জনপ্রিয় তারকা
পুনিথ রাজকুমার: কান্নাড়া চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতার পরোপকারী ক্ষণস্থায়ী জীবন
দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা পুনিথ রাজকুমার। অভিনয় এবং গায়কীর পাশাপাশি তাঁর স্বর্ণ হৃদয়ের জন্য ভক্ত ও সহকর্মীদের কাছে বেশ সুপরিচিত তিনি। কিন্তু কান্নাড়া সিনেমাপ্রেমীরা খুব অল্প সময় বিনোদনের এই অভিজাত অধ্যায়টির উপভোগের সুযোগ পেলো। গত ২৯ অক্টোবর ২০২১ লাখো ভক্তকে কাঁদিয়ে ৪৬ বছর বয়সে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন এই সপ্রতিভ অভিনয় শিল্পী। চলুন, এই পরোপকারী অভিনেতার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
পুনিথ রাজকুমার: কান্নাড়া চলচ্চিত্রের সফল অভিনেতা
দক্ষিণ ভারতের খ্যাতনামা ম্যাটিনি আইডল ড. রাজকুমার ও চলচ্চিত্র প্রযোজক পার্ভাথাম্মার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান লোহিত ওরফে পুনিথ রাজকুমার জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭৫ সালের ১৭ মার্চ। মাত্র ছয় মাস বয়সেই শিশু লোহিতকে বড় পর্দায় নিয়ে আসেন পরিচালক ভি. সমাশেকার তাঁর ‘প্রেমাদা কানিকে’ সিনেমার মাধ্যমে। এক বছর বয়সে তাকে দেখা যায় ‘সানাদি আপ্পান্না’ সিনেমায়। ‘বসন্তা গীতা’ এবং ‘ইয়ারিভান্নু’ সিনেমায় লোহিত ও ড. রাজকুমারকে পিতা-পুত্র ভুমিকায় দেখা যায়। সাত বছর বয়সে সুপারহিট মুভি ‘হোসা বিলাকু’ তে কাজ করে সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে কর্ণাটক রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন। ১৯৮৫ সালে মায়ের প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘বেত্তাদা হুভু’ তে নিষ্পাপ রামুকে চিত্রায়নের জন্য সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
২০০২ সালে ‘অপ্পু’ মুভিতে সরাসরি হিরো হিসেবে দর্শকদের সামনে আসেন লোহিত। এই মুভিতে অসামান্য সাফল্যের জন্য তিনি লোহিত থেকে সবার নিকট হয়ে যান অপ্পু। ২০০৪ সালের অ্যাকশান মুভি ‘ভীরা কান্নাদিগা’ তে দর্শক তাঁর নৃত্যকলা ও স্টান্ট দক্ষতার পরিচয় পান। ২০০৬ সালে ‘অজয়’ মুভিতে কাজ করার ফলে তিনি ‘সান্ডালউডের পাওয়ার স্টার’ উপাধিতে ভূষিত হন। একই বছর ‘আরাসু’ সিনেমায় অভিনয় তাকে এনে দেয় শ্রেষ্ঠ অভিনেতার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। কর্ণাটক রাজ্য চলচ্চিত্র ইভেন্টে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন ২০০৮ এর ‘মিলনা’ মুভির জন্য।
আরও পড়ুন: ইডফায় লড়বে সাইমনের ‘অন্যদিন’
মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পুনিথ রাজকুমার
শত ব্যস্ততার মাঝেও পুনিথ রাজকুমার অকুণ্ঠচিত্ত্বে সমাজহিতৈষী কাজ করে যেতেন। তাঁর গায়কী থেকে যা উপার্জন হত তার পুরোটাই তিনি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমুলক কাজে ব্যবহার করতেন। বেশ কয়েকটি কান্নাড়া মিডিয়াম স্কুলেও তিনি নিয়মিত অনুদান দিতেন। ২৬টি এতিমখানা, ১৬টি বৃদ্ধাশ্রম এবং ১৯টি গৌশালা তাঁর সহায়তায় পরিচালিত হতো।
৩ বছর আগে