চরকি
৩৬-২৪-৩৬: কারিনা কায়সার বনাম সমাজে নারীর প্রথাগত সৌন্দর্য্যের মাপকাঠি
শুধু মুখশ্রী ও শারীরিক গড়নের নিরীখে একজন নারীকে বিচার করা অনেক প্রাচীন ধ্যানধারণা। অথচ একবিংশ শতাব্দির তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও এই সামাজিক স্টেরিওটাইপ থেকে বের হওয়া সম্ভব হয়নি। বরং আরও গেঁড়ে বসেছে সমাজের বেঁধে দেওয়া তথাকথিত সৌন্দর্যের মাপকাঠি। ফলে জন্মগত ভাবে যেসব নারী সেই শর্ত পূরণে অপারগ হচ্ছেন, তাদের বেছে নিতে হচ্ছে বিষণ্নতার জীবন। এমনি এক জীবনের বর্ণিল উপাখ্যান চরকি অরিজিনাল মুভি ৩৬-২৪-৩৬। ওটিটির আগেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে সিনেমাটির ভূয়সী প্রশংসা চলছে দর্শক মহলে। চলুন, ৩৬ ২৪ ৩৬ মুভিটির বিশদ বৃত্তান্তসহ জেনে নেওয়া যাক- কীভাবে চটকদার শিরোনামের চলচ্চিত্রটি বিস্তৃত পরিসরে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা পেল।
৩৬-২৪-৩৬ চলচ্চিত্রের নেপথ্যের মানুষ
চরকি ও ছবিয়ালের ব্যানারে নির্মিত এই কমেডি নাট্য-চলচ্চিত্রটি চরকির মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রকল্পের পঞ্চম ছবি। এই প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে নির্মিত চারটি ছবি হলো- ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, ‘মনোগামী’, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ ও ‘ফরগেট মি নট’।
‘৩৬-২৪-৩৬’-এর পরিচালনায় ছিলেন রেজাউর রহমান, যিনি মোনতাসির মান্নানের সঙ্গে ছবিটির গল্পও লিখেছেন। রচনায় আরও ছিলেন মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা সামাজিক মাধ্যমের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে খ্যাত কারিনা কায়সার। এটিই তার বড় পর্দায় প্রথম কাজ। মুভির কয়েকটি দৃশ্যে দেখা গেছে তার বাবা জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় কায়সার হামিদ এবং মা লোপা কায়সারকে।
কারিনার সঙ্গে সিনেমার মূল চরিত্রগুলোতে ছিলেন সৈয়দ জামান শাওন, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, আবু হুরায়রা তানভীর এবং ডানা ভাই জোস খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কামরুন নাহার ডানা।
অন্যান্য গুরুত্ব ভূমিকায় দেখা গেছে শহীদুল আলম সাচ্চু, মিলি বাশার, গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস কুমার মৃধা, রোজী সিদ্দিকী ও শামীমা নাজনীনকে।
২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর ছবিটি দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। অতঃপর ২৮ নভেম্বর থেকে ওটিটি চরকির গ্রাহকদের জন্যও ছবিটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: পেক্ষাগৃহে আসছে ‘ভয়াল’
৩৬ ২৪ ৩৬ মুভি রিভিউ
.
দুটি স্তরে বিভক্ত চিত্রনাট্য
হাস্যরস ও আবেগের মিশেলে ভরপুর পুরো গল্পটি চার বছর সময়ে দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে কেন্দ্রীয় চরিত্রকে ঘিরে গড়তে থাকে গল্পের গাঁথুনি।
এ অংশে সায়রাকে দেখা যায়, একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসেবে। নিছক আবেগের বশে নয়; মেধাবী ও বাস্তববাদী সায়রা যেকোনো কিছু বিচার করে যুক্তি দিয়ে। আর এই বৈশিষ্ট্য তাকে করে তুলেছে অনুসরণীয় পেশাদারিত্ব ও উদ্যোগী দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী।
নিজের স্থুল শরীর নিয়ে খুব ব্যতিব্যস্ত হওয়ার সুযোগ তার নেই।এরপরেও পেশা যখন সামাজিক অনুষ্ঠান নিয়ে, তখন প্রায়ই তাকে সমাজের তথাকথিত দৃষ্টিভঙ্গি সামাল দিতে হয়। তখন অলক্ষ্যেই হৃদয়ের গহীনে কোথাও গুপ্ত বঞ্চিত বিষণ্ণ সত্ত্বাটির মুখোমুখি হতে হয় সায়রাকে। অবশ্য প্রতিবারই বিষয়টিকে মেনে নিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজেকে সামলে নেয় সে।
কিন্তু মেঘমুক্ত আকাশে হঠাৎ বৃষ্টির মতো সায়রার জীবনে প্রেম নিয়ে আসে তাহসির। জীবন নিয়ে তার মনে এতদিন ধরে গড়ে ওঠা চিন্তা-চেতনা সব ভুল প্রতীয়মান করে ঘটতে শুরু করে অমূল্য কিছু ঘটনা। তবে বেশি দিন স্থায়ী হয় না এই সুখের অনুভূতি। হঠাৎ তাহসিরের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারে না সায়রা। বহু কষ্টে তার বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগের পর জানতে পারে যে তাহসির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন। প্রচণ্ড শঙ্কায় মনোকষ্টে দিন কাটতে থাকে সায়রার। তাহসিরের আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করতে থাকে।
তারপর হঠাৎ একদিন সেই বন্ধু ফোন করে জানায়, তাহসির আর বেঁচে নেই। এর মধ্যে দিয়ে শেষ হয় সিনেমার প্রথম ভাগ।
