চরকি
আরিয়ানের সিনেমায় শুভ-বিন্দু
প্রায় ৮ বছর অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন লাক্স তারকা আফসান আরা বিন্দু। শুধু তাই নয়, অভিনয় থেকে বিরতির পর গণমাধ্যমের সামনেও আসনেনি তিনি। অথচ সমসামায়িক অনেকের চেয়ে এগিয়ে ছিল তার ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা। ভক্তদেরও এ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ তো ছিলই। অবশেষে সেটি ঘুচতে যাচ্ছে।
মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় চরকি অরিজিনাল সিনেমায় দেখা যাবে বিন্দুকে। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে থাকবেন আরিফিন শুভ। এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের প্রথম কোনো কনটেন্টে অভিনয় করবেন এই তারকা।
অনেকদিন পর কাজে ফেরা প্রসঙ্গে আফসান আরা বিন্দু গণমাধ্যমে বলেন, ‘কাজটি ভালোভাবে শুরু করতে চাই। অনেকদিন পর কাজে ফিরছি, দর্শকের মাঝে কাজ দিয়ে পৌঁছাতে পারবো ভেবে আবেগটাও অনেক বেশি কাজ করছে। এখন শুধু অপেক্ষা দর্শকের কাছে কাজটি পৌঁছানোর।’
আরও পড়ুন: 'সুড়ঙ্গ' হতে যাচ্ছে বড় পর্দায় নিশোর প্রথম সিনেমা
সিনেমাটি প্রসঙ্গে আরিফিন শুভ বলেন, ‘সবাই মিলে ভালো একটা কাজ শুরু করছি। কনটেন্টের গল্প নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করবো আমাদের দিক থেকে শতভাগ ভালো একটা কাজ দর্শককে উপহার দেয়ার। বাকিটা সময়, দর্শক ও সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভর করবে।’
পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ান বলেন, ‘ফিলগুড লাভ স্টোরি /ফিলগুড রোমান্স জনরার হবে এই সিনেমাটি। ৯০ মিনিটের একটা ভালোলাগার জার্নি হবে। যাদের জীবনে এমন ভালোলাগার মুহূর্ত ঘটেছে তারা নিজের জীবনকে রিলেট করতে পারবে এই গল্পের বিভিন্ন মোমেন্টের মাধ্যমে। আবার যাদের জীবনে এমন ভালোলাগার মুহূর্ত ঘটেনি তারাও চাইবে এমন ভালোলাগার মুহূর্তগুলো তার জীবনেও ঘটুক।’
আরও পড়ুন: বলিউড সিনেমায় পঙ্কজ ত্রিপাঠীর বিপরীতে জয়া আহসান
নিলয় ও সারিকার ‘এক টিকেটে দুই ছবি’
প্রথমবার চরকি অরিজিনাল সিনেমায় মোশাররফ করিম
প্রথমবারের মতো চরকি অরিজিনাল সিনেমায় দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে। সঞ্জয় সমাদ্দারের পরিচালনায় সিনেমা ‘দাগ’ এ দেখা মিলবে জনপ্রিয় এই অভিনেতার।
সম্প্রতি ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে/স্থানে শেষ হয়েছে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ।
আরও পড়ুন: ১৩ ফেসবুক ও ইউটিউব অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে শাকিবের আইনি ব্যবস্থা
মোশাররফ করিম ‘দাগ’ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দাগ আমরা কেউ রাখতে চাই না। আমরা সবাই দাগ মুছে ফেলতে চাই। আমরা হয়তো অনেক দূর এগিয়েছি, অনেক ধরনের দাগ মুছে ফেলছি। কিন্তু এখনো এমন কিছু দাগ আছে যেগুলো আমরা মুছে ফেলতে পারতাম কিন্তু মুছিনি। সেই মুছতে না পারা দাগগুলোর গল্পই হলো দাগ।’
