তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
গণমাধ্যমকে হুমকি দিলে ব্যবস্থা নেবে সরকার
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু গণমাধ্যমকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিত অবরোধ ও হুমকির খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে হুমকি এবং সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানোর যেকোনো প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, 'এ ধরনের ঘটনা ঘটলে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
১ মাস আগে
সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে হচ্ছে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড
সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।তিনি বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ দুই কমিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সেন্সর বোর্ড নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের আইনের গেজেট হয়েছিল, সেই গেজেটের বিধিমালা তৈরি হয়নি এখন পর্যন্ত। বিগত সময়েও যে সেন্সর বোর্ডটি গঠন করা হয়েছিল সেটিও কিন্তু ১৯৬৩ সালের যে আইন সে আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। যেহেতু গেজেটের বিধিমালা ছিল না। সেই ধারাবাহিকতায় সেটিকে অনুসরণ করেই আপদকালীন সিনেমার জগতে যেন আর্থিক ক্ষতি না আসে সেজন্য আপদকালীন একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করেছিলাম।
তিনি বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি ২০২৩ সালে যেহেতু একটি আইনের গেজেট হয়ে গেছে, সেটি পর্যালোচনা করে সবার মতামতের ভিত্তিতে সেন্সর যে শব্দটি সেটিকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের যে ২০২৩ সালের আইন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন সেই আইন অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ডটাকে পুনর্গঠন করব।'
আরও পড়ুন: জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের যে আইন রয়েছে সেটি অনেক ত্রুটিপূর্ণ, সেগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে। সেই আইনটিও নানান অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধনের জন্য আমরা কাজ করব। সে প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে। যেহেতু বেশকিছু সংখ্যক সিনেমা ঝুলে রয়েছে সেগুলোকে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্যই সার্টিফিকেশন বোর্ড সেটি পুনর্গঠন করা হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে একটা সার্টিফিকেশন বোর্ড করব, সেন্সরবোর্ডকে পুনর্গঠন করে।
কেন এটি পরিবর্তন করতে হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র জগতের যারা আছেন তারা দীর্ঘদিন ধরে সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। তাদের এক ধরনের কার্যক্রমের জন্যই কিন্তু সার্টিফিকেশন আইনের কথা ভাবা হয়েছিল বিগত সময়ে। নতুন আইন অনুযায়ী আমরা ছবি পরিচালনার কাজগুলো চলমান রাখব।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে সরকার: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
৩ মাস আগে
স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন করার কথা ভাবা হচ্ছে: তথ্য উপদেষ্টা
প্রাথমিকভাবে স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর রবিবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের কথা প্রাথমিকভাবে ভেবেছি। এর রূপরেখা কী হবে সেটা আমরা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করব। সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এই উদ্যোগগুলো নিতে চাচ্ছি।'
আরও পড়ুন: আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-মানুষ হত্যা করেছে তাদের শাস্তি হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
উপদেষ্টা বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডের কারণে যেসব ছবি আসেনি সেগুলো নিয়ে আমরা দ্রুতই বসব। সেন্সর বোর্ডকে দ্রুততার সঙ্গে পুনর্গঠন করব। সেন্সর বোর্ড না থাকার যে দাবি, সেটিও আমরা আলোচনা করে যৌক্তিকতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।’
'আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আমার ছবি যত কম প্রচার করা যায়। আমি তো পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি কয়দিন ধরেও।'
ব্যক্তিগত বিরোধ বা প্রতিহিংসার জেরে মামলার আশঙ্কার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না তাদের বিরুদ্ধে যেন কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, সে বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে। মামলাগুলো হলেও সেগুলো সুস্পষ্ট তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়কে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে।'
গণমাধ্যম কর্মী আইনটি দীর্ঘদিন ঝুলে আছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এটি আমি দেখব।’
সাগর-রুনি হত্যার বিচার সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে চাইছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা কোনো ধরনের প্রহসন, টালবাহানা চাচ্ছি না।’
তিনি বলেন, আমরা সব মন্ত্রণালয়ের একটা কাঠামোগত সংস্কারের কথা ভাবছি। যাতে এটার দীর্ঘমেয়াদি সুফল আসে। বিভিন্ন আইনের পরিবর্তন, সাংবাদিকদের বেতনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলো আধুনিকায়ন করা হবে।’
ডিএফপি ও পিআইবিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো বলেছি যে, দুর্নীতি, কোনো স্বজন-প্রীতির কোনো স্থান আমরা এখানে দেখতে চাই না। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে আমাদের দাঁড় করাতে হবে।’
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গাটা হচ্ছে নিরপেক্ষতা। কিন্তু আমাদের দেশে গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে দেখি, আওয়ামী লীগ-বিএনপির মতো গণমাধ্যমেও দুইটা ভাগ থাকে। এই বিষয়গুলো সাংবাদিকরা বিবেচনা করবেন, যাতে আমরা এ ধরনের দলীয় কোনো ভাগ সাংবাদিকদের মধ্যে না দেখি। যাতে তারা একটি নিরপেক্ষ জায়গা থেকে জনগণের জন্য কথা বলতে পারেন।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট বন্ধে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
৪ মাস আগে
৫ শর্তে বিদেশি ছবি আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
বাংলাদেশে নির্মিত চলচ্চিত্র রপ্তানিসহ পাঁচ শর্তে ভারতীয় উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানির অনুমোদন দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র) সাইফুল ইসলাম সাক্ষরিত এক অফিস আদেশ জারি করা হয়।
প্রথম বছরে ১০টি সিনেমা রপ্তানির বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিনেমা আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, ভারতীয় উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানির বিষয়ে সম্মিলিত চলচিত্র পরিষদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কারণে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে নিম্নোক্ত শর্তে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে সাফটা দেশগুলো থেকে চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিবলী-নিপা ও দেড় শতাধিক নৃত্যশিল্পী নিয়ে ইত্যাদি’র ত্রিমাত্রিক নৃত্য
১. শুধুমাত্র বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং পরিবেশকদের চলচ্চিত্র আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
২. বাংলাদেশি চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে উপ-মহাদেশীয় ভাষায় সাবটাইটেল সহ নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে দুই বছরের জন্য আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
৩. প্রথম বছরে রপ্তানির বিপরীতে ১০টি চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
৪.আমদানিকৃত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সার্টিফিকেট নিতে হবে।
৫. বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা এবং দুর্গাপূজা সপ্তাহে এই ধরনের কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: মামুনুর রশীদকে নিয়ে সমালোচনার জবাব ডিরেক্টর গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘের
এক ডজন চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে আসছে ফিল্ম সিন্ডিকেট
১ বছর আগে
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ ঘোষণা, এবার পেলেন যারা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ এর জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য ‘আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে’ ভূষিত হয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পী ডলি জহুর ও ইলিয়াস কাঞ্চন।
চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন বিভাগে শিল্পীদের সম্মাননা দিয়ে থাকে।
পুরস্কারটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য প্রদত্ত সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এ বছর ২৭টি বিভাগে ৩৪টি পুরস্কার দেয়া হবে।
চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য ‘আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে’ ভূষিত হয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পী ডলি জহুর ও ইলিয়াস কাঞ্চন।
সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে যৌথভাবে বিজয়ী হয়েছে ‘লাল মুরগের ঝুটি’ এবং রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘নোনাজলের কাব্য’।
সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, ‘নোনাজলের কাব্য ’ ছবির জন্য।
আকা রেজা গালিব পরিচালিত 'ধর' সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার জিতেছে এবং সেরা তথ্যচিত্র বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে 'বোধভূমিতে একদিন'।
'মৃধা বনাম মৃধা' ও 'রাতজাগা ফুল' ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য যথাক্রমে সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছেন সিয়াম আহমেদ ও মীর সাব্বির মাহমুদ।
প্রধান চরিত্রে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ২০২১ পেয়েছেন 'রেহানা মরিয়ম নূর' ছবির জন্য আজমেরী হক এবং 'নোনা জলের কাব্য' ছবির জন্য তাসনোভা তামান্না।
'নোনা জলের কাব্য' ছবির জন্য সেরা সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু এবং 'পদ্মপুরাণ' ছবির জন্য সেরা সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন শম্পা রেজা।
মো. আব্দুল মান্নান (জয়রাজ) 'লাল মোরগের ঝুটি' ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান।'মৃধা বনাম মৃধা' ছবিতে কমেডির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য (মিলন)।
আফিয়া তাবাসসুম (আফিয়া জাহিন জায়মা) 'রেহানা মরিয়ম নূর' ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীর পুরস্কার জিতেছেন, আর শিশু বিভাগে 'যা হারিয়ে যায়' ছবির জন্য বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক।
'যৈবতী কন্যার মন' ছবির জন্য সেরা সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন সুজেয় শ্যাম। কে এম আবদুল্লাহ আল মুর্তজা মুহিন 'পদ্ম পুরাণ' চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়ক বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন এবং শ্রেষ্ঠ গায়িকা বিভাগে নারী পুরস্কার পেয়েছেন চন্দনা মজুমদার ('পদ্মপুরাণ' চলচ্চিত্র)।
'যৈবতী কন্যার মন' ছবির গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার পুরস্কার পান প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
'যৈবতী কন্যার মন' ছবির জন্য সেরা সুরকারের পুরস্কার জিতেছেন সুজেয় শ্যাম। 'নোনা জলের কাব্য' ছবির জন্য সেরা গল্প লেখকের পুরস্কার পেয়েছেন রেজওয়ানা শাহরিয়ার সুমিত।
অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- নুরুল আলম আতিক (চিত্রনাট্যকার), তৌকির আহমেদ (সংলাপ), সামির আহমেদ (সেরা সম্পাদনা), শিহাব নুরুন নবী (সেরা শিল্প নির্দেশনা), সৈয়দ কাশেফ শাহবাজী, সুমন কুমার সরকার এবং মাজহারুল ইসলাম রাজু (সম্মিলিতভাবে সেরা)। যৌথভাবে সেরা মেকআপ আর্টিস্টের পুরস্কার পেয়েছেন চিত্রগ্রাহক, শায়বা তালুকদার (সাউন্ড ডিজাইনার), ইদিলা কাসরিন ফরিদ (পোশাক ও নকশা) এবং মো. ফারুক ও মো. ফরহাদ রেজা মিলন।
আরও পড়ুন: রবিবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
নিবন্ধনের অনুমতি পেল ১৪ আইপি টিভি
প্রথম পর্যায়ে ১৪টি আইপি টিভি নিবন্ধনের অনুমতি পেয়েছে। সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অনুমোদন পাওয়া আইপি টিভিগুলো হলো মুভিবাংলা টিভি, জাগরণ টিভি, রূপসী বাংলা টিভি, হার্নেট টিভি, মাটি এন্টারটেইনমেন্ট টিভি, ফ্লিক্স আরকে টিভি, রাজধানী টিভি, ভয়েজ টিভি, জে এ টিভি, নিউজ২১ বাংলা টিভি, জাগরণী টিভি, সবেহপ্রাইম টিভি, দেশবন্ধু টিভি ও সিএইচডি নিউজ২৪ টিভি।
আরও পড়ুন: ৫৯টি আইপিটিভি বন্ধ করেছে বিটিআরসি
ওয়েব সিরিজে ‘কুরুচিপূর্ণ’ দৃশ্য: গ্রামীণফোন ও রবি’র কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়
৩ বছর আগে
ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য মানুষ পরিবর্তন চায় কি না সেটিই প্রশ্ন: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যারা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, তাদের জন্য মানুষ পরিবর্তন চায় কি না সেটিই প্রশ্ন।’
বুধবার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নবনির্বাচিত নেতাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, সহ-সভাপতি মধুসূদন মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মামুনুর রশীদ, দপ্তর সম্পাদক সেবিকা রাণী, সদস্য উম্মুল ওয়ারা সুইটি, ড. উৎপল কুমার সরকার, শেখ নাজমুল হক ও নুরে জান্নাত সীমা সভায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: দর্শক, কেবল অপারেটরদের সুবিধার্থেই ডিজিটাল পদ্ধতি: তথ্যমন্ত্রী
‘আগামী নির্বাচনে পরিবর্তন আসবে’-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এই মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মহাসমুদ্রে আশাই একমাত্র ভরসা, এটি বিএনপি’র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই আশা নিয়েই উনারা বেঁচে আছেন। আশা থাকা ভালো, সবাই তো চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না। কিন্তু সেই পরিবর্তন বিএনপি’র জন্য মানুষ চায় কি না, এটি হচ্ছে প্রশ্ন। উন্নয়ন অগ্রগতি বাদ দিয়ে যারা মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে কিংবা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষকে জিম্মি করার, হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, তাদের জন্য মানুষ পরিবর্তন চায় কি না সেটিই প্রশ্ন।’
এ সময় সাংবাদিকরা ‘রোজিনা ইসলাম একটি সংস্থা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন, একইসাথে সরকারি নথি চুরির অভিযোগে তিনি বিচারাধীন’ এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুরস্কার পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন, নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠান তাকে পুরস্কৃত করেছে এবং পাকিস্তানের একজন সাংবাদিকের হাত থেকে তার স্বামী পুরস্কার গ্রহণ করেছে। বাকি বিষয়টা বিচারাধীন বিধায় এ বিষয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়।’
এর আগে বিএফইউজে নেতাদের সাথে সভায় মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএফইউজে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন। তারা যেভাবে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে তা গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার একটি উদাহরণ। এজন্য বিএফইউজে, নবনির্বাচিত কমিটি এবং নির্বাচনের অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৩ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতির পাশাপাশি সাংবাদিকদের সংখ্যাও বেড়েছে, নানা ধরণের সমস্যাও দেখা দিয়েছে। গণমাধ্যমের সমস্যাগুলোকে সবসময় নিজের সমস্যা মনে করে আমার শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতার মধ্যে যতদূর সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা করে এসেছি। উপমহাদেশে বা অন্যদেশে করোনাকালে আমাদের দেশের মতো সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয়নি। দেশে ক্লিনফিড বাস্তবায়নের কথা বহু বছর ধরে বলা হয়েছে, কিন্তু হয়নি। এখন ক্লিনফিড বাস্তবায়িত হয়েছে, দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল উপকৃত হচ্ছে। এসময় টেলিভিশন থেকে কোনো চাকরিচ্যুতি মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। করোনা চলে যাওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যের মতো গণমাধ্যমেও সংকট অনেকটাই কেটে গেছে। করোনাকালে যাদের চাকরি গেছে, তারা আবার চাকরিতে পুণর্বহাল হবেন বলে আমরা আশা করি।’
এ সময় গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং সম্প্রচার আইন নিয়েও কাজ চলছে বলে জানান ড. হাছান। সাংবাদিকদের সুরক্ষা বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সব গণমাধ্যমকর্মীর জন্য বীমার ব্যবস্থা করলে তাদের সুরক্ষা হয়। ওয়েজবোর্ডেও এটি বলা আছে। আমি সবাইকে অনুরোধ জানাবো দায়িত্বশীলভাবে এটি করার জন্য। একজন সাংবাদিক এত বছর চাকরি করার পর শূন্য হাতে চলে যাবে, এটা হওয়া উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: পীরগঞ্জের ঘটনায় ছাত্রলীগকে জড়ানোর অপচেষ্টা ব্যর্থ: তথ্যমন্ত্রী
হামলার দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে