মোংলায়
কয়লা নিয়ে আরও ২টি জাহাজ মোংলায় ভিড়ল
বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে দুটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড় করেছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এবং বুধবার সকাল ৯টার দিকে কয়লাবোঝাই বিদেশি জাহাজ দুটি বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়ায় নোঙ্গর করে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জাহাজ দুটিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ৬২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে। গ্রিক পতাকাবাহী এমভি মাগদা-পি নামে জাহাজটিতে ৩০ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন এবং হংকং পতাকাবাহী এমভি সানিয়া নামে জাহাজটিতে ৩২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা এটি কয়লার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় চালান।
আরও পড়ুন: প্রথমবার মোংলা বন্দর জেটিতে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়েছে
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা জাহাজ দুটির মধ্যে এমভি মাগদা-পি নামে ওই জাহাজটি বন্দরের পশুর চ্যনেলের হারবাড়িয়ার ১২ নম্বর এবং এমভি সানিয়া নামে জাহাজটি ১৩ নম্বরে নোঙ্গর করে। মঙ্গলবার রাত থেকে এমভি মাগদা-পি নামে জাহাজ থেকে কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়। ওই জাহাজ দুটি থেকে কয়লা খালাস করার পর লাইটার কার্গোতে কয়লা বোঝাই করে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেয়া হবে।
তিনি জানান, গ্রিক পতাকাবাহী এমভি মাগদা-পি নামে ওই জাহাজটির গভীরতা আট দশমিক সাত মিটার এবং দৈর্ঘ্য ১৯০ মিটার। এছাড়া হংকং পতাকাবাহী এমভি সানিয়া নামে জাহাজটির গভীরতা ৯ দশমিক এক মিটার এবং দৈর্ঘ ১৯০ মিটার।
আরও পড়ুন: গতি ফিরছে বাণিজ্যে, বদলে যাচ্ছে মোংলা বন্দর
জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকের ম্যানেজার খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, গত ২৯ আগস্ট ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার তারাকান বন্দর থেকে এমভি মাগদা-পি নামে জাহাজটি ছেড়ে আসে। ১৬ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় এবং সেখানে ২৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে। পরে জাহাজটি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
তিনি জানান, এমভি সানিয়া নামে আরও একটি জাহাজ ৫৪ হাজার ৬৮৪ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ৩১ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার মাওরাপান্তাই বন্দর ছেড়ে আসে। ১৫ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় এবং সেখানে ২২ হাজার ৬৮৪ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করার পর মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এই জাহাজে ৩২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে। ওই জাহাজ দুটি থেকে কয়লা খালাস করার পর লাইটার কার্গোতে বোঝাই করে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেয়া হবে।
আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে জাহাজ দুটি থেকে কয়লা খালাস কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি
এর আগে ৫ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রথম চালানে ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এমভি আকিজ হেরিটেজ নামে জাহাজটি মোংলা বন্দরে ভিড়ে।
২ বছর আগে
ইউক্রেন হামলার পর প্রথম রুশ জাহাজ মোংলায় পৌঁছেছে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম রাশিয়ান পণ্যবাহী কোনো জাহাজ বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলায় ভিড়েছে। রাশিয়ার পতাকাবাহী ‘এমভি কামিল্লা’ নামের ওই জাহাজটি সোমবার বিকালে মোংলা বন্দরে ভেড়ে। সন্ধ্যায় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কাজ শুরু হয়েছে।
জাহাজটিতে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারিশ রয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন জানান, রাশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এমভি কামিল্লা বন্দরের ৬নং জেটিতে ভিড়েছে। জাহাজটি ২৯ জুন রাশিয়া থেকে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারিজ নিয়ে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কলম্বো হয়ে জাহাজটি মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
তিনি আরও জানান, জাহাজটিতে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিন হাজার ৩২৮ দশমিক ২৩৭ মেট্রিকটন মেশিনারিজ রয়েছে।
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মোংলা বন্দরে আমদানি হওয়া মেশিনারিজ পণ্যের শ্রমিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মের্সাস নুরু এন্ড সন্সের মালিক এইচ এম দুলাল জানান, রাশিয়ার তামারুক বন্দর থেকে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেশিনারিজ নিয়ে জাহাজটি মোংলা বন্দরের নোঙ্গর করার পর খালস কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বুধবারের মধ্যে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কাজ শেষ হবে। জাহাজটিতে ১৩ জন নাবিক রয়েছে। জাহাজটির শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেশিনারিজ নিয়ে রাশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে ভেড়ে।
এর আগে ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে রাশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ফেসকো আলিস’ মোংলা বন্দরে আসে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর সুবাদে প্রথমবার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সাক্ষী হলো মোংলা বন্দর
মোংলা বন্দরে ১২ বছরে ১৫ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন
২ বছর আগে
মোংলায় বসুন্ধরা গ্যাস ফ্যাক্টরিতে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
বাঘেরহাটের মোংলায় বসুন্ধরা এলপিজি গ্যাস ফ্যাক্টরি বয়লারে বিস্ফোরণে অন্তত ছয় জন দগ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দিগরাজ এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের এলপিজি গ্যাস ফ্যাক্টরিতে এই বিস্ফোরণেএই ঘটনা ঘটলেও এবিষয়ে কৃর্তপক্ষ কোন কথা বলছে না। এমনকি থানা ও ফায়ার সার্ভিসকেও বিষয়টি জানায়নি ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, দগ্ধদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দু’জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বয়লার বিস্ফোরণে ৪ শ্রমিক দগ্ধ
তারা হলেন, মোংলার শেয়ালা বুনিয়া থানা এলাকার মো. শাহ আলমের ছেলে মো. সাইফুল (৩০), রামপাল বাজারের রফিক শেখের ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম (২৮), খুলনার বটিয়াঘাটার নুরল ইসলামের ছেলে নুর আলম (২৬), রামপালের সোনাতুনিয়ার ইনসান শেখের ছেলে আজিম (৩১), রামপাল পেডিখালী এলাকার মো. আরোজ আলীর ছেলে ইমরান (২৯) ও রামপালের পেরিখালী এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে হাসান সিকদার (২৮)।
এদের মধ্যে থেকে নুর আলম ও হাসান সিকদারকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনার কথা আমরা শুনেছি। আমাদেরকে ফ্যাক্টরির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। বিস্তারিত জানতে দ্বিগরাজ এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপ-সহকারী পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে দ্বিগরাজ এলাকার একটি গ্যাস ফ্যাক্টরিতে দুর্ঘটনার খবর শুনেছি। কিন্তু আমাদের কোন ইউনিটকে তারা জানায়নি।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে শিপ ইয়ার্ডে বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ৩
খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক খালিদ আঞ্জুম জানান, দগ্ধ ছয় জনের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর। ওই দুই জনের ৬০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হওয়ায় তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদেরেকে এখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
২ বছর আগে