দ্বিতীয় অংশে দেখা যায়- সায়রার নিজেরই একটা ওয়েডিং প্ল্যানিং প্রতিষ্ঠান হয়েছে। একসঙ্গে অনেক ক্ল্যায়েন্টকে সার্ভিস দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় তার টিমকে। এরই মধ্যে আবার এক পুরাতন ক্লায়েন্ট রহমান সাহেবের মেয়ের ওয়েডিং প্ল্যানের জন্য সময় বের করতে হয়। আর এখানেই দেখা মেলে নতুন চরিত্র প্রিয়ন্তির। প্রাণচ্ছল ও চঞ্চল প্রকৃতির মেয়েটির পুরো বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে আবর্তিত হয় গল্পের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত ভাগ। এ অংশটি প্রথম অংশের তুলনায় আরও বিচিত্র এবং হাস্যরসে ভরপুর। সেই সঙ্গে রয়েছে সংগীত বিনোদন, প্রেম ও টুইস্ট।
আরো পড়ুন: কোন নাটকের মাধ্যমে নির্দেশনায় ইতি টানছেন অঞ্জন দত্ত
সায়রা চরিত্রের বিভিন্ন দিক
এই চরিত্রের মাঝে একাধারে রয়েছে একজন পেশাদার ব্যবস্থাপক, প্রতিভাবান শিল্পী, বিষণ্নতা আড়াল করে চলা মানুষ এবং ইতিবাচক মনোরম ব্যক্তি সত্ত্বা। কাহিনির বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিকভাবে এগুলো ফুটিয়ে তোলা যেকোনো নতুন অভিনেত্রীর জন্যই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু তা মোকাবিলায় বেশ ভালোভাবেই উতরে গেছেন কারিনা। বিশেষ করে মনোলগ, সংলাপহীন বিষণ্নতা ও দুঃখবোধের জায়গাগুলোতে তার অভিব্যক্তিগুলো ছিল প্রশংসনীয়।
গল্পের টুইস্ট ও ক্লাইমেক্স অংশগুলোতেও তার প্রতিক্রিয়াগুলো ছিল যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিতিবোধ সম্পন্ন। অবশ্য এখানে দৃশ্যের গতিশীলতার জন্য সম্পাদনা ও পরিচালনাও কৃতিত্বের দাবি রাখে।
২ সপ্তাহ আগে
আসছে নিশো-তমা জুটির নতুন সিনেমা ‘অসিয়ত’
ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র সুড়ঙ্গের জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় বড় পর্দায় ফের জুটি বাঁধতে চলেছেন আফরান নিশো ও তমা মির্জা। আগের মত এবারও চলচ্চিত্রের শিরোনাম এক শব্দের ও চিত্তাকর্ষক। নতুন এ সিনেমার নাম ‘অসিয়ত’। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও তুমুল হইচই শুরু হয়ে গেছে নেটিজেনদের মধ্যে। চলুন, চলচ্চিত্রটির নির্মাণ, মুক্তির দিনক্ষণ ও সম্ভাবনা নিয়ে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
চলচ্চিত্র ‘অসিয়ত’ বৃত্তান্ত
সিনেমাটির নির্দেশনায় থাকবেন ‘তুফান’ খ্যাত নির্মাতা রায়হান রাফী। বর্তমানে তার ‘তুফান’ সিনেমাটি বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘তুফান’ চলচ্চিত্রটির মতো ‘অসিয়ত’ চলচ্চিত্রটির সঙ্গেও জুড়ে আছে ভারতের চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ (শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস) এবং বাংলাদেশের আলফা-আইয়ের নাম। চলচ্চিত্র দুইটির প্রযোজনায় ছিল আলফা-আই, আর পরিবেশক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছিল এসভিএফ। তবে ‘অসিয়ত’ চলচ্চিত্রটির প্রযোজনায় থাকছে স্টুডিও দুইটির সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশি কোম্পানি এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড।
আরও পড়ুন: মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরেই আগামী সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সিনেমার শুটিং। নিশো-তমা জুটি বাদে অভিনয়ে আর কারা থাকছেন এবং গল্পের পটভূমিই বা কি- সে ব্যাপারে এখনও কিছু প্রকাশ করা হয়নি। তবে সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না দর্শকদের।
‘অসিয়ত’ কবে মুক্তি পাবে
২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাবতীয় পরিকল্পনা চলছে চলচ্চিত্র নির্মাণের। ২০২৩ সালের ঈদুল আযহায় ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তি পেয়েছিল জনপ্রিয় ওটিট (ওভার-দ্যা-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকিতে। একইভাবে ‘অসিয়ত’ চলচ্চিত্রটির সঙ্গেও দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সম্পৃক্ত হওয়ার কথা চলছে। শিগগিরই এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে এই সম্পৃক্ততাসহ মুক্তির স্পষ্ট দিনক্ষণ নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হবে ‘অসিয়ত’ টিম।
নিশোর বিচক্ষণ প্রত্যাবর্তন
‘সুড়ঙ্গ’ চলচ্চিত্রটির পর থেকে গত এক বছর একেবারেই ক্যামেরার সামনে দেখা যায়নি আফরান নিশোকে। ফলে এই বিস্তর সময়টাতে অপেক্ষায় থাকা অনুরাগীদের মধ্যে তাকে নিয়ে চলেছে হাজারো জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু এ সময়টাতে ছোট পর্দার সুপ্রতিষ্ঠিত এই অভিনেতা প্রস্তুতি নিয়েছেন বড় পর্দার জন্য। এখন তার সমস্ত ধ্যান-জ্ঞান চলচ্চিত্রে অভিনয়কে ঘিরে। তবে ভাল গল্প পেলে ওটিটিতেও তাকে দেখা যাবে। সব মিলিয়ে তিনি চেয়েছিলেন সিনেমার মাধ্যমেই দর্শকদের সামনে হাজির হতে। আর তাই এই দীর্ঘ বিরতি।
আরও পড়ুন: আসছে তাহসান-মিথিলার ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’
নিশোর মতে ভালো কিছু কাজের জন্য উপযুক্ত সময়ের প্রয়োজন। তাই আড়ালে থাকা মানে কাজ থেকে দূরে থাকা নয়। বরং এতে কাজের প্রতি আরও বেশি নিবেদিত হওয়া যায়, যার নিরিখে বৃদ্ধি পায় কাজের গুণগত মান। ফলশ্রুতিতে, সৃষ্টি হয় নতুন কাজ দেখার আগ্রহ এবং সেই সঙ্গে নিশ্চয়তা থাকে ভক্তদের প্রত্যাশাকে পূরণ করার।
সমূহ সম্ভাবনার সূচনালগ্নে ‘অসিয়ত’
বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে বিগত ২০ বছর ধরে একটি স্বনামধন্য নাম হয়ে উঠেছে আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেড। অন্যদিকে, ওপার বাংলার প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের রয়েছে দীর্ঘ ২৮ বছর চলচ্চিত্র নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ দুইটি প্রতিষ্ঠান যখনই একসঙ্গে হয়েছে তখনই অবতারণা ঘটেছে দারুণ নির্মাণশৈলীর। মূলত এর অঙ্কুরেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের। এই যৌথ উদ্যোগ ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, তারই প্রথম দৃষ্টান্ত হিসেবে নির্মাণ হতে চলেছে ‘অসিয়ত’।
শেষাংশ
রায়হান রাফীর পরিচালনায় নিশো-তমা জুটির সিনেমা ‘অসিয়ত’ নিশো ভক্তদের জন্য দারুণ একটি চমক হতে যাচ্ছে। চলচ্চিত্র প্রযোজনার দিক থেকে ভারত ও বাংলাদেশি স্টুডিওগুলোর যৌথ অবস্থান একদমই নতুন নয়। তবে সিনেমাকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি চিত্রজগতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাছাড়া সিনেমা বানানো ও পরিবেশনে আলফা-আই এবং এসভিএফ প্রত্যেকেই সফল। সেই সুবাদে এই অংশীদারিত্ব বিশ্ব মানের চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি রাখছে। এই প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশি ছবির জন্য বিশ্ব দরবারে মর্যাদাবান স্থানে অধিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
শাকিব খানের 'তুফান' চলচ্চিত্রের চমকপ্রদ কিছু তথ্য
৫ মাস আগে
আসছে তাহসান-মিথিলার ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’
স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়শৈলীর দৌলতে বর্তমান এপার ও ওপার বাংলার শোবিজ অঙ্গনে একটি সুপরিচিত মুখ রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। বিনোদন জগতের বিভিন্ন বিভাগে নিজের সমৃদ্ধ ছাপ রেখে বর্তমানে তিনি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। অপরদিকে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে জনপ্রিয় একটি নাম তাহসান রহমান খান। স্বতন্ত্র অভিনয় ধারায় নিজের একটি স্বাধীন ক্ষেত্র তৈরি করেছেন রোমান্টিক ঘরানার নাট্যজগতে। নিজেদের এই প্রতিভাগুলোর দারুণ মেলবন্ধনে ছোট পর্দার ভেতরে ও বাইরে সমান জনপ্রিয় জুটিতে পরিণত হয়েছিলেন তাহসান-মিথিলা। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে তাদেরকে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি। অবশেষে ‘বাজি’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে দীর্ঘ বিরতির পর আবার একত্রিত হয়েছেন এই প্রাক্তন তারকা দম্পতি। চলুন, সদ্য নির্মিত এই ওয়েব সিরিজটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
‘বাজি’ নির্মাণের অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী
তাহসান-মিথিলা জুটির ছাড়াও ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক, নাজিয়া হক অর্ষা, তাসনুভা তিশা, মিম মানতাশা, পার্থ শেখ, শাহাদাত হোসেন এবং আবরার আতহারসহ আরও অনেকে।
ওয়েব কন্টেন্টটি পরিচালনার মধ্য দিয়ে ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকির সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করলেন নব নির্মাতা আরিফুর রহমান। এর আগে তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন ‘স্কুটি’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে। তাছাড়া তার হাতে চরকির আরও একটি কাজ রয়েছে ‘জুঁই’ নামে, যেটি মুলত ‘চরকি মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ এর একটি ওয়েব ফিল্ম।
‘বাজি’র কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ভারতের আদিত্য সেন গুপ্ত এবং বাংলাদেশের হাসানাত।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এ মুক্তির অপেক্ষায় কিছু চমকপ্রদ বাংলা নাটক
‘বাজি’ ওয়েব সিরিজের গল্প
৭ পর্বের এই সিরিজের গল্পের পটভূমিতে রয়েছে ক্রিকেট ম্যাচের উপর বাজি ধরা। এই বাজি সংক্রান্ত নানা সমস্যা বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে খেলার সঙ্গে জড়িত থাকা মানুষগুলোর জীবনকে। এই আবহ নিয়ে সাসপেন্স ও থ্রিলারের সন্নিবেশে দারুণ এক নাটকীয় পরিবেশন হতে যাচ্ছে ‘বাজি’। এর মাধ্যমে দর্শকদের সামনে উঠে আসবে ক্রিকেটের নানা অজানা গল্প। সেই সঙ্গে এটিই হতে যাচ্ছে ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ওয়েব সিরিজ।
‘বাজি’তে মিথিলা ও তাহসানের ভূমিকা
ওটিটি মাধ্যমে মিথিলা ইতোমধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। ‘একাত্তর’, ‘মন্টু পাইলট ২’, এমনকি চরকির ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’-এ বিচিত্র রূপে হাজির হয়েছেন এই মেধাবী অভিনেত্রী। এবার ‘বাজি’তে তিনি আবির্ভূত হবেন একজন ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে।
অন্যদিকে টিভি নাটকে আনাগোনাটা বেশি থাকলেও প্রথমবারের মতো ওটিটিতে অভিষেক ঘটছে তাহসানের। এর মাধ্যমে আড়াই বছরের বিরতির পর তাহসান অভিনয়ে ফিরছেন। এখানে তাকে দেখা যাবে একজন ক্রিকেটারের ভূমিকায়।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এ বাংলাদেশি যেসব সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়
চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে এই সঙ্গীতশিল্পীকে। ফ্লাড লাইটের আলোয় আলোকিত মাঠে কোন রূপ স্টান্ট ডাবল না নিয়ে নিজেই খেলেছেন ক্রিকেট। একটা ছক্কা হাকাতেই খেলেছেন ২০টা বল।
মিথিলা-তাহসানের জুটি নিয়ে বেশ হাইপ থাকলেও ৭ পর্বের এই সিরিজে শুধুমাত্র একটি দৃশ্যে তাদেরকে একসঙ্গে দেখা যাবে।
৬ মাস আগে
'প্রিয় মালতী' হতে যাচ্ছে মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম সিনেমা
বর্তমান সময়ের বহুরূপী অভিনয় শিল্পীদের মাঝে স্বনামধন্য একটি নাম মেহজাবিন চৌধুরী। দীর্ঘ ১৪ বছরের অভিনয় জীবনে বহুমুখী প্রতিভার কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। মডেলিং, বিজ্ঞাপন ও নাট্যাঙ্গনে সমানভাবে নিজের কাজের দক্ষতার সাক্ষর রাখায় ভূষিত হয়েছেন নানা সম্মাননায়। মেহুর অনবদ্য অভিনয় দেখা গেছে শর্ট ফিল্ম এবং ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) কন্টেন্ট ওয়েব ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজেও। স্বতন্ত্র অভিনয় নৈপুণ্য নিয়ে এবার তিনি পদার্পণ করতে চলেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে; সিনেমার নাম ‘প্রিয় মালতী’। চলুন, আসন্ন সেই সিনেমাটির ব্যাপারে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।
‘প্রিয় মালতী’ চলচ্চিত্রের নির্মাণ
পরিচালনায় ও গল্প লেখনীতে রয়েছেন তরুণ নির্মাতা শঙ্খ দাশগুপ্ত। নির্দেশনা অনেক আগে শুরু করলেও আলোচনায় এসেছেন মূলত ‘বলি’ (২০২১) এবং ‘গুটি’ (২০২৩) ওয়েব সিরিজ দু’টির মাধ্যমে।
চলচ্চিত্রটি নির্মিত হচ্ছে ফ্রেম পার সেকেন্ড এবং চরকি’র ব্যানারে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওটিটি হলেও সিনেমাটি বানানো হয়েছে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির লক্ষ্যে।
‘প্রিয় মালতী’র গল্পের প্রেক্ষাপট
চলচ্চিত্রে গল্প নিয়ে এখন পর্যন্ত নির্মাতা বা অভিনয় শিল্পীদের কেউই স্পষ্ট করে তেমন কিছু বলেননি। যতটুকু প্রকাশ করেছেন তা হচ্ছে, এটি মূলত একটি নারীকেন্দ্রিক মুভি। নানা চড়াই-উৎড়াইয়ের মাঝে নারীদের জীবন-সংগ্রামকে গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে সিনেমাতে। নাম ভূমিকায় মেহু থাকলেও এখানে গল্পটা নিজেই সিনেমার প্রধান চরিত্র।
গত ১৯ এপ্রিল প্রকাশিত টিজারে দেখা যায়, হাসি, কান্না, আতঙ্ক, হতাশা এবং ভয়; বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিফলিত হয়েছে এক নারীর দৈনন্দিন জীবন। মালতীকে ঘিরে আবর্তিত ঘটনার আবহে উন্মুক্ত হয়েছে নাটকীয়তা, থ্রিলার ও অপরাধ ঘরানার অনিন্দ্য সংমিশ্রণ।
আরও পড়ুন: অস্কারজয়ী অভিনেত্রী এমা স্টোন ‘নিজ নামেই’ পরিচিত হতে চান
প্রথম ছবিতে মেহজাবীনের সহশিল্পীরা
আসন্ন চলচ্চিত্রটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। বিগত বছরগুলোর মতো এবারে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। ছোট পর্দায় তার সেরা কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে-
২০১৮-এর 'বড় ছেলে', ২০১৯-এর 'বুকের বাঁ পাশে', ২০২১-এর 'শেষটা সুন্দর', এবং 'এই শহরে'।
দক্ষ এই শিল্পীর ভিন্ন ধারার কাজগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘চিরকাল আজ’ (২০২২), এবং ধারাবাহিক টিভি চলচ্চিত্র ‘পুনর্জন্ম’ (২০২১-২০২৩)।
‘প্রিয় মালতী’ সিনেমাতে বিপরীতে কোন নায়ক ছাড়াই মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে মেহজাবীনকে। এখানে মেহজাবীনের সহশিল্পীরা হলেন শাহজাহান সম্রাট, নাদের চৌধুরী, এবং রিজভী রিজু।
মেহজাবীনের বড় পর্দায় অভিষেক
২০০৯ সালে রিয়েলিটি শো লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে বিজয়ের মুকুট অর্জন। তারপর থেকেই শুরু মিডিয়া জগতে মেহজাবীন চৌধুরীর পথ চলা। ২০১০-এর ২১ ফেব্রুয়ারি ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘তুমি থাকো সিন্ধুপারে’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন মেহজাবীন। তারপর থেকে ধীরে ধীরে ছোট পর্দার পরিচিত মুখ হয়ে উঠতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির সামনে গুলি
বড় পর্দায়ও তার অভিষেক হওয়ার কথা ছিল সেই সময়েই; অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় দেড় দশক আগে। ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সালাহউদ্দিন লাভলু পরিচালিত ‘ওয়ারিশ’ শিরোনামের চলচ্চিত্রটির শুভ মহরতও হয়েছিল। ছবিতে তার বিপরীতে নায়ক হিসেবে আরিফিন শুভর অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু পরে ছবিটি আর নির্মাণ মঞ্চ পর্যন্ত যেতে পারেনি।
২০২২ সালে ওটিটিতে যাত্রা শুরু করেন চরকি’র ‘রেডরাম’ ওয়েব চলচ্চিত্র দিয়ে। ভিকি জাহেদ পরিচালিত রহস্য-থ্রিলারটিতে তার বিপরীতে ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো।
৭ মাস আগে
ভিসা বিপত্তির কারণে যা বললেন ফারিণ
অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ ছোটপর্দার চেয়ে এখন ওটিটি ও সিনেমা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। গতবছরই কলকাতার এক সিনেমা দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হলো তার। সেই থেকে ভক্তদের অপেক্ষা দেশের সিনেমায় কবে দেখা যাবে এই তারকাকে।
সেই সময় চলে এসেছে। ২২ ফেব্রুয়ারি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ সিনেমায় দেখা যাবে ফারিণকে।
মিনিস্ট্রি অব লাভ-এর দ্বিতীয় এই সিনেমা পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন।
সিনেমাটিতে ফারিণের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন গায়ক ও অভিনেতা প্রীতম হাসান।
আরও পড়ুন: প্রীতম-ফারিণ জুটির সিনেমা 'কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’
‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ এর কিছু অংশ শুটিং হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু ফারিণ গণমাধ্যমে জানান সেখানে যাওয়ার ভিসা ইউনিটের সবাই পেলেও তিনি পাননি।
ফারিণ বলেন, ‘আমার ফেসবুকের সঙ্গে পাসপোর্টের নামের মিল না থাকায় শুরুতে ভিসা রিজেক্ট হয়। টিমের সবাই ঠিকঠাক ভিসা পেলেন। কিন্তু আমার হলো না। এ জন্য কাজটা পেছাতে হয়েছে। পরবর্তীতে সব ঠিক করা হয়।’
রাজশাহী ও অস্ট্রেলিয়ার দুই জায়গাতে প্রেমের গল্প বলার মতো দারুণ সব জায়গা পেয়েছেন বলে জানান পরিচালক শিহাব শাহীন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সিনেমার গল্পটাই এমন যে মফস্বল থেকে একদম শহর পর্যন্ত চলবে প্রেমের কাহিনী। সেই সঙ্গে এই দুই জায়গাতেই সবার এতো এতো হেল্প পেয়েছি তাতে আমাদের কাজটা আরও সহজ হয়েছে।’
এই সিনেমায় দেখা মিলবে নতুন মুখ রূপন্তী আকিদের। এছাড়াও অভিনয় করেছেন সমাপ্তি মাশুক, খলিলুর রহমান কাদেরী, শিরিন আলম, শুভজিৎ ভৌমিক, ও শাহীন শাহনেওয়াজ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ
বিজয় দিবসে জোভান-ফারিণের ‘প্রেম ৭১’
১০ মাস আগে
সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি: তিশা-ফারুকীর জীবনের প্রতিচ্ছবি?
৫ নভেম্বর রবিবার রাত ৯টায় মুক্তি পেলো ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ এর দ্বিতীয় টিজার। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চরকি তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে টিজারটি শেয়ার করে। তার কিছুক্ষণ পরই নিজের ফেসবুক পেজে টিজারটি শেয়ার করেন ফিল্মটির পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ভিন্ন ধারার এই চলচ্চিত্র নির্মাতা নিজেও থাকছেন চলচ্চিত্রটির মূখ্য চরিত্রে। আর এর মধ্য দিয়েই অভিনয় জগতে পদার্পণ করতে যাচ্ছেন ফারুকী। সঙ্গে থাকছেন সহধর্মিনী জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। প্রথম টিজারটি প্রকাশ পেয়েছিল ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। তখন থেকেই মিডিয়া পাড়াসহ সকল ভক্তদের মধ্যে হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে অটোবায়োগ্রাফি নিয়ে।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক- এবার কী চমক অপেক্ষা করছে তিশা-ফারুকীর ভক্তদের জন্য।
আরও পড়ুন: সিনেমা নির্মাণের অনুপ্রেরণা পাচ্ছি না: অমিতাভ রেজা
সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি নির্মাণের পটভূমি
বাংলাদেশে জনপ্রিয় ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকি তার দর্শকদের জন্য নির্মাণ করতে যাচ্ছে ১২ জন দেশ সেরা নির্মাতার ১২টি চলচ্চিত্র। ভালোবাসার গল্পগুলোকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা হবে এই সিনেমাগুলোতে।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত প্রজেক্টটির নাম ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’। ইতোমধ্যে প্রজেক্টের ২টি মুভির কাজ শেষ হয়েছে, যেগুলোর পরিচালক ফারুকী নিজেই। এই সম্পন্ন হওয়া মুভি দুটোর একটি চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত লাস্ট ডিফেন্ডার অফ মনোগ্যামী এবং আরেকটি এই সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
১ বছর আগে
প্রচলিত’র দ্বিতীয় গল্প ‘বিলাই’ আসছে চরকিতে
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) চরকির পর্দায় মুক্তি পাবে রহস্য-রোমাঞ্চে ভরপুর অরিজিনাল সিরিজ ‘প্রচলিত’র দ্বিতীয় গল্প ‘বিলাই’।
এটি পরিচালনা করেছেন মো. আবিদ মল্লিক। যেখানে দেখা যাবে উত্তম ও তার বিড়ালের বিধিনিষেধের সময় বেঁচে থাকার এবং মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখার গল্প।
উত্তম চরিত্রে অভিনয় করেছেন আব্দুল্লাহ আল সেন্টু। সঙ্গে ২৩ মিনিটের এই ‘বিলাই’-তে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে ফারিন খানকে।
এই সিরিজে সেন্টু তার কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে গণমাধ্যমে বলেন, ‘গল্পের নাম বিলাই শুনেই ভালো লেগেছিল। ছোটবেলায় শোনা নানা ভৌতিক ও অলৌকিক গল্পের মতো একটা গল্প এটা। জীবনের ক্রাইসিসের মুহূর্ত একটা ভিন্ন ওয়েতে তুলে ধরা হয়েছে এই গল্পে।’
আরও পড়ুন: নরওয়েতে আন্তর্জাতিক সংগীত বিষয়ক সম্মেলনে যাচ্ছেন চিরকুট ব্যান্ডের সুমি
সহশিল্পী হিসেবে বিড়ালের সঙ্গে কাজ করা কেমন চ্যালেঞ্জের ছিল তা জানিয়ে সেন্টু আরও বলেন, ‘অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে বিড়ালের সঙ্গে বন্ধুত্ব করাটা একটু কঠিন ও সময় সাপেক্ষ। বিড়ালের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কামড় ও খাঁমচি খেয়েছি। তবে শেষ পর্যন্ত কাজটা খুব ভালোভাবে ও আনন্দ নিয়ে শেষ করতে পেরেছি।’
সিরিজটি নিয়ে নির্মাতা আবিদ মল্লিক বলেন, ‘কাজের প্রয়োজনেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। প্রচলিত’র গল্পগুলোর ভাবনা এইভাবেই হাঁটতে, চলতে, কখনো মানুষের মুখে, কখনো পড়ে, কিছু শৈশব থেকে ভাবনায় গেঁথে গেছে। সেই ভাবনাগুলোকেই সমসাময়িকায়তার চাদরে জড়িয়ে চেষ্টা করেছি এই সময়কে প্রতিফলিত করার।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে সিরিজটির শুটিং হয়েছে ঢাকা, মানিকগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন লোকেশনে।
সিরিজটির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন রাজু রাজ। মিউজিক ও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করেছেন খৈয়াম সানু সন্ধি। সম্পাদনার কাজটি করেছেন সবুজ শেখ। কালার গ্রেডিংয়ে ছিলেন আশরাফুল আলম ও সাউন্ড ডিজাইন করেছেন রিপন নাথ।
আরও পড়ুন: ‘নায়িকাদের কেন সংসার টেকে না’- ব্যাখ্যা দিলেন ফারিয়া
১ বছর আগে
আসছে অনম বিশ্বাসের ‘ভাইরাস’
আসছে নতুন এক ধরনের ভাইরাস…আপনি কী আক্রান্ত? জানতে চোখ রাখুন চরকি-র ফেসবুক পেইজে– এরকম একটা ক্যাপশন দিয়ে রবিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় চরকির অফিসিয়াল পেজ থেকে একটি পোস্টার প্রকাশ করা হয়। রাত থেকেই পোস্টারটি নিয়ে দর্শক বেশ আলোচনায় করছে।
পোস্টারটি চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘ভাইরাস’-এর। ‘দেবী’, ‘দুই দিনের দুনিয়া’ খ্যাত পরিচালক অনম বিশ্বাস নির্মাণ করেছেন সিরিজটি।
কোন ভাবনা থেকে 'ভাইরাস'-এ নির্মাণ করা এমন প্রশ্নে পরিচালক অনম বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডিজিটাল সময়ের ভাত খাওয়া মানুষদের জন্য এমন একটা গল্প বলতে চেয়েছি যেইটা তাদেরকে একটু হলেও ভাবায়। পুরা শ্যুটিং এর সময় এমন গরম আর রোদ ছিলো, ভাগ্য ভালো কেউ পালিয়ে যায় নাই বলেই হাসতে থাকেন তিনি। আর পালিয়ে যায় নাই তার মানে হইলো গল্পটা ছেড়ে যায় নাই, তারা গল্পের ভেতরে ছিলো।’
আরও পড়ুন: আমি কী তুমি: মেহজাবিনকে নিয়ে ভিকি জাহেদের নতুন ওয়েব সিরিজ
দর্শকদের উদ্দ্যেশ্য পরিচালক বলেন, ‘আমি চাই আপনারা কনটেন্টটা দেখুন,সমালোচনা করুক। এই সিরিজে পর্বে পর্বে আপনাদের জন্য বিভিন্ন মজা রাখা হইসে,মজা মিস কইরেন না।’
পোস্টারে দেখা যাচ্ছে শ্যামল মাওলা চাদর দিয়ে তার মুখের অর্ধেক ঢেকে রেখেছেন। বাকি অর্ধেকে ভাইরাস আক্রান্ত।
এই সিরিজে নিজের চরিত্র নিয়ে শ্যামল বলেন, ‘ভাইরাসে কাজ করার মূলে হলো অনম বিশ্বাস। তার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে ছিলো। আর সেই সঙ্গে এখানে আমার চরিত্রটাও একদম ভিন্ন। দর্শক দেখলেই বুঝতে পারবে যে গল্পটা একটু অন্যরকম। যারা ভিন্নতা পছন্দ করেন তাদের ভালো লাগবে আশা করছি।’
এই সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন শরীফ সিরাজ, রাশেদ মামুন অপু, গোলাম ফরিদা ছন্দা, ক্রিস্টানো তন্ময়,মারশিয়া শাওন,টুপুরসহ আরও অনেকে। সেই সঙ্গে এই সিরিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নাট্যকলা বিভাগের একঝাঁক শিক্ষার্থী অভিনয় করেছেন।
শিগগিরই চরকির পর্দায় উন্মুক্ত হবে এই সিরিজ।
আরও পড়ুন: হলিউডে ধর্মঘটের কারণে এমি অ্যাওয়ার্ড স্থগিত
১ বছর আগে
পাতালঘর: চরকিতে আসছে নুসরাত ফারিয়ার ওয়েব ফিল্ম
মডেলিং থেকে শুরু করে টিভি শো ও বড় পর্দা, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সমানভাবে পরিচিত মুখ নুসরাত ফারিয়া। ভারত ও বাংলাদেশে সমানভাবে নিজের স্বাক্ষর রাখা এই তারকা এবার পদার্পণ করতে চলেছেন ওটিটি জগতে। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ওটিটি চরকিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘পাতালঘর’। বাণিজ্যিক ঘরানার চলচ্চিত্রের বাইরে ভিন্ন বেশে দেখা যাবে নুসরাত ফারিয়াকে। চলুন, তারকাবহুল এই চলচ্চিত্রটির ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
পাতালঘরের গল্প
বহুদিন পর ঘরে ফিরে আপন মানুষগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে ভীষণ অস্বস্তিতে পড়ে যায় মেয়েটি। যেমনটা অস্বস্তির সৃষ্টি হয় কোনো অপরিচিত মানুষের সান্নিধ্যে। মায়ের সঙ্গেই যেখানে স্বাভাবিক হওয়া দায় হয়ে পড়ছে, সেখানে অন্যান্য মানুষগুলোকে রীতিমতো অচেনা ঠেকে মেয়েটির কাছে।
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনকে সমৃদ্ধ করতে পেশাগত জীবনে সর্বোচ্চ শিখরে জায়গা করে নেওয়া অপরিহার্য। কিন্তু কর্মজীবনের সেই খ্যাতি যখন চিরচেনা সম্পর্কগুলোতে জটিলতা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন পুরো জীবনটা যেন বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: এমআর-৯ ডু অর ডাই: মাসুদ রানা আসছেন রূপালি পর্দায়
এমনি সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে আবর্তিত হয়েছে পাতালঘরের কাহিনী। পরিণত সংলাপের মাধ্যমে নানা ধরনের চরিত্রের মাঝে সবচেয়ে বেশি আলোকিত হয়েছে মা ও মেয়ের গল্প।
দীর্ঘদিনের জীবনধারার দৌরাত্ম্য ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে ছাড়িয়ে চির সত্য এই সম্পর্কটি তার গন্তব্য খুঁজে পাবে কি না- তারই জবাব মিলবে এই পাতালঘরে।
পাতালঘর ওয়েব ফিল্মের নেপথ্যে রয়েছেন যারা
পাতালঘরের পরিচালনা করেছেন ‘কমলা রকেট’ খ্যাত নূর ইমরান মিঠু। ২০১৮ সালের কমলা রকেট ছিল তার প্রথম চলচ্চিত্র, যেটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
পাতালঘরের প্রযোজনা কমিটিতে আছেন আবু শাহেদ ইমন, মীর মোকাররম হোসেন, ফরিদুর রেজা সাগর ও তাহরিমা খান। চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থাগুলো হলো- বক্স অফিস, গল্প রাজ্য ফিল্মস, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড, বাতায়ন প্রোডাকশনস এবং জয়া স্যানিটারি ন্যাপকিন।
চলচ্চিত্রটির শুটিং হয়েছিল কোভিড মহামারির সময় ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে রাজবাড়ীর পাংশা এলাকায়।
আরও পড়ুন: দর্শক আগ্রহে এগিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রিয়তমা’ ও ‘প্রহেলিকা’
পাতালঘর ওয়েব ফিল্মের অভিনয়শিল্পীরা
তারকাবহুল ওয়েব ফিল্মটিতে নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রয়েছেন ৯০ দশকের জনপ্রিয় নাট্যাভিনেত্রী আফসানা মিমি। এ পর্যন্ত মাত্র চারটি চলচ্চিত্রে কাজ করলেও অভিনয় দক্ষতার ক্ষেত্রে নাটকের তুলনায় কোনো অংশে যে কম হবে না তা অনুমেয়। ফারিয়ার মতো তারও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এটা প্রথম কাজ। এই প্রথমবারের মতো তারা একসঙ্গে কাজ করছেন।
ওয়েব ফিল্মটিতে সেই তারকা খ্যাতি পাওয়া মেয়েটির ভূমিকায় থাকবেন নুসরাত ফারিয়া। আর তার মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে আফসানা মিমিকে।
অন্যান্য তারকারা হলেন- রওনক হাসান, নাজিয়া হক অর্ষা, নাসির উদ্দিন খান, ফজলুর রহমান বাবু, সালাউদ্দিন লাভলু, এবং মামুনুর রশীদ। এছাড়াও রয়েছেন দীপান্বিতা মার্টিন, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, মামুন-উল-হক, আরফান মৃধা শিবলু, চন্দনা বিশ্বাস, হাসনাত রিপন, মৌটুসী বিশ্বাস এবং শাদাত রাসেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সিনেমার বড় বাজার তৈরি হবে: নিরব
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাতালঘর
ওয়েব চলচ্চিত্রটি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে উৎসবে সম্মানিত হয়েছে। ২০২২ সালে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ৫৩-তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (আইএফএফআই) চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছিল। বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ার অন্যান্য প্রতিযোগী চলচ্চিত্রগুলোর সঙ্গে একই সারিতে শামিল ছিল পাতালঘর।
এ বছর মার্চে নেপালের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৩৫টি দেশের ৯৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। সেগুলোর মধ্যে থেকে বাংলাদেশের পাতালঘর সেরা ফিচার চলচ্চিত্র হিসেবে ‘দন কিহোতে পুরস্কার’ জিতে নেয়।
শেষাংশ
চরকি অরিজিনাল ওয়েব ফিল্ম পাতালঘর তারকা নুসরাত ফারিয়ার জন্য হতে পারে এক বিশাল অর্জনের ক্ষেত্র। গ্ল্যামার জগতের বিচিত্র অঙ্গনে ইতোমধ্যে নিজের একটি সপ্রতিভ জায়গা বানিয়ে নিয়েছেন ফারিয়া। সেই সূত্রে, এই মেধাবী তারকা ওটিটি চলচ্চিত্রের অভিনয় ধারায় কতটুকু উতড়ে যেতে পারছেন- এখন সেটাই দেখার বিষয়। এই ওয়েব ফিল্মের সম্ভাব্য সফলতায় নিজের পোর্টফোলিও ভারি হওয়ার বিষয়তো থাকছেই। পাশাপাশি একজন পূর্ণাঙ্গ ও দক্ষ অভিনেত্রী হিসেবেও দর্শকদের নিকট এক নতুন পরিচয় সৃষ্টি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সাড়ে ষোলো: হইচই ওটিটিতে আফরান নিশোর নতুন ওয়েব সিরিজ
১ বছর আগে
৮ জুন চরকির পর্দায় আসছে ‘আন্তঃনগর’
নগরের ইটপাথরে মিশে আছে কত বেদনা আর ভালোবাসার উষ্ণ গল্প। তেমনই হরেক রকম গল্প থেকে ছেঁকে নেওয়া কিছু গল্পের সমাহার হয়েছে চরকির অরিজিনাল সিনেমা ‘আন্তঃনগর’-এ। পরিচালক গৌতম কৈরী নৈপুণ্যের সঙ্গেই গল্প লেখা ও পরিচালনার কাজটি করেছেন। এটি মুক্তি পাবে আগামী ৮ জুন রাত ৮টায় চরকির পর্দায়।
‘আন্তঃনগর’ এর অভিনয় করেছেন- শ্যামল মাওলা, রুনা খান, সোহেল মন্ডল, শবনম ফারিয়া, আশীষ খন্দকার, প্রান্তর দস্তিদার, নিদ্রা নেহা, জয় রাজ ও নাফিস আহমেদসহ অনেককে।
এই সিনমায় সিএনজিচালকের চরিত্রে দেখা যাবে শ্যামল মাওলাকে।
সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আন্তঃনগর-এ কাজ অভিনয় করাটা একটু কঠিন ছিল আমার জন্য। কেননা, প্রতিদিন সিএনজি চালাতে হয়েছে। সিএনজি চালাতে চালাতে হাতে ফোসকা পরে গেছিল। সেই সঙ্গে অভিনয়; সব মিলিয়ে একটা মিশ্র পরিস্থিতি। সহশিল্পী হিসেবে রুনা আপুর সঙ্গে কাজ করতে ভালোলাগে। এই সিনেমার গল্প বলার থেকে দেখতে বেশি ভালো লাগবে। কারণ কাজটা বেশ মৌলিক।’
আরও পড়ুন: চঞ্চল -বাপ্পার হাতে টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড ২০২৩
এদিকে প্রথমবারের মতো চরকির কোনো কাজে দেখা যাবে রুনা খানকে।
তিনি বলেন, ‘সিনেমায় আমার সহশিল্পী ছিলেন শ্যামল ও জয় রাজদা। তারা দুজনেই গুণী অভিনেতা। প্রতিটি সিনেমার পরিচালক নিজের মতো করে তাদের গল্প দেখানোর চেষ্টা করেন। সেদিক থেকে আন্তঃনগরের বলার ধরন এক ভিন্ন রকম ছিলো। আশা করছি দর্শকরা এটা দারুণভাবে উপভোগ করতে পারবে।’
‘আন্তঃনগর’-এ আছেন সোহেল মণ্ডলও।
তার কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘গৌতম কৈরির সঙ্গে অনেক আগে থেকেই পরিচয় ছিলো। পরিচালক হিসেবে তিনি বেশ বন্ধুসুলভ। পুরো টিম ছিলো ক্রিয়েটিভ তাই কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ। শবনম ফারিয়ার একজন ফূর্তিবাজ শিল্পী তাই দারুণ সময় কেটেছে কাজের সময়। এটা আমাদের চারপাশের মানুষের গল্প। প্রেম, দ্রোহ, থ্রিল সব বিষয়ও আছে। দারুণ একটি গল্প এটি তবে দর্শকরা কীভাবে নেয় সেটা হলো বিষয়।’
অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া বলেন, ‘এই সিনেমায় যারা আছেন সবার সঙ্গেই আগে কাজের অভিজ্ঞতা ছিলো। রুনা আপার সঙ্গে সিরিয়ালে দীর্ঘ সময় কাজ করেছি। শ্যামল দা, সোহল ভাই সবাই পছন্দের মানুষ। তাই তাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বেশ।
ফারিয়া আরও বলেন, ‘এই সিনেমার গল্প নারীদের জীবন যুদ্ধ নিয়ে। এটা আমাদের খুব কাছের গল্প। কাজটা নিয়ে আমার অনেক প্রত্যাশা। চরকি ভিন্ন ধরনের ভালো গল্প বলে। সেদিক থেকে এই গল্পটা নিয়ে প্রত্যাশা অনেক বেশি।’
‘আন্তঃনগর’ নিয়ে পরিচালক গৌতম কৈরি বলেন, ‘আমার প্রথম সিনেমা আন্তঃনগর। মিশ্র এক অনুভূতির মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে আমাদের। আন্তঃনগর-এ সকল অভিনয়শিল্পী নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়েই কাজটি করেছে। এখানে দুইজন নতুন অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে দর্শক পরিচিত হবে। তাদের ডেডিকেশন লেভেলের প্রশংসা করতেই হবে।’
আরও পড়ুন: ‘সুলতানপুর’ প্রেক্ষাগৃহে আসছে ২ জুন
প্রকাশ পেল ‘সুলতানপুর’ সিনেমার দ্বিতীয় গান ‘বোকা মন’
১ বছর আগে