ডা. জাহিদ
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন অনেক ভালো: ডা. জাহিদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় গিয়ে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
জাহিদ মালেক বলেন, 'ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছেন খালেদা জিয়া
জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান এবং তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান (প্রয়াত আরাফাত রহমানের মেয়ে) খালেদা জিয়ার দেখাশোনা করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ তিনি মানসিকভাবে আগের চেয়ে অনেক ভালো আছে। চিকিৎসকরা তাকে বাসায় দেখতে গেছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।’
গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নেওয়া হয়।
একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আরও ছয়জন বাংলাদেশি চিকিৎসকের সঙ্গে ভ্রমণ করা অধ্যাপক জাহিদ জানান, লন্ডনে আসার পর থেকে তিনি লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
বর্তমানে তিনি অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি, অধ্যাপক জেনিফার ক্রস ও ড. ব্যারেটের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জাহিদ মালেক বলেন, 'বাসায় চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করছেন এবং পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।’
জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানান।
খালেদা জিয়া কবে দেশে ফিরবেন এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, 'ম্যাডাম তখনই বাংলাদেশে ফিরবেন যখন এখানকার চিকিৎসকরা তাকে পরামর্শ দেবেন বা যখন তারা মনে করবেন তিনি ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। ইনশাল্লাহ সময় হলে তিনি দেশে ফিরবেন।’
আরও পড়ুন: ক্লিনিক ছেড়ে তারেকের বাসায় গেলেন খালেদা জিয়া
গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় এবং ২৫ জানুয়ারি তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছেলের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
৩৬ দিন আগে
ঐক্য ধরে রাখতে অভিন্ন শত্রু চিহ্নিত করুন: সরকারকে ডা. জাহিদ
ষড়যন্ত্র মোকাবিলা ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অভিন্ন শত্রু চিহ্নিত করে তাদের প্রশাসন থেকে সরাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘স্বৈরাচারের দোসররা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে ঘাপটি মেরে আছে। ফনা তোলার সুযোগ খুঁজছে তারা। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য চেষ্টা করছে, করবে, করতেই থাকবে। কাজেই তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করুন। তাদের প্রশাসন থেকে এবং আপনাদের আশপাশ থেকে সরিয়ে দিন।’
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেটেব) উদ্যোগে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা : প্রেক্ষিত টেক্সটাইল সেক্টার’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘পত্রিকা খুললেই দেখবেন, একটা মামলায় (হত্যা মামলা) তাদের (আওয়ামী লীগের) দুইজন নেতাকে আসামি করা হয়েছিল এবং সেখানে তদন্ত চলছে। তদন্ত কর্মকর্তা তাদের বাদ দিয়ে অর্থাৎ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যখন যাচ্ছেন, তখন আবার ওই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটিকে প্রতিরোধ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইউনূস স্যারের (প্রধান উপদেষ্টা) প্রতি আস্থাশীল, পৃথিবীর মানুষের আস্থা আছে। দেশের মানুষ একদম নিঃস্বার্থভাবে সরকারকে সহযোগিতা করছে। কাজেই তাদের (সরকার) সিদ্ধান্ত নিতে হবে একেবারে বলিষ্ঠ, আরও যুগোপযুগী, আরও দ্রুততার সঙ্গে।’
আরও পড়ুন: গণহত্যায় জড়িতদের কখনোই বিএনপিতে জায়গা হবে না: ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘মানুষের আকাঙ্ক্ষা বোঝার চেষ্টা করুন। মানুষের অধিকার দ্রুততার সঙ্গে ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করুন, তাহলেই মানুষ আপনাদের সাধুবাদ জানাবে। ইতিহাস আপনাদের ধারণ করবে।’
‘…দ্রুততার সঙ্গে জনগণকে তার অধিকার আদায়ের সুযোগ দিন। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে দেশ কোন পথে যাবে, আগামী দিনের বাংলাদেশ কেমন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন শুনি, ৫৩ বছরে সংস্কার হয়নি, তখন আমাদের মনে কষ্ট লাগে। কারণ যিনি বলেন, তার বয়স ৫৩ হয়নি। বাংলাদেশের সংস্কারের যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, তা তিনি জানেন না অথবা স্বীকার করতে চাননি অথবা বুঝতে পারেননি।’
জেটেব সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এবি এম রুহুল আমীন আকন্দ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
৮৫ দিন আগে
হাসিনার 'প্রেতাত্মারা' দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে গেলেও তার 'প্রেতাত্মারা এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ফেনীর মুহুরীগঞ্জ বাজারে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাহিদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা তৈরি পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে তাদের পরিণতি ভালো হবে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে যে বন্যা আঘাত হেনেছে তাও ষড়যন্ত্রের অংশ। কারণ শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারত বাংলাদেশকে না জানিয়েই বাঁধ খুলে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: অপরাধীদের ক্ষমা নয়, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ায় নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষ আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
ডা. জাহিদ বলেন, বন্যার পানিতে এসব জেলায় অনেক ঘরবাড়ি, গরু, ছাগল ও মাছ ধরার খামার ভেসে গেছে এবং ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে।
বন্যায় ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা দুঃখের সঙ্গে বলেন, ‘শিশুসহ অনেক মানুষ বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে।’
তিনি বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
জাহিদ অভিযোগ করেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল এখন পোশাক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দেশ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ‘কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এই ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানসহ বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ইসি দায়ী: রিজভী
১৯৫ দিন আগে
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, গন্তব্য চূড়ান্ত হয়নি: ডা. জাহিদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, তবে এখনও গন্তব্য চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের দলের মহাসচিব ইতোমধ্যে এ বিষয়ে (খালেদাকে বিদেশে পাঠানো) নিয়ে কথা বলেছেন। এটি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তবে কোন দেশের কোন হাসপাতালে তাকে নেওয়া হবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’
রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে ভুগছেন তাই পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার চিকিৎসার জন্য উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র বেছে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পেসমেকার প্রতিস্থাপন সম্পন্ন
এর আগে শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, শিগগিরই উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো হবে।
৮ জুলাই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ছয় দিন পর বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে আবারও একই হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত ২৩ জুন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার বুকে সফলভাবে পেসমেকার স্থাপন করেন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করে আসছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ জানান, তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলন চলাকালে চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের দেখতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যান ডা. জাহিদ।
ডা. জাহিদ বলেন, আন্দোলনের সময় চোখে আঘাত পাওয়া প্রায় ৭৬৫ জনকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৩৯৫ জনের বিভিন্ন অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫২ জন রোগীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, ১১ জন রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তারা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দুই চোখে দেখতে পাচ্ছেন না।
সরকার আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছে বলে জানান ডা. জাহিদ।
তিনি আরও বলেন, 'আমি যখন এখানে আসছিলাম, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আমাকে আহতদের বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিতে বলেছিলেন। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যা যা করা দরকার আমরা তা করব।’
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার ৮০ বছরে পা দিচ্ছেন খালেদা জিয়া
২১৪ দিন আগে
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত: ডা. জাহিদ
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, 'ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এখনও চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সিসিইউ সুবিধাসহ একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।’
তিনি বলেন, এরই মধ্যে হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে সিসিইউ সুবিধাসহ কেবিনে স্থানান্তর
বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে ড. জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
গত ৮ জুলাই খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর ছয় দিন আগে একই হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে গত ২২ জুন রাতে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার হৃদযন্ত্রে সফলভাবে পেসমেকার বসানো হয়।
৭৯ বছর বয়সি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: মুক্ত খালেদাকে কীভাবে মুক্তি দেব, বুঝে উঠতে পারছি না: আইনমন্ত্রী
১০ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
২৪৯ দিন আগে
খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল বলে বুধবার জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন,‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং যেদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তার তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’
চিকিৎসক জানান, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন।
‘তারা পরীক্ষার রিপোর্ট এবং তার শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ বলেন, খালেদার পরবর্তী চিকিৎসার ধাপ নির্ধারণ করতে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
হঠাৎ জ্বর ও পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোরে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার হাসপাতালে তার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে তার মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের 8 ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে, একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয় এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে
৬৪৫ দিন আগে
খালেদা জিয়ার বায়োপসি প্রতিবেদন বিদেশে পাঠানো হয়েছে: ডা. জাহিদ
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বায়োপসি প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
সোমবার ডা. জাহিদ ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের (খালেদা) বায়োপসি প্রতিবেদন পেয়েছি এবং পর্যালোচনার জন্য তা বিদেশ পাঠানো হয়েছে।’
বায়োপসি প্রতিবেদন অনুযায়ী খালেদার চিকিৎসা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে প্রতিবেদন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান জাহিদ। তিনি বলেন, ‘পর্যালোচা প্রতিবেদন ছাড়া ফলাফল সম্পর্কে আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, ফলাফল নিয়ে কিছু দ্বিধা দূর করতে খালেদার বায়োপসি প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে।
২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার শরীরের একটি অংশে ছোট লাম্প থাকায় বায়োপসি করানো হয়।
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়া জ্বর এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় দ্বিতীয়বারের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ভালো আছেন: ফখরুল
এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বাত, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার এই বছরের মে এবং আগস্ট মাসে দুইবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এই সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নেন।
পড়ুন: খালেদা জিয়া বিপদমুক্ত: মির্জা ফখরুল
ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
১২৩৫ দিন আগে