সঞ্জয় সমাদ্দার বলেন, ‘আমার জন্য খুব অসাধারণ একটা জার্নির গল্প দাগ। গল্পটাকে প্রোপার একটা রূপ দেয়ার জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করেছি। আর যে রকম গল্পে আমরা কাজ করেছি এরকম গল্প আগে কখনো নির্মাণ হয়নি। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রকে তা আসলে গল্প না দেখা পর্যন্ত বলা যাবে না। এই গল্পে হিরো সামাজিক ইস্যু।’
আমার জীবনটাই সিনেমা: রায়হান রাফী
সময়টা এখন পরিচালক রায়হান রাফীর। ঈদের প্রায় দুই মাস পরেও এখনও পুরোদমে চলছে তার ‘পরান’' সিনেমাটি।এরইমধ্যে নতুন আরেক খবর দিলেন এই নির্মাতা। তবে এবার বড়পর্দায় নয়, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে তার নতুন চমক।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে রায়হান রাফীর পরিচালনায় ওয়েবফিল্ম ‘নিঃশ্বাস’।
২০ আগস্ট রাতে চরকির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই সিনেমার একটি টিজার প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা গেছে হালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণকে।
এ বিষয়ে পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, ‘আমি আসলে খুব ভাগ্যবান। সেই সঙ্গে খুব খুশি যে আমার সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে চলছে, আবার ওটিটিতেও আসবে। চরকি আমার জন্য একটা সিনেমা হল। যারা হলে যেতে পারেন না, তারা দেশ-বিদেশ থেকে চরকি দেখেন। ‘নিঃশ্বাস’ এখন পর্যন্ত আমার করা সবচেয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ। আমার সব ছবি থেকে এই ছবির মেকিং, স্টাইল, জনরা সব কিছুই আলাদা।’
এক বছরেই ওটিটি ও হল মিলিয়ে এতগুলো সিনেমা কিভাবে বানাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে সিনেমার মধ্যেই থাকি। সিনেমার মধ্যে খাই, ঘুমাই। গল্পের মধ্যে থাকি। আমার জীবনটাই সিনেমা। আমি যখন থেকে সিনেমাতে কাজ শুরু করেছি তখন থেকে এক সপ্তাহের জন্যও ব্রেক নেইনি। আমি কাজের মধ্যে থাকতেই পছন্দ করি। এ জন্যই বোধহয় দর্শককে এত এত সিনেমা দিতে পারছি।’
রাফীর সিনেমার আয়োজন সব সময় একটু ভিন্ন থাকে। তার সিনেমায় একটা অন্যরকম ভাষা থাকে। এমন কাজ করতে কতটুক শ্রম প্রয়োজন জানতে চাইলে রাফী বলেন, ‘আমি আসলে দর্শককে ঠকাতে চাই না। দর্শক তো নিজের সময়, টাকা সব দিয়ে সিনেমাটা দেখেন। তাদেরকে ঠকালে তো আমাদের ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাবে। জানি না ‘নিঃশ্বাস’-এর টিজার দেখে দর্শক কতটুক বুঝতে পেরেছে, এই সিনেমার অনেক বড় একটা সেট বানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে ৫০-৬০জন আর্টিস্ট কাজ করেছেন।’
আরও পড়ুন: ‘শুল্কপক্ষ’ শেষ পর্যন্ত দর্শককে আটকে রাখবে: সুনেরাহ
অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন ‘দিন: দ্য ডে’র পরিচালক
সত্য ঘটনা অবলম্বে ‘তনয়া’
বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে ইমরাউল রাফাত নির্মাণ করেছেন চরকি ফ্লিক ‘তনয়া’। ২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টায় মুক্তি পাবে কনটেন্টটি। তনয়া মূলত একটি মেয়ের সমাজ বাস্তবতার ভয়ংকর প্রভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাওয়ার গল্প। নাম চরিত্রে দেখা যাবে মাখনুন সুলতানা মাহিমাকে।
‘তনয়া’ নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মাখনুন সুলতানা মাহিমা বলেন, ‘প্রথমে তনয়া-র গল্প শুনেই আমি খুব অবাক হয়েছি এটা ভেবে যে, এটা একটা সত্যি ঘটনা। একটা মেয়ের জীবনে এরকম অঘটন ঘটে গেছে। বর্তমানে কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা খুব সহজেই জাজ করে ফেলি। কিন্তু সেই ঘটনার সত্যটা আমরা কেউ যাচাই করতে যাই না।’
পরিচালক ইমরাউল রাফাত বলেন, ‘তনয়া-র গল্পটা একটা আড্ডায় শোনা। পরিচিত একজনের কাছ থেকে। হঠাৎ করেই আমি পুরো গল্পটা শুনতে আগ্রহী হই। আমরা নরমালি যে ফরম্যাটে যাই, একটা গল্প লিখে রাখা, কোথাও প্রোপজাল হিসেবে জমা দেয়া; এই গল্পের ক্ষেত্রে তেমন কিছুই হয়নি। গল্পটা মাথাতেই ছিল।’
ইমরাউল রাফাত আরও বলেন, ‘ঘটনাচক্রে চরকির সঙ্গে গল্পটা নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে সত্য ঘটনা নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার জন্য সব সময় ভালো। কারণ জীবনঘনিষ্ঠ অনেক কিছু পাওয়া যায়। বাবু ভাই ও মাহিমাসহ যারা অভিনয় করেছেন, সবাই দুর্দান্ত কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে আমার টিমের সবাই অনেক চেষ্টা করেছেন কনটেন্টটি ভালোভাবে শেষ করার। সেক্ষেত্রে তনয়া আমার খুব কাছের একটা প্রডাকশন।’
‘তনয়া’-তে আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, এস এস জায়ান, শামীমা নাজনীনসহ আর অনেককেই।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা মুক্তি
মুক্তি পেল ‘ষ’-এর তৃতীয় পর্ব ‘লোকে বলে’
সাইকোলজিক্যাল হরর ঘরানার চারটি ভিন্ন গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে চরকি অরিজিনাল অ্যান্থোলজি সিরিজ ‘ষ’। মুখে মুখে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে তৈরি এই অ্যান্থোলজি সিরিজ।
এই সিরিজের তৃতীয় পর্ব ‘লোকে বলে’ মুক্তি পেয়েছে ২১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টা ৫৯মিনিটে।
এটি পরিচালক নুহাশ হুমায়ূনের তৈরি প্রথম ওয়েব সিরিজ। এছাড়া নুহাশ পরিচালিত এই সিরিজটির মাধ্যমে চরকি এই প্রথম ভৌতিক ঘরানার কোনো কনটেন্ট মুক্তি দিতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে পেট কাটা ‘ষ’-এর মুক্তি পাওয়া দুটি পর্ব ‘এই বিল্ডিং এ মেয়ে নিষেধ’ ও ‘মিষ্টি কিছু’ দর্শক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিউজিক ভিডিওতে প্রথমবার দিঘী
‘লোকে বলে’ পর্বে অভিনয় করেছেন মোরশেদ মিশু, সাঈদা তাসলিমা হাসান নদী, প্রণয় দেব উচ্ছাস তৌফিকুল ইমন ও গীতশ্রী চৌধুরী। কার্টুনিস্ট চরিত্রে এই পর্বে অভিনয় করেছেন মোরশেদ মিশু। তিনি বলেন, ‘আমি পেশায় একজন কার্টুনিস্ট কিন্তু ক্যামেরার সামনে অভিনয় করার চেষ্টা এবারই প্রথম। আমি একই সঙ্গে নার্ভাস ও এক্সাইটেড। উন্মাদ ম্যাগাজিনে আমার আঁকা কার্টুন যখন প্রথমবার ছাপা হয়, সেইরকম অনুভব করছি। সেসময় যেমন সিনিয়র কার্টুনিস্টদের নামের পাশে নিজের নাম দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছিলাম এবারও তেমন আফজাল হোসেন, চঞ্চল চৌধুরী, নওশাবা আহমেদ, সোহেল মন্ডলের মত অভিনয় শিল্পীদের নামের সঙ্গে নিজের নাম দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছি।’
সিরিজের নাম কেন পেটকাটা ষ দিয়েছেন এমন প্রশ্নে নুহাশ হুমায়ূন বলেন, ‘মূর্ধন্য ষ-কে আমরা সবাই ছোটবেলা থেকে পেটকাটা ষ বলি। কেউ বাংলা ভাষা শিখলেই এই অক্ষরটাকে পেটকাটা ষ বলে ও চিনে। কিন্তু কেন? কোনো বাংলা বই বা কোথাও কিন্তু পেটকাটা ষ লেখা নেই। খুব ভৌতিক একটা অদ্ভুত নাম। কিন্তু কেমন করে যেনো লোককথার মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জিনিষটা খুব পরিচিত হয়ে গেছে। আমার কাছে মনে হয়েছিল এই ভূতের গল্পগুলোও একই রকম। কোথাও লেখা নেই। পুরাটা লোককথা। কিন্তু মুখে মুখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে গেছে। সো ফাইনালি, পেটকাটা ষ-কে পেটকাটা ষ বলতে চাই; লিখতে চাই। আর ভূতের গল্পগুলোকে আমার মতো করে আধুনিকভাবে একত্রিত করতে চাই।’
আরও পড়ুন: কেজিএফ চ্যাপ্টার ২: মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ব্যয়বহুল কন্নড় চলচ্চিত্রের বাজিমাত
চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘চরকি সব সময় চেষ্টা করে দর্শকদের মৌলিক ও ভিন্ন কনটেন্ট উপহার দেয়ার। ভৌতিক বা হরর কনটেন্ট চরকির পর্দায় এর আগে দর্শক দেখেনি। আশা করছি, সিরিজ ‘ষ’ দেখে দর্শক হতাশ হবে না।’
ঘুরতে ঘুরতে একদিন এক দম্পতি এমন একটা গ্রামে গিয়ে পৌঁছায় যে গ্রাম থেকে নাকি প্রতিটা বাংলা কুসংস্কারের উৎপত্তি হয়। একটার চেয়ে আরেকটার পেছনের গল্প অদ্ভুত, আরও বেশি আজব। কি সেই কুসংস্কারের গল্পগুলো? তা জানা যাবে ‘লোকে বলে’ পর্ব থেকে।
অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে রাজ-পরীর ‘গুণিন’
অপেক্ষার পালা শেষ করে আগামী ১১ মার্চ সিনেমা হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত চরকি অরিজিনাল সিনেমা ‘গুণিন’।
হাসান আজিজুল হকের ছোটগল্প ‘গুণিন’ থেকে নেয়া হয়ে এই সিনেমার গল্প। এর নাম চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম। এছাড়া সিনেমার মুখ্য দুই চরিত্রে দেখা যাবে শরিফুল রাজ ও পরীমণিকে।
সেই সঙ্গে দিলারা জামান, ইরেশ যাকের, মোস্তফা মন্ওয়ার, শিল্পী সরকার অপু, ঝুনা চৌধুরীসহ আরও অনেককেই দেখা যাবে এই সিনেমায়।
আরও পড়ুন: ৪০০ বছর আগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘কাজল রেখা’
মুক্তি পাচ্ছে মনোজ প্রামাণিকের ‘একজন তেলাপোকা’
অভিনয়ের জন্য গল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক বরাবরই প্রশংসিত। নতুন বছরটা শুরু করলেন তেমনই একটি কাজ দিয়ে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’তে ৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টায় মুক্তি পাবে তার অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একজন তেলাপোকা’।
চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন তরুণ পরিচালক গোলাম মুনতাকিম। গল্পে দেখা যাবে আসলাম (মনোজ) একজন রিকশাচালক। দুর্ঘটনায় পড়ে সে তার রুটিরুজির একমাত্র সম্বল তার রিকশা হারায়। উদ্দেশ্যহীনভবে ঘুরতে ঘুরতে একদিন কুড়িয়ে পাওয়া একটি জিনিস তার জীবন পাল্টে দেয়।
