নিরপেক্ষ সরকার
ফখরুলের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত: নাহিদ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরোধী—এমন পরিকল্পনা হলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। ১/১১ এর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে।’
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনায় ফখরুল বলেন, ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি অন্তবর্তীকালীন সরকার পক্ষপাতমুক্ত থাকতে না পারে, তাহলে নির্বাচনের সময় একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার। আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, বেশ কিছু বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পারছে না।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ফখরুলের
সেই প্রসঙ্গ টেনে নাহিদ বলেন, রাষ্ট্রপতির পরিবর্তন, সংস্কার, নতুন সংবিধান, জুলাই ঘোষণা—সব ইস্যুতেই বিএনপি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ এগুলোর কোনোটিই ছাত্রদের দলীয় কোনো দাবি ছিল না। দেশের স্থিতিশীলতা, বৃহত্তর স্বার্থ ও জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য ছাত্ররা বারবার তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। কিন্তু এর মানে এই না যে গণতন্ত্র ও অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী কোনো পরিকল্পনা হলে সেখানে আমরা বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেব।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ বিষয়ে ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সম্ভব হয়েছে, অথচ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিষয়ে আমরা ঐক্য করতে পারিনি এত হত্যা ও অপরাধের পরেও। হায় এই ‘জাতীয় ঐক্য’ লইয়া আমরা কী রাষ্ট্র বানাব!”
“বাংলাদেশকে দুর্বল করা সহজ, কারণ বাংলাদেশকে সহজেই বিভাজিত করা যায়। এ দেশের বড় বড় লোকেরা অল্পমূল্যে বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে।”
৫ আগস্ট থেকে ছাত্রদের ‘মাইনাস’ করার পরিকল্পনা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা যেদিন ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যান, সেই ৫ আগস্ট থেকেই ছাত্র ও অভ্যুত্থানকারীদের মাইনাস করার পরিকল্পনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নাহিদ।
এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘ছাত্র ও অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে মাইনাস করার পরিকল্পনা ৫ আগস্ট থেকেই শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, পুলিশের গুলি অব্যাহত রয়েছে, তখন আমাদের আপোষকামী অনেক জাতীয় নেতা ক্যান্টনমেন্টে জনগণকে বাদ দিয়ে নতুন সরকার করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন (অনেকে ছাত্রদের কথাও বলেছেন সেখানে)।’
‘৩ আগস্ট থেকে বলে আসছি, আমরা কোনোপ্রকারের সেনাশাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেব না। আমাদেরকে বারবার ক্যান্টেন্টমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিংয়ের (তর্ক-বিতর্ক) মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।’
জুলাই আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটা জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সরকার অনেকদিন স্থায়ী হবে—এই বিবেচনায় বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজি হয়নি।’
‘কিন্তু অভ্যুত্থানের পরেই দেশে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি ছিল। অথচ বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলতেছে সামনের নির্বাচনের পরে।’
নাহিদ বলেন, ‘ছাত্ররাই এই সরকারের এবং বিদ্যমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর; যেটা ১/১১ এর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে। বিএনপি কয়েকদিন আগে মাইনাস টু-এর আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে।’
‘এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না। এবং আমি মনে করি এটা বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।’
‘আর এই সরকার জাতীয় সরকার না হলেও সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষেরই অংশীদারত্ব রয়েছে এবং সবপক্ষই নানা সুবিধা ভোগ করছে। সরকার গঠনের আগেই ৬ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ও পুলিশের আগের আইজির নিয়োগ হয়েছিল, যারা মূলত বিএনপির লোক। এরকমভাবে সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানান স্তরে বিএনপিপন্থী লোকজন রয়েছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে’, বলেন তথ্য উপদেষ্টা।
৯৮ দিন আগে
পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিন: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী
১৯৭১ সালের পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর নৃশংসতা ও দুঃশাসনের অনুকরণ করে সরকার শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার জন্য দেশে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শনিবার (৪ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, আরেকটি একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকার বিএনপির 'শীর্ষ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের' নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বল প্রয়োগ করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করছেন। ১৯৭১ সালের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি এখন বাংলাদেশে বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭১ সালের দখলদার বাহিনীর নিষ্ঠুরতা ও দুঃশাসনের অনুকরণ করছে। আওয়ামী লীগ এখন ১৯৭১ সালের পাকিস্তানপন্থী 'শান্তি' কমিটির মতো 'শান্তি' সমাবেশ করছে।
আরও পড়ুন: বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে না পেয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, আজকের আওয়ামী পুলিশ সেই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করছে। ছেলেকে না পেলে তার ভাইকে নিয়ে যাওয়া হয়, ভাইকে না পেলে তার বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সারা দেশ থেকে প্রতিনিয়ত এ ধরনের অমানবিক খবর আমাদের পেতে হয়।
রিজভী বলেন, জাতি এখন নতুন মডেলের কাল্পনিক মামলা দেখতে পাচ্ছে। মামুন নামে এক যুবদল নেতাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে বরিশালে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে মামলা করা হয়।
আরেক বিএনপি নেতা কঙ্কনকে একটি ট্রাকে পেট্রল বোমা নিক্ষেপের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়, অথচ তিনি কারাগারে ছিলেন। তিনি বলেন, 'আপনারা সংবাদপত্রে এসব বিষয় উঠে আসতে দেখবেন। আমরা প্রায়ই গণমাধ্যমে এসব মজার গল্প ও কৌতুকের খবর দেখি ও শুনি।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের নেতা-কর্মীদের 'হাস্যকর' মামলায় নাম ও আসামি করে দমন-পীড়ন ও হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'দেশের জাতীয় নেতাদের থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা অবর্ণনীয়ভাবে চলছে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও হত্যা করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ১৭৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ এবং হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহে সারাদেশে ৫০৬টি নতুন মামলায় অন্তত ৭ হাজার ৭১৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ সময় পুলিশের গুলিতে ৫ হাজার ৭৮০ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন এবং একজন সাংবাদিকসহ ৯জন নিহত হয়েছেন।
রিজভী দাবি করেন, কারাগারে সরকারের অসদাচরণের পাশাপাশি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলের নেতা-কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে অনিচ্ছুক, কারণ তিনি একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার স্বাদ পেয়েছেন। ‘তিনি একতরফা নির্বাচন করবেন, এমনকি রক্তপাত হলেও।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু রবিবার
রিজভী নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে প্রধানমন্ত্রীকে তার গণতান্ত্রিক যোগ্যতা প্রমাণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, জনগণই তার মূল শক্তি। তাহলে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করছেন না কেন? জনগণ যদি আপনাদের সঙ্গে থাকে, তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করে আপনারা ক্ষমতায় আসতে ভয় পাচ্ছেন কেন?
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে 'নৃশংসভাবে' হামলা চালানোর পর নির্বাচনের আগে সরকার কেন বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণ যদি আপনার পাশে থাকে, তাহলে কেন আপনি এই ধ্বংসাত্মক ও রক্তাক্ত পথ অবলম্বন করবেন? জনগণ যে সরকারকে ভয় পায়, সেটি হলো স্বৈরাচারী সরকার। এর পরিবর্তে যে সরকার জনগণকে ভয় পায়, তা হলো গণতান্ত্রিক সরকার।’
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির ২০০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১৫০
৫৪৪ দিন আগে
নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন এবং আগামী নির্বাচন ও রাজনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিএনপির পরিকল্পনা, কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে তাদের (ইইউ দূত) বলেছি যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া অন্য কোনো সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
বৈঠকের কারণ সম্পর্কে ফখরুল বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে ইইউ’র একটি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসবে।
তিনি বলেন, ইইউ বিশেষজ্ঞ দলের সেই বৈঠকের বিষয়ে আমরা আগেই আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, ইইউ দীর্ঘদিন ধরেই বারবার বলে আসছে যে তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের সুযোগ আছে কিনা তা দেখতে তাদের দল এখানে আসবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের বৈঠকে এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি।
ফখরুল বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে এখন নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না এবং বর্তমান সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব কিনা তা জানতে চেয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ ইইউ’র দুই কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
৬৬৭ দিন আগে
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারে আওয়ামী লীগের আপত্তির একটাই কারণ, তারা জানে যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন হয়, তাদের কারও জামানত থাকবে না।
সোমবার (১৩ মার্চ) ঠাকুরগাঁয়ের নিজ বাড়িতে জেলা বিএনপি আয়োজিত বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পঞ্চগড়ের সহিংসতা সরকারের পাতানো ঘটনা। সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং আসল আসামিদের আড়াল করতেই বিএনপি’র ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আর এর সঙ্গে তো সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রয়েছেই।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার: ফখরুল
৭৮০ দিন আগে
নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানসহ সকল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের পর নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় লালমনিরহাট শহীদ সোহরাওয়ার্দী মাঠে বাইসাইকেল র্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তাছাড়া ছয় লাখের বেশি মানুষ খুন ও গুমের শিকার হয়েছে। তাই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: ভোট কারচুপির নতুন চক্রান্ত করতে নির্বাচনে ইভিএম চায় আ.লীগ: বিএনপি
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির র্যালি প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, ‘এটাকে আমি সাইকেল র্যালি বলতে চাই না। আমি এটাকে গণতন্ত্রের র্যালি বলে অভিহিত করতে চাই। আজকের এই র্যালির মধ্য দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু হলো। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, যে চেতনার জন্য আমরা লড়াই করেছিলাম, সেই চেতনা, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে আজ লালমনিরহাট থেকে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু হলো।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুর হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, ক্রীড়া কমিটির সদস্য সচিব ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, জেলা বিএনপির সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা, সদর বিএনপির আহ্বায়ক একেএম মমিনুল হকসহ রংপুর বিভাগের বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পরিণতি রাজাপাকসের চেয়েও খারাপ হবে: ফখরুল
১০৮৫ দিন আগে
শুধু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে: বিএনপি
শুধু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বিএনপি ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক দল আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে না এবং বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক ও স্বদেশপ্রেমী দল ওই নির্বাচনে অংশে নেবে না।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপিপন্থী স্বাধীনতা ফোরামের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাঁর দল বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং কোনো সংলাপেও যাবে না।
বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, বর্তমান সরকার সহজে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ফিরিয়ে আনবে না। ‘এ জন্য আমাদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সব গণতান্ত্রিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারের সাথে আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই: বিএনপি
ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
১২৭৫ দিন আগে