বাণিজ্য ঘাটতি
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ১৫.৪৮ বিলিয়ন ডলার: সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটো বলেছেন, বর্তমানে ভারত, চীন ও পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে চীনের সঙ্গে সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি ছিল এবং এর পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলার (১৫.৪৮ বিলিয়ন ডলার)।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৬৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার, মিয়ানমারের সঙ্গে ১১৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার, ভুটানের সঙ্গে ১৪ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদে ঢাকা-১৯ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।আরও পড়ুন: রমজানের আগে বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্য, সংকটে ভোক্তারা
তিনি বলেন, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো বাণিজ্য ঘাটতি নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১৫ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার।
সিলেট থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরীর আরেক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, এক সময় দেশে চা উৎপাদনের তুলনায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা কম ছিল। সেসময় উদ্বৃত্ত চা রপ্তানি করা হতো। বর্তমানে দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রায় ১০০ মিলিয়ন কেজি। উৎপাদন ও চাহিদা প্রায় সমান।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বহুমুখী করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে দেশে উৎপাদিত প্রায় সব চা অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ব্যবহৃত হয়।
তাই রপ্তানির জন্য খুব বেশি উদ্বৃত্ত চা অবশিষ্ট নেই।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালে দেশে ১০ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
এর মধ্যে সাড়ে ১০ লাখ কেজি চা রপ্তানি হয়েছে। অন্যদিকে চা পুনঃরপ্তানি ও উৎপাদন মূল্য সংযোজনের জন্য মাত্র ৬ লাখ কেজি চা আমদানি করা হয়েছে।
বরিশাল থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
৮ মাস আগে
চট্টগ্রাম-র্যানং বন্দরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের আহ্বান
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে চট্টগ্রাম ও র্যানং সমুদ্রবন্দরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রিজওয়ান রহমান।
মঙ্গলবার চেম্বার ভবনে থাই রাষ্ট্রদূত ম্যাকাওয়াদি সুমিতমরের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় থাই রাষ্ট্রদূত ম্যাকাওয়াদি সুমিতমর বলেন, আগামী বছর থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় অবস্থিত থাই দূতাবাস এক রোড শো’র আয়োজন করবে।
তিনি বলেন, করোনা বিধিনিষেধ হ্রাস করে থাই সরকার ধীরে ধীরে দেশটি (পর্যটকদের জন্য) খুলে দেবে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে খুলে দেয়া হবে।
এ সময় থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, এখনও দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের ত্রীদেশীয় সড়কের সম্প্রসারণ এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় রিজওয়ান রহমান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৮৩৭ দশমিক ০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছায়। যেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৩৫ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২০ সালে থাইল্যান্ড থেকে ৮০১ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আমদানি করে বাংলাদেশ।
তবে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রপ্তানি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ২০২১ সালে দেশটিতে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২০ সালে ছিল ৩৫ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খাতে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিবে আইডিএ
কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু সংবাদ কেন্দ্র’ উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর
৩ বছর আগে