মনোজ প্রামাণিক বলেন, ‘এই কাজটা আমার মনের খুব কাছের একটা কাজ। আমাদের প্রোডাকশন হাউজ মনপাচিত্রের এটা প্রথম শ্যুট করা কাজ। গল্পের দিক থেকে এটা বেশ ইউনিক। আশা করছি, দর্শকরা চরকিতে শর্টফিল্মটা বেশ উপভোগ করবে।’
আরও পড়ুন: গুঞ্জন সত্যি করে বিয়ে করলেন বিদ্যা সিনহা মিম
প্রথম নির্মাণ নিয়ে পরিচালক মুনতাকিম বলেন, ‘কাজটা করার সময় অনেক ধরনের বাধা-বিপত্তি আসছে। বিশেষ করে আমরা যে লোকেশনে শ্যুট করেছি সেই জায়গাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। সব মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি কাজটা সততার সঙ্গে করার।’
এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, নাসির উদ্দিন খান, তাসনুভা তিশা, এস এম তুষার, হুমায়রা স্নিগ্ধা, আহসাবুল ইয়ামিন রিয়াদ ও মুনসিফ উজ জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ফিকশন সিনেমায় জুটি বাঁধলেন নিরব-স্পর্শিয়া
চরকি অরিজিনাল ‘জাগো বাহে’: ঐতিহাসিক তিন গল্পের অমনিবাস চলচ্চিত্র
একাধিক গল্প নিয়ে একটি সিনেমা; এক কথায় যাকে অমনিবাস চলচ্চিত্র বা ইংরেজিতে অ্যান্থলজি ফিল্ম বলা হয়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে এ ধরনের শিল্প সবেমাত্র ডানা মেলতে শুরু করেছে। ২০১৮ সালের ‘ইতি তোমারই ঢাকা’র পর চলতি বছর চরকি অরিজিনাল ‘ঊনলৌকিক’ বেশ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। তারই ধারাবাহিকতায় বিজয়ের মাস জুড়ে চরকি মুক্তি দিচ্ছে তিন গল্পের অমনিবাস চলচ্চিত্র ‘জাগো বাহে’। চলুন, ওয়েব ফিল্মটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
জাগো বাহে: চিত্রনাট্যে বায়ান্ন, সত্তর ও একাত্তর
অমনিবাস চলচ্চিত্রটির তিনটি গল্পের প্রথমটির শিরোনাম ‘শব্দের খোয়াব’, যেটি নির্মিত হয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলন মুখর একটি দিনে অফিসগামী ইলিয়াস সাহেব অফিসে গিয়ে জানতে পারলেন- অফিসে এখন থেকে উর্দু চলবে। বসের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তে বেকায়দায় পড়ে চাকরি বাঁচাতে তিনি উর্দু শেখা শুরু করেন।
অন্যদিকে তুচ্ছ কারণে অফিস থেকে বাঙালি কর্মচারিদের চাকরি চলে যাবার ঘটনা বাড়তেই থাকে। এ অবস্থায় মনে চাকরি হারাবার ভয় নিয়ে এক অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন ইলিয়াস সাহেব।
আরও পড়ুন: সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমার শুভমুক্তি
দ্বিতীয় গল্পটির নাম ‘লাইট্স, ক্যামেরা.. অবজেকশন’, যার পুরোটিই সাম্প্রদায়িক চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং অসাম্প্রদায়িক চলচ্চিত্র নির্মাতার মধ্যকার সংলাপ নিয়ে বানানো হয়েছে। ১৯৭০ সালে শ্রেষ্ঠ ছবি ‘জীবন থেকে নেয়া’ সেন্সর বোর্ডে আটকে যাওয়ায় নিজের মুক্ত সৃজনশীলতা চর্চা নিয়ে সেন্সর বোর্ডের সাথে যুক্তি তর্কে জড়িয়ে পড়েন কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান। সেই কথোপোকথোনটিই উঠে এসেছে এই গল্পে।
শেষ গল্পটি হলো ‘বাংকার বয়’। প্রেক্ষাপটটা ৭১’এর মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ করার সময়। একজন পাকিস্তানি সৈন্য এবং ভারতের ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া এক আঠারো বছরের তরুণ-এর এক হৃদয়বিদারক গল্প নিয়ে আবর্তিত হয়েছে এই গল্প।
‘জাগো বাহে’ অমনিবাস চলচ্চিত্রের রূপকারদের কথা
‘শব্দের খোয়াব’-এর পরিচালক সিদ্দিক আহমেদ, ‘লাইটস, ক্যামেরা... অবজেকশন’-এর নির্দেশনায় ছিলেন সালেহ সোবহান অনীম এবং ‘বাংকার বয়’-এর পরিচালনা করেছেন সুকর্ণ শাহেদ ধীমান।
আরও পড়ুন: ৩০ ডিসেম্বর থেকে ‘চরকি’তে দেখা যাবে ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’
গত ৭ ডিসেম্বর একসাথে মুক্তি দেয়া হয় ‘জাগো বাহে’র তিনটি গল্পের আলাদা পোস্টার ও টিজার, ট্রেইলার। চরকি অরিজিনাল হিসেবে পর্ব তিনটির মুক্তির দিন ঠিক হয় ক্রমান্বয়ে ডিসেম্বরের ৯, ১৬ ও ২৩ তারিখ।
চরকির সাথে যৌথভাবে নগদের ব্যানারে প্রকাশিত হচ্ছে এই অমনিবাস চলচ্চিত্রটি।
মুভি সিরিজটির শ্যুটিংয়ের সময় সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল ৫২, ৭০ ও ৭১ এর সময়টাকে ফ্রেম বন্দি করা। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময়ে চারপাশের পুরো পরিবেশটাই পাল্টে গেছে। তাই প্রতিটি সেট নতুন করে সাজিয়ে নিতে হয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর থেকে ‘চরকি’তে দেখা যাবে ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’
চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ ৩০ ডিসেম্বর থেকে দেশীয় ওটিটি (ওভার দ্যা টপ) প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’তে উন্মুক্ত করা হবে। রবিবার রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।
‘চরকি’র প্রধান পরিচালক রেদওয়ান রনি বলেন, ‘শুরু থেকে আমাদের চাওয়া “চরকি” হবে বাংলা কনটেন্টের রাজধানী। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। এবার আমাদের সঙ্গে যুক্ত হলো “রেহেনা মরিয়ম নূর”। এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ সিনেমা হলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রত্যাশা করি আমাদের প্ল্যাটফর্মেও এটি ভালো সাড়া ফেলবে।
‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর মধ্য দিয়ে কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশের কোনো সিনেমা। শুধু তাই নয় বিদেশের একাধিক উৎসবে সিনেমাটি দেখানো হয়। এছাড়া ২০২২ সালের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অস্কারের ৯৪তম আসরের বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হয়েছে নির্মাতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে ঢাকার সিনেমায় নাসিরুদ্দিন শাহ
সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু বলেন, ‘আমরাও চেয়েছিলাম সিনেমাটি দেশের কোনো প্ল্যাটফর্মে দেখা যাক। সেই চিন্তা থেকে “চরকি”র সঙ্গে যুক্ত হওয়া। যারা হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখতে পারেননি তারা এবার ঘরে বসে দেখে নিতে পারবেন।’
‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ এর নায়িকা আজমেরি হক বাঁধন বলেন, ‘মাঝে যখন ঘরবন্দি ছিলাম এবং ওটিটিতে বিভিন্ন কনটেন্ট দেখতাম, তখন মনে হতো আমাদের দেশে এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম নেই কেন। “চরকি” সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছে। তাদের প্রতিটি কনটেন্ট দেখার মতো। তারা যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে, সেটি প্রথম থেকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। আমাদের উচিত দেশীয় প্ল্যাটফর্মগুলো ও কনটেন্টগুলোকে সাপোর্ট করা।’
এর আগে ১২ নভেম্বর সারাদেশে মুক্তি পায় ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেহানা মরিয়ম নূরকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।
আরও পড়ুন: সংকটের মধ্যেও ২০২১ সালে সরগম ঢালিউড
তিথির অসুখ: ইমরাউল রাফাত পরিচালিত চরকির নতুন ওয়েব ফিল্ম
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় নাট্যকার ইমরাউল রাফাত এবার নিয়ে আসছেন ওয়েব সিনেমা। ‘তিথির অসুখ’ শিরোনামের সিনেমাটির প্রিমিয়ার হবে দেশীয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে ৪ নভেম্বর, ২০২১। ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকে প্রথম দর্শনে মুভিটি বেশ ইতিবাচক সাড়া পায়। তথাকথিত ব্যবসায়িক সিনেমার গণ্ডি পেরিয়ে ওটিটি অরিজিনালগুলো ইতোমধ্যেই চলচ্চিত্র জগতে বিপ্লব নিয়ে আসছে। এ মুভিটিও সেই মিছিলে একটি সরব অংশীদার হতে যাচ্ছে। ট্রেলারে রহস্যময় ফুটেজগুলো দেখে বুঝার উপায় নেই কী হতে যাচ্ছে ছবির কাহিনী। চলুন, নতুন মুক্তি হতে যাওয়া ছবিটির ব্যাপারে কিছু তথ্য জেনে নিই।
রহস্য প্রেমীদের খোরাক জোগাতে ‘তিথির অসুখ’
কফিন, সাপ, লাশ! হরর সিনেমা এই তাৎপর্যপূর্ণ তিনটি উপাদানের সাথে দ্বৈত সত্ত্বা এবং ভবিতব্যের স্বপ্নের এক দারুণ উপস্থাপন দেখা গেছে ‘তিথির অসুখ’ মুভির ট্রেলারে। আবহ সঙ্গীতে ‘রজনী হইশ্না অবসান’ গানটি শুরুতেই যেন পুরো গল্পের নির্যাস আস্বাদনের তাড়না দিলো। এরপর যত সামনে এগুলো পুরো সিনেমাটোগ্রাফি যেন ততটাই দৃষ্টিকে বেঁধে রাখলো চমকে উঠার জন্য।
আরও পড়ুন: পুরাতন বান্টি-বাবলি জুটিকে টপকাতে আসছে বান্টি অর বাবলি-২
দর্শকদের অনেকেই ছোট্ট ভিডিওটিতে ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অনম বিঃশ্বাসের ‘দেবী’কে খুঁজে পাচ্ছেন। কেননা এতে আছে পুরোনো বাড়ি জুড়ে আতঙ্কিত অপ্রকৃতিস্থ নারীর পায়চারি আর তাকে সাহায্য করতে মনরোগ বিশেষজ্ঞের প্রচেষ্টা। তাছাড়া ‘দেবী’র মত এখানেও জমকালো রঙের আধিক্য চোখে পড়েনি। মিনিমালিজমের সীমারেখার মধ্যে থেকে রহস্যগল্পের প্রায় প্রতিটি উদ্দীপককে সতর্কতার সাথে স্পর্শ করা হয়েছে। ছোট ছোট সংলাপ আর অভিব্যক্তিগুলো অকুণ্ঠচিত্ত্বে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে।
‘তিথির অসুখ’ ওয়েব ফিল্ম নির্মাণ
‘তিথির অসুখ’-এর নির্মাতা ইমরাউল রাফাত ছোট পর্দায় মুলধারার রোমান্টিক ও কমেডি নাটক পরিচালনার মাধ্যমেই বেশি সুনাম কুড়িয়েছেন। পরিচালনার হাতেখড়িটা তাঁর হয়েছিলো বর্তমান সময়েরই আরেক জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা আশফাক নিপুণের সাথে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করে।
রাফাতের পরিচালিত প্রথম খণ্ড নাটক ‘চতুরঙ্গ’ যেখানে তিনি তার চারটি শর্টফিল্ম এক সাথে করে একটি চিত্রনাট্য তৈরি করেন। তাঁর প্রথম ধারাবাহিক ‘পাশ্ব প্রতিক্রিয়া’ আরটিভিতে প্রচারিত হয়।
আরও পড়ুন: ইডফায় লড়বে সাইমনের ‘অন্যদিন’
চিত্রনাট্যের ক্ষেত্রে দর্শকদের চাহিদাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া রচয়িতা ইমরাউল রাফাত-এর গল্প নির্ভর সিনেমা বানানোর কাজ এই প্রথম।
প্রথম দিকে নিজের রচনার কাজগুলোই পরিচালনা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। তখনো তাঁর ভালো লাগা জনরার সাথে দর্শক চাহিদা মিলে যেতো। সেদিক থেকে ভাবলে, এই রোমান্টিক কমেডি নাটক নির্মাতা অনেকটা তাঁর নিজের গণ্ডি থেকে বের হয়েই নির্মাণ করছেন এই রহস্যধর্মী চলচ্চিত্র ‘তিথির অসুখ’।
‘তিথির অসুখ’ ওয়েব ফিল্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা
‘তিথির অসুখ’ চলচ্চিত্রের মুল চরিত্রে আছেন এ সময়ের জনপ্রিয় তারকা তাসনিয়া ফারিন। চরকিতে এর আগেও তিনি কাজ করেছেন মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ওয়েব ফিল্মে। এছাড়া জি-৫ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘লেডিস এ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ ওয়েব সিরিজটির মাধ্যমে তিনি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হন। এর বাইরে টিভি নাটকে খুব কম সময়েই নিজের একটি আলাদা অবস্থান করে নিয়েছেন এই নতুন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: টম হল্যান্ডের ‘স্পাইডারম্যান নো ওয়ে হোম’ নিয়ে সিনেমাপাড়ায় হৈচৈ
‘তিথির অসুখ’ ওয়েব ফিল্মে তার বিপরীতে থাকছেন ‘স্বপ্নজাল’-এর নায়ক ইয়াশ রোহান। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তার অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘রূপকথা’ যা প্রকাশ পেয়েছিলো বায়োস্কোপ-এ। সর্বশেষ চরকিতে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ওয়েব ফিল্মে তাসনিয়া ফারিনের সাথে তিনিও ছিলেন।
‘তিথির অসুখ’-এ আরও দেখা যাবে ছোট ও বড় পর্দার সুপরিচিত মুখ ইন্তেখাব দিনারকে।
পরিশিষ্ট
এতটুকু নিশ্চিত করে বলা যায় যে, বাংলাদেশের রহস্য বা হরর ক্যাটাগরিকে সমৃদ্ধ করতে দারুণ একটি মুভি হতে যাচ্ছে ‘তিথির অসুখ’। ঢালিউডে রহস্য ও হরর-এর মিশ্রণ নেই বললেই চলে। খুব সীমিত পর্যায়ের যেগুলো হয়েছে সেগুলোর মান নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। সেদিক থেকে হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনের রচিত ‘দেবী’ চলচ্চিত্রের এখন পর্যন্ত কোনো জুড়ি নেই। তাই ‘তিথির অসুখ’-এর শুভ মহরত শুধু অনলাইন বাংলা কন্টেন্টের এক অপূর্ব সংযোজন হবে তা নয়, বাংলাদেশি গল্পে দর্শকদের স্বাদেরও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
আরও পড়ুন: পুনিথ রাজকুমার: কান্নাড়া চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতার পরোপকারী ক্ষণস্থায়ী জীবন