ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেনীতে ১৭ প্রার্থী নির্বাচিত
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ফেনী সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৭ প্রার্থী বিজয় হতে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আটজন, সাধারণ সদস্য পদে চার ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে পাঁচ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
রবিবার মনোনয়ন প্রত্যহারের শেষ দিনে সাতজন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে আটজন প্রার্থী নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ভোট শুরুর আগেই সহিংসতায় নিহত ২
বিনা ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন, বালিগাঁও ইউপিতে মোজাম্মেল হক বাহার, ফাজিলপুর ইউপিতে মজিবুল হক রিপন,শর্শদী ইউপিতে জানে আলম ভূঁঞা,ধর্মপুর ইউপিতে শাহাদাত হোসেন সাকা,কাজীরবাগ ইউপিতে কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ,মোটবী ইউপিতে হারুন অর রশীদ,ফরহাদ নগর ইউপিতে মোশাররফ হোসেন টিপু,কালীদহ ইউপিতে দেলোয়ার হোসেন ডালিম।
তাদের মাঝে কালীদহ ইউপিতে দেলোয়ার হোসেন ডালিম ছাড়া অপর সাতজন বর্তমানে সংশ্লিষ্ট ইউপিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, তফসিল অনুযায়ী রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে সাতজন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। তার মধ্যে বালিগাঁও ইউনিয়নে তিন জন, ফরহাদনগর ইউনিয়নে দুই, ফাজিলপুর ইউনিয়নে এক ও কালীদহ ইউনিয়নে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় বালিগাঁও ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাহার, ফাজিলপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন, ফরহাদনগর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন টিপু ও কালীদহ ইউপিতে দেলোয়ার হোসেন ডালিমকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর (রবিবার) চেয়ারম্যান পদে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র যাছাই বাছাই শেষে মোটবী ইউপিতে ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী, ধর্মপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী, শর্শদীতে এক ও ছনুয়াতে এক জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। ফলে এসব ইউনিয়নের মধ্যে একক প্রার্থী হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে ধর্মপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাকা, শর্শদী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁঞা, মোটবী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদকে বিনাভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে কাজীরবাগ ইউপিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত একক প্রার্থী থাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউপি নির্বাচন ৫ জানুয়ারি
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে একক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান পদে আট জন, সাধারণ সদস্য পদে চার ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে পাঁচজনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল মোতাবেক সোমবার চুড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৫ জানুয়ারি ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২ বছর আগে
নির্বাচনী সহিংসতায় মেহেরপুরে সহোদর ‘খুন’
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরের গাংনীতে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে ‘হত্যা’ করেছে প্রতিপক্ষরা।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলাগ্রামে এই ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে জাহারুল ইসলাম (৫৫) ও তার ভাই সাহাদুল ইসলাম (৫০)।
আরও পড়ুন: সাবেক নারী ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনে ইউপি সদস্যের লাশ
কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর ধলাগ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমান ইউপি সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুলের ভাষ্য, গ্রামের মধ্যে ভোট চাইতে গেলে প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য প্রার্থী আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় তার কর্মী ও চাচাতো দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। এ সময় তিনি প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করে।
তার ভাষ্য, কয়েক বছর আগে আমার ছোট ভাই এনামুল হোসেন নইলুকে কুপিয়ে হত্যা করে আতিয়ার রহমানসহ তার সহযোগীরা। সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: কক্সবাজারে প্রার্থীসহ ২ সহোদর গুলিবিদ্ধ
তবে এবিষয়ে বক্তব্য জানতে আতিয়ার রহমানের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলুর রহমান জানান, সহিংসতার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দু’সহদরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি জানান, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার রাফিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে আছেন। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এখনো মামলা দায়ের হয়নি। এছাড়া আহত ছয় জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
৩ বছর আগে