স্বাস্থ্য ঝুঁকি
নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি উপায়
অনন্য স্বাদ ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের স্ট্রিট ফুডের সঙ্গে মিশে থাকে স্থানীয় ঐতিহ্য। আবাসিক ও অনাবাসিক এলাকাগুলোতে নির্বিশেষে গড়ে ওঠা খাবারের ছোট্ট দোকানগুলোর থাকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। আবার কোনো কোনো খাবারের রন্ধন প্রণালী ও উপকরণ একচ্ছত্রভাবে শুধু একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলেই পাওয়া যায়। আর এই আবহ গোটা জেলার মধ্যে খাবারসহ দোকানটিকে প্রসিদ্ধ করে তোলে। কিন্তু এই প্রসিদ্ধির সান্নিধ্য পেতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্মুখীন হতে হয় স্বাস্থ্য ঝুঁকির। কেননা রাস্তার পাশের এই খাবারগুলো নানা ধরনের দূষিত পদার্থের সংস্পর্শে থাকে। এছাড়া রন্ধন প্রণালী ও পরিবেশনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মধ্যেও থাকে যথেষ্ট ঘাটতি। তাই সুস্বাদু হলেও খাবারগুলো চেখে দেখার আগেই সাবধান হওয়া জরুরি। চলুন, ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক-
স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি নিরাপদ উপায়
জনপ্রিয়তার পাশাপাশি গ্রাহকদের ভিন্নতা
একটি খালি স্টলের চেয়ে দীর্ঘ লাইন থাকা স্টল ভালো। আপাতদৃষ্টে ভিড় থাকা মানে উচ্চ চাহিদাকেই বোঝায়। আর এই একই কারণে জনপ্রিয় স্টলগুলোর নাম মুখে মুখে রটে যায়। কেবল ভালো স্বাদই নয়, অধিক লোকসমাগমের পেছনে একটি বড় কারণ থাকে খাবারের গুণগত মান। সাধারণত লোকজন সেই দোকানেই ভিড় জমান, যেখানকার খাবারের প্রতি তাদের নির্ভরতা আছে।
কিন্তু এর থেকেও আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- স্টলটিতে কারা খেতে যাচ্ছেন। মুলত স্টলের গ্রাহকদের মধ্যে যত বেশি বৈচিত্র্য থাকবে স্টলটি তত বেশি নিরাপদ। বিশেষ করে ভিড়ের মধ্যে নারী ও শিশুসহ পরিবার নিয়ে খেতে আসা লোকেরাও থাকলে অনায়াসেই সেই স্টলগুলো সেরা পছন্দ হতে পারে।
আরো পড়ুন: চিনির কিছু স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক বিকল্প
স্টলের অবস্থান
মূল পণ্য খাবার হওয়ায় দোকানের চারপাশের পরিবেশ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ডাস্টবিন এবং কলকারখানার পেছনে বর্জ্য বা রাসায়নিক নিষ্কাশনের জায়গায় আশেপাশে হলে সে স্টল এড়িয়ে চলতে হবে। নির্মাণাধীন ভবনের আশেপাশে এবং উচ্চ ট্রাফিক থাকা রাস্তার ফেরিগুলোতে বিক্রি হওয়া খাবার অধিক দূষণের শিকার হয়। এছাড়া স্টলের কাছে খোলা ম্যানহোল বা জমে থাকা পানি থাকলে সেই স্টলের খাবার না খাওয়াই ভালো।
স্বচ্ছ এবং আবৃত স্টোর
বাংলা হোটেলসহ রাস্তার অধিকাংশ ফুড কোর্টগুলো পথচারীদের প্রলুব্ধ করার জন্য তাদের পণ্যগুলো উন্মুক্ত করে রাখে। এই খাবারগুলো যে কতক্ষণ যাবৎ এরকম খোলা অবস্থায় রয়েছে তা জানার কোনো উপায় নেই। টাটকা বানিয়েই কোনো খাবার ঢেকে না রাখলে দূষিত পদার্থের সংস্পর্শে আসে। আর দীর্ঘক্ষণ রাখা হলে তা অনেক আগেই কুখাদ্যে পরিণত হয়।
অপরদিকে এমন অনেক স্টল দেখা যায় যেগুলো চারপাশ থেকে কাঁচ দিয়ে ঘেরা; শুধু যিনি রান্না করছেন তার দিকে অংশটা খোলা। শতভাগ না হলেও এগুলো উন্মুক্ত স্টলগুলো থেকে উত্তম। এখানে গ্রাহকরা খালি চোখেই খাবারগুলোর বর্তমান অবস্থা বা কিভাবে তা বানানো হচ্ছে- তা দেখতে পারেন।
আরো পড়ুন: রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
রান্নার জন্য ভেতরে রাখা উপকরণগুলো সঠিকভাবে ঢেকে রাখা হলে নিরাপত্তা আরও একধাপ বেড়ে যায়।
সদ্য তৈরি করা খাবার
স্ট্রিট ফুড খাওয়ার সেরা উপায় হচ্ছে সেই স্টলগুলোতে যাওয়া যেগুলো অর্ডার করার পর তাৎক্ষণিকভাবে খাবার বানিয়ে দেয়। সময় বেশি লাগলেও এই স্টলগুলোকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ইতোমধ্যে যে খাবারগুলো বানিয়ে রাখা হয়েছে সেগুলো এড়িয়ে যেতে হবে। কেননা এগুলোর খাদ্যবাহিত রোগজীবাণুতে পরিপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যা হজমজনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
যারা আচার পছন্দ করেন, তাদের রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া আচারগুলো থেকে দূরে থাকা উচিত। অনেক আগে বানানো থাকায় ইতোমধ্যে সেগুলো ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়। এমনকি আচারযুক্ত অন্যান্য খাবারও শরীরের জন্য ভালো নয়।
আরো পড়ুন: গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
ভিড় থাকা দোকানগুলোতে পরিবেশনে তাড়াহুড়ো করায় খাবার কাঁচা থেকে যাচ্ছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
রাঁধুনির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
ঘরের ভেতর-বাহির নির্বিশেষে যিনি খাবার বানানোর দায়িত্বে আছেন তার পরিষ্কার থাকা অপরিহার্য। ভ্রাম্যমাণ কিচেনের পেছনে বিক্রেতাকে হাতে গ্লাভ্স এবং মাথায় লম্বা টুপি পরিহিত অবস্থায় দেখা গেলে এটি একটি ভালো লক্ষণ। তবে এই গ্লাভ্স নিয়মিত পরিবর্তন করা হচ্ছে কি না সেদিকে খেয়াল দেওয়া দরকার। আবার এই গ্লাভ্স পরিহিত অবস্থায় খাবার তৈরি এবং টাকা লেনদেন করা উচিত নয়। অনেক দোকানে একজন খাবারের দায়িত্বে থাকেন, আরেকজন পরিচালনা করেন লেনদেনের দিকটা। এমন পরিষেবা উন্নত দোকানের পরিচায়ক।
বিক্রেতা তার বাসনপত্র কোথায় পরিষ্কার করছেন এবং রান্নার তেল কীভাবে রাখছেন সেগুলো খুঁটিয়ে দেখা দরকার।পাশাপাশি স্টলের আশেপাশে খাবারের উচ্ছিষ্ট পড়ে স্তূপ হয়ে থাকাটা রাঁধুনির অপরিচ্ছন্নতার কথা জানান দেয়।
আরো পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
৫ মাস আগে
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মুখের ভেতর থেকে গন্ধ বের হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে দুর্গন্ধের তীব্রতা এতটাই থাকে যে অন্যের সঙ্গে কথা বলার সময় এ নিয়ে ভীষণ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। যাদের নিঃশ্বাসের গন্ধ স্বাভাবিক, নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যায় তারাও এরকম দুর্গন্ধজনিত অবস্থায় পড়তে পারেন। চিকিৎসাশাস্ত্রে শ্বাস ছাড়ার সময় এমন খারাপ গন্ধ বের হওয়াটাকে হ্যালিটোসিস বলা হয়। এর ফলে চূড়ান্ত মাত্রায় মুখের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। অথচ দৈনন্দিন জীবনধারণে একটু সাবধান থাকলেই এড়ানো যায় এই স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তাই চলুন, মুখের দুর্গন্ধের কারণ ও তা দূর করার জন্য কার্যকরী ঘরোয়া উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ
অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত খাবার গ্রহণ
প্রতিটি খাবারেরই একটা নিজস্ব গন্ধ থাকে। খাবার চাবানোর সময় এই গন্ধ মুখ গহ্বরে ছড়িয়ে পড়ে। খাবারের মধ্যে থাকা উপাদানসহ এই গন্ধ রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে ফুসফুসে যেয়ে শ্বাস ছাড়ার বাতাসকে প্রভাবিত করে। একই ঘটনা ঘটে রসুন, পেঁয়াজ বা নানা রকম মশলাদার খাবারের ক্ষেত্রেও। কিন্তু শরীর থেকে না বের হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত খাবার রক্ত প্রবাহে শোষিত হওয়ার পর শ্বাস-প্রশ্বাসেই থেকে যায়। এর ফলে মুখের ভেতর এই খাবারগুলো গন্ধ দীর্ঘ সময় ধরে থাকে।
দাঁতের যত্নে অবহেলা
প্রতিদিন নিয়ম মেনে দাঁত ব্রাশ না করলে টুকরো খাবার দাঁতের ফাকেই থেকে যায়। খাবার জমা হওয়া এই স্থানগুলো ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্র। জীবাণুর বংশ বিস্তারের মধ্যে দিয়ে দাঁত, মাড়ি এবং জিহ্বায় জমা হওয়া খাবারে পচন ধরতে শুরু করে। ফলশ্রুতিতে মুখের মধ্যে অপ্রীতিকর গন্ধ সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, এর ধারাবাহিকতায় মুখের স্বাদও নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত দাবদাহে যেভাবে ঘরের ছাদ ঠান্ডা রাখবেন
জিহ্বায় দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া
অনেক সময় ধরে অপরিষ্কার থাকা জিহ্বায় জন্মানো ব্যাকটেরিয়া খাবারের সংস্পর্শে এলে খাবারের অ্যামিনো অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। এই বিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় বাজে গন্ধযুক্ত সালফার যৌগ, যা শ্বাস ছাড়ার সময় মুখ দিয়ে নির্গত হয়।
শুষ্ক মুখ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে হ্যালিটোসিসের প্রধান উপসর্গ থাকে মুখের শুষ্কতা, চিকিৎসার ভাষায় যেটি জেরোস্টোমিয়া হিসেবে পরিচিত। এ সময় উল্লেখযোগ্য হারে মুখের প্রয়োজনীয় লালা উৎপাদন হ্রাস পায়। এতে মুখের স্বয়ংক্রিয় আত্ম-বিশোধন প্রক্রিয়া নষ্ট হওয়ায় আহারের পরে অবশিষ্ট খাদ্যকণাগুলোর অপসারণ হয় না।
এই শুষ্কতা অনেক সময় কিছু ওষুধের কারণে অথবা লালা গ্রন্থির ব্যাধি বা নাকের পরিবর্তে অনবরত মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার কারণেও হতে পারে।
আরও পড়ুন: জিমে অনুশীলনের সময় সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায়
ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ
সিগারেট বা ধোয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণের সময় এগুলোতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ মুখের লালার সঙ্গে মিশে যায়। ফলে লালার উৎপাদন হ্রাস পায় এবং মুখ শুকিয়ে যায়। পরিণতিতে নিঃশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত হয় দুর্গন্ধ।
ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের চিনি এবং জ্বালাপোড়ার কারণে দাঁতের ক্ষয়, দাঁতে দাগ, মাড়ির রোগ এবং শিকড়ের চারপাশে হাড় ক্ষয় হতে পারে। এর ফলে মুখে খারাপ গন্ধ ছাড়াও স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়া এবং মুখের ক্যান্সার হতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের রোগের উপসর্গ
মুখ থেকে নির্গত বাজে গন্ধের পেছনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে সমস্যাটি দায়ী থাকে তা হচ্ছে পিরিয়ডন্টাল রোগ। মাড়িকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া এই রোগে মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখের হাড়ের ক্ষয় হয়।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়
প্রাথমিক পর্যায়ে মাড়িতে ব্যাকটেরিয়ার একটি বর্ণহীন ও আঠালো পর্দা তৈরি হয়, যা দাঁতের প্ল্যাক নামে পরিচিত। এটি অপসারণ করা না হলে মাড়িতে জ্বালাতন শুরু হয়। অবশেষে এটি দাঁত এবং মাড়ির মাঝে প্ল্যাক-ভরা গর্ত তৈরি করতে পারে। মাড়িতে সমস্যার এই পর্যায়টির নাম জিঞ্জিভাইটিস।
শ্বাসযন্ত্রের যে সমস্যাগুলোর জন্য নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ দেখা দেয়, সেগুলো হলো- নাক, বায়ুনালী বা ফুসফুসে সংক্রমণ, দুরারোগ্য ব্রংকাইটিস, কফ এবং ক্রোনিক সাইনোসাইটিস।
এছাড়া ডায়াবেটিস, অন্ত্র ও কিডনীর ব্যাধিতেও একটি প্রধান লক্ষণ হচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস।
আরও পড়ুন: ব্লু জোন রহস্য: রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়ের খোঁজে
ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করