পেইন্টিং
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনের পট’ পেইন্টিং পরিদর্শন নৌপ্রতিমন্ত্রীর
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈচিত্র্যময় এবং বহুমাত্রিক জীবন নিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ স্ক্রল পেইন্টিং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনের পট’ পরিদর্শন করেছেন। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে এই পেইন্টিং প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
সর্ববৃহৎ এই স্ক্রল পেইন্টিং দু’সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শিত হবে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্ববৃহৎ এই স্ক্রল পেইন্টিং এর উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ
প্রতিমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনের পট’ শীর্ষক সর্ববৃহৎ স্ক্রল পেইন্টিং দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ ধরনের প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য পেইন্টিং এর শিল্পী বিকাশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সারাদেশে এধরনের পেইন্টিং প্রদর্শনী আয়োজনের আহ্বান জানান।এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, স্ক্রল পেইন্টিংয়ের শিল্পী শাহ্জাহান আহমেদ বিকাশ, জাতীয় জাদুঘরের সচিব গাজী ওয়ালিউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব:মহাজীবনের পট’ শীর্ষক পেইন্টিংটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০ ফুট। যেখানে বঙ্গবন্ধুর বৈচিত্র্যময় এবং বহুমাত্রিক জীবনের অসংখ্য ছবির পেইন্টিং রয়েছে।এসময় শিল্পী শাহ্জাহান আহমেদ বিকাশ প্রতিমন্ত্রীকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব:মহাজীবনের পট’ শীর্ষক স্ক্রল পেইন্টিংয়ের একটি রেপ্লিকা উপহার দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নাম সংবাদপত্রে ছাপাতে বাধা দিয়েছিল জিয়া সরকার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
পায়রা বন্দর অর্থনীতিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে: প্রতিমন্ত্রী খালিদ
২ বছর আগে
'ইনসাইড আউট’: শিশুদের জন্য গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী পেইন্টিং ও অরিগামি ওয়ার্কশপ
শহরের শিশু শিল্পীদের সহজাত শৈল্পিক চেতনাকে উৎসাহিত করতে রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারে 'ইনসাইড আউট' শীর্ষক দিনব্যাপী জলরঙের চিত্রকর্ম, প্রিন্টমেকিং ও অরিগামি ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস ও কসমস অ্যাটেলিয়ার ৭১।
সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৫টিরও বেশি শিশু তাদের মা-বাবার সাথে কসমস অ্যাটেলিয়ার ৭১ এর ইভেন্টে যোগ দেয়। কর্মশালায় তাদের সৃজনশীল শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশ, কানাডা, ভারত, আয়ারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পর্তুগাল এবং অন্যান্য দেশের শিল্পীরা এখানে অংশগ্রহণ করছেন।
মেয়েকে ওয়ার্কশপে নিয়ে আসা রোমান বলেন, এটি খুব অনন্য উদ্যোগ এবং এর মাধ্যমে আমরা ও আমাদের শিশুরা আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। তারাই আজ এখানে প্রধান আকর্ষণ এবং আমরা এই অসাধারণ উদ্যোগের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। এখানে আমাদের বাচ্চারা তাদের শৈল্পিক স্বাধীনতা প্রদর্শন করছে।
আরও পড়ুন: কালিদাস কর্মকারের স্মরণে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আয়োজন
এই উদ্যোগের বিষয়ে বাংলাদেশি শিল্পী ও চীনের ইউনান আর্টস ইউনিভার্সিটির প্রভাষক মং মং শো ইউএনবিকে বলেন, শিশুদের শৈল্পিক আবেগের বিকাশ ও উদযাপনের জন্য এই ধরনের কর্মশালা সত্যিই প্রয়োজনীয়।
শো ইউএনবিকে আরও বলেন,যদিও শিশুরা সর্বজনীনভাবে সুন্দর, তবে তাদের আঞ্চলিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে তাদের বিভিন্ন সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এই ধরনের কর্মশালাগুলি তাৎপর্যপূর্ণ এবং খুব প্রয়োজনীয়, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিশুরা জড়ো হয় এবং অবাধে তাদের হৃদয়ের ছবি আঁকে। তারা অনন্য শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি ও শৈলী প্রদর্শন করছে এবং একসাথে তারা আমাদের দেশের শিশুদের সাথে একটি সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অংশ নিচ্ছে।
প্রদর্শনীতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবু কালাম শামসুদ্দিন একটি অনন্য অরিগামি ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন,অরিগামি হল একটি শিল্প যা দ্বি-মাত্রিক কাগজের একটি টুকরা নিয়ে গঠিত। যখন আমরা এই কাগজটিকে একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাঁজ করি, তখন এটি একটি বস্তুর নির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) আকৃতি নেয়, যা আমাদের স্বপ্ন ও দৃষ্টিভঙ্গির সাথে খুব মিল। এটি অবচেতনভাবে শিশুদের আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করে, জীবনের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রশস্ত করে। শুধু প্রিন্টমেকিংয়ের জন্য নয়,অরিগামির জন্যও এমন একটি কর্মশালা প্রশংসার দাবিদার।
আরও পড়ুন: ইউরোপে প্রথম গ্যালারি অনিল অ্যাওয়ার্ড পেলেন শিল্পী নিলীমা সরকার
এই অনন্য উদ্যোগ এবং 'ইনসাইড আউট' নামটি সংজ্ঞায়িত করে, গ্যালারি কসমসের অর্টিস্টিক ডিরেক্টর কেট জারো খান ইউএনবিকে বলেন, এর উদ্দেশ্য ছিলো শিশুদের সহজাত সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে সাহায্য করা, যা তারা তাদের সুন্দর মনের মধ্যে লালন করে।
তিনি বলেন,মহামারির সময়কালে লোকেরা বাইরে যেতে ও ভ্রমণ করতে পারেনি এবং বাচ্চারাও অনেক কিছু করতে পারেনি। আমাদের শহরের অভ্যন্তরে সুযোগগুলি অন্বেষণ করা দরকার।এই বিশেষ কর্মশালাটি শিশুদের সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের মানসিক সুস্থতার জন্য আমাদের কাছ থেকে নিবেদিত একটি উপহার।
কর্মশালা শেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী শিশু শিল্পীদের সনদপত্র দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসের মাসব্যাপী ভার্চুয়াল চিত্র প্রদর্শনী ‘দ্য ব্ল্যাক স্টোরি’ শুরু
গ্যালারি কসমসের এক্সিকিউটিভ আর্টিস্টিক ম্যানেজার শিল্পী সৌরভ চৌধুরী ইভেন্টে একটি প্রিন্টমেকিং ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন। তিনি ইউএনবিকে জানান, অংশগ্রহণকারী শিশু শিল্পীরা প্রিন্টমেকিংয়ের মাধ্যমে তাদের শিল্পকর্মের একাধিক কপি রাখার পদ্ধতিগুলি অন্বেষণ করতে পেরে আনন্দিত।
উদ্যোগের বিষয়ে, তিনি আরও বলেন, দেশের ও বাইরের তরুণ শিল্পীদের সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশে সহায়তা করতে গ্যালারিটি অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মশালা ও ক্যাম্পের ব্যবস্থা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও নিবেদিত।
৩ বছর আগে