক্য ও প্রতিশ্রুতি।’
পরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পান্ডে বলেন, ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়ই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, বলপ্রয়োগ এড়ানো এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা।
তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো ছাড়াও, আঞ্চলিক বিরোধসহ ‘কৃত্রিমভাবে সম্প্রসারিত দ্বীপগুলোকে রিয়েল এস্টেট অধিগ্রহণ এবং সামরিক ঘাঁটি স্থাপন’-সহ অঞ্চলটি স্থল নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং মানবিক উদ্বেগের সম্মুখীন হয়েছে।’
এখানেও চীনের নাম উহ্য রাখেন তিনি।
দ্বীপগুলোর উপর পূর্ব চীন এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আঞ্চলিক দাবি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাশাপাশি জাপানের বেইজিংয়ের ছোট প্রতিবেশীকে বিচলিত করেছে।
এদিকে ২০২০ সাল থেকে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
সেসময় হিমালয় লাদাখ অঞ্চলে অনির্ধারিত সীমান্তে সংঘর্ষে মোট ২৪ জন ভারতীয় ও চীনা সৈন্য নেহত হয়। তাদের মধ্যে ২০ জন ছিল ভারতীয় এবং চার জন ছিল চীনা সৈন্য।
১ বছর আগে
ইন্দো-প্যাসিফিকের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হতে চায় কানাডা
বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস বলেছেন, তার দেশের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল স্বীকার করে যে বিশ্বের ভবিষ্যত পরস্পরের সঙ্গে জড়িত।
তিনি ‘কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি: এ নিউ হরাইজন অব অপারচুনিটি’- শীর্ষক সমসাময়িক ইস্যুতে বিআইপিএসএস এবং কানাডিয়ান হাইকমিশন যৌথভাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে হাইকমিশনার নিকোলস ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের তাৎপর্য তুলে ধরেন, যেখানে বিশ্বের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী জিডিপির অর্ধেক অর্জনের সম্ভাবনা নিয়ে বসবাস করে।
কানাডিয়ান দূত বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল কানাডার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক নীতি।’
তিনি উল্লেখ করেছেন যে ‘পিস এন্ড সিকিউরিটি’ শিরোনামের প্রথম স্তম্ভে কানাডার উদ্দেশ্য অবাধ, উন্মুক্ত, ও অন্তর্ভুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক।
আরও পড়ুন: কানাডার সংসদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিল পাশ
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও কানাডা উভয়ই ২০২৫ সালের মধ্যে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অর্জনের জন্য শান্তিরক্ষাকারী দেশগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, কানাডিয়ান কৌশলের অন্যান্য প্রধান স্তম্ভগুলো হলো- অর্থনৈতিক বন্ধন, সবুজ ভবিষ্যত এবং জনগণের মধ্যে বন্ধন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) এর প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ক্রমবর্ধমানভাবে সংযুক্ত বিশ্বে যেখানে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের জন্য সমষ্টিগত প্রচেষ্টার প্রয়োজন, কানাডা তখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্ব স্বীকার করেছে এবং এরসঙ্গে জড়িত থাকার জন্য একটি ব্যাপক কৌশল তৈরি করেছে’।
আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকের সঞ্চালনাকালে মেজর জেনারেল (অব.) এএনএম মুনিরুজ্জামান।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে আফ্রিকার পূর্ব উপকূল থেকে আমেরিকার পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, গতিশীল সংস্কৃতি এবং উদীয়মান ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের আবাসস্থল।
তিনি বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বিশ্ব বাণিজ্য, উদ্ভাবন ও সহযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এর মূল অংশে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলটি নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি থেকে শুরু করে কূটনীতি পর্যন্ত ৩টি বিস্তৃত স্তম্ভের ওপর নির্মিত।’
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ৪০টি দেশের অর্থনীতি, ৪ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ এবং আনুমানিক ৪৭ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড রয়েছে।
আরও পড়ুন: কানাডায় বাংলাদেশ হেরিটেজ সোসাইটি অব আলবার্টার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, কানাডা একটি শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল চায়, যেখানে ইরান ও সৌদি আরব ছাড়া ৪০টি দেশ আছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে আন্তর্জাতিক অঙ্গন এবং ভূ-রাজনীতিতে জাতীয় স্বার্থ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, মূল্যবোধ যাই হোক না কেন।
ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসি বলেন, কানাডা অবশেষে তার অস্পষ্ট অবস্থান থেকে সরে এসেছে এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তার স্পষ্ট অবস্থান চিহ্নিত করেছে।
তিনি বলেন, কানাডা একটি দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত একটি আখ্যান অনুসরণ করে না, বরং কানাডার নিজস্ব বর্ণনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র রয়েছে বলে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আলোচনাকারীরা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি মূল বিষয় তুলে ধরেন।
উদাহরণস্বরূপ, গঠনবাদ ও কানাডার প্রকাশিত ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের সঙ্গে এর প্রাসঙ্গিকতা।
এগুলো ছাড়াও নিরাপত্তা, কৌশল ও বহুপক্ষীয়তার অন্যান্য বিষয়গুলোও বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা, প্রতিরক্ষা কর্মী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, পণ্ডিত ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষি সহযোগিতা চায় কানাডা: সফররত মন্ত্রী
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা সংকট, ইন্দো-প্যাসিফিক, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ ও সুইডেনের মতবিনিময়
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম স্টকহোমে সুইডিশ পার্লামেন্ট রিক্সডাগের পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্রস-পার্টি সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, পারস্পরিক স্বার্থ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।
১৬ জুন উভয় পক্ষ বাংলাদেশকে সুইডিশ উন্নয়ন সহযোগিতায় সমর্থন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা এবং শ্রম খাতে বাংলাদেশের জাতীয় কর্মপরিকল্পনার বিষয়েও মতবিনিময় করেছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীন নীতি অনুসরণে বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকারকে সকলের সম্মান করতে হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আইটি ও ফিনটেক(আর্থিক লেন-দেন প্রযুক্তি) খাতে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতা এবং সবুজায়ন, বাংলাদেশ-ইইউর ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, ইউক্রেনে যুদ্ধ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়েও আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী সুইডিশ সংসদীয় কমিটিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিশেষ করে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং তার ‘রূপকল্প ২০৪১’ সম্পর্কে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
কমিটির চেয়ারম্যান অ্যারন এমিলসন (সুইডেন ডেমোক্র্যাট), ডেপুটি চেয়ারম্যান মরগান জোহানসন (সুইডিশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি), এবং সদস্য মার্গারেটা সেডারফেল্ট (মডারেট পার্টি), জ্যাকব রিসবার্গ (গ্রিন পার্টি) এবং ম্যাগনাস বার্নটসন (খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাট) রিক্সড্যাগের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেহেদী হাসান এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়ক মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজ।
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়ন, সবুজ রূপান্তরে সহযোগিতা করতে আগ্রহী সুইডেন
১ বছর আগে
ইন্দো-প্যাসিফিক: বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বাড়াতে চায় ফ্রান্স
সফররত ফরাসি কর্মকর্তা বলেছেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইন্দো-প্যাসিফিকের দেশগুলোর সঙ্গে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক ঘনিষ্ঠ’ সহযোগিতা থাকবে।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়ান অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর (সাধারণ রাজনৈতিক অধিদপ্তর) বার্ট্রান্ড লরথোলারি সাংবাদিকদের বলেন, এটি আমাদের একসঙ্গে কাজ করা সাধারণ কাজগুলো বোর্ডে পর্যালোচনা করে নতুন প্রকল্প এবং উদ্যোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ দেয়।’
আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে এবং সকলের জন্য বিনিময় করে নেয়া সমৃদ্ধিসহ ‘মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য ফ্রান্স এবং বাংলাদেশ একই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।
এক প্রশ্নের জবাবে লরথোলারি বলেন, দুই দেশ অনেক কিছু করতে পারে এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা সেই প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার অংশ।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা নিরাপত্তার কথা বলি, তখন আমরা সামুদ্রিক পরিবহনের নিরাপত্তা, সমুদ্রে পণ্য পরিবহন এবং একসঙ্গে অবৈধ মাছ ধরার বিষয়েও কথা বলি। আমরা শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়েও কথা বলছি যেখানে বাংলাদেশের একটি লক্ষ্যণীয় অবস্থান রয়েছে।’
এর আগে, ফরাসি কর্মকর্তা বাংলাদেশের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ এবং ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, জনগণের সঙ্গে জনগণের আদান-প্রদান, সংযোগ, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যাসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জাহাজের শুভেচ্ছা সফর ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক: প্রণয় ভার্মা
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপয়, ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল এবং ডেপুটি ডিরেক্টর, ফরাসি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এফডিএ) সেসিলিয়া কর্টেস।
২০২১ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় সফরের কথা উল্লেখ করে ফরাসি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা একটি সমৃদ্ধ সম্পর্ক উপভোগ করছি। আমাদের একটি খুব মজবুত ভিত্তি রয়েছে।’
হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের সময় দুই দেশ তাদের অংশীদারিত্বের প্রতিরক্ষা এবং সুরক্ষা উপাদানকে আরও সমৃদ্ধ করতে তাদের ইচ্ছার কথা জানায়।
সেই লক্ষ্যে উভয় দেশ সংলাপ জোরদার করতে এবং তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে, বিশেষ করে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে, যা সফরের সময় শুরু হয়েছিল।
দুই দেশ আগামী বছর প্যারিসে দ্বিতীয় আলোচনায় বসবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুত সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে জার্মানি
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস: দূতাবাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস। ২০২১ সালের হিসেব অনুযায়ী যা এক ট্রিলিয়নের কাছাকাছি।
এছাড়া বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় উৎসও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে দেশটি ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
পঞ্চম ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম আগামী ১২ জানুয়ারি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। যা মানুষদের ইন্দো-প্যাসিফিক এবং মার্কিন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে: মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারিকে শাহরিয়ার আলম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সরকার পঞ্চম ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প নির্বাহী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের স্বাগত জানাবে।
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় ও ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম (আইপিবিএফ) এর সহযোগিতায় এবং জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে অংশীদারিত্বে মার্কিন বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার আয়োজন
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর অংশীদারদের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে উন্নীত করতে দেশটির সরকারি-বেসরকারি অংশগ্রহণের মূল প্লাটফর্ম।
জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক দেশ এবং সারা বিশ্বের অংশগ্রহণকারীদের জন্য শক্তিশালী ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের 'সুবিধা ও অসুবিধা' মূল্যায়ন করছে বাংলাদেশ: মোমেন
সব কূটনীতিকদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-ইইউ ‘অংশীদারি সহযোগিতা’ চুক্তি সই করতে আগ্রহী
বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে একটি ‘অংশীদারি সহযোগিতা’ চুক্তি সই করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কারণ এর জন্য ব্যাপক আলোচনা ও সমঝোতার প্রয়োজন রয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা এই ধরনের ব্যবস্থার বিষয়ে দুই পক্ষের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রথম ‘রাজনৈতিক সংলাপের’ মাঝামাঝি সময়ে তারা যৌথভাবে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান এবং বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতির সহযোগিতা জোরদারে উভয় পক্ষ প্রথমবারের মতো উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় মিলিত হয়েছেন।
সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা।
সংলাপে শান্তি বিনির্মাণ, সংঘাত প্রতিরোধ, ইন্দো-প্যাসিফিক, ইউক্রেন ইস্যু, সংযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের মতো উভয়ের স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর অনুষ্ঠিত হবে: শাহরিয়ার আলম
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের অক্টোবরে, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে দেখা করার সময় উভয় পক্ষ রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে সম্মত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, জাতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গতি এবং নতুন আত্মবিশ্বাসকে স্বীকার করেছে ইইউ। ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর আলোকপাতসহ উভয়ের স্বার্থের ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহী।
আরও পড়ুন: ব্রুনাই থেকে বছরে ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি পাবে বাংলাদেশ
২ বছর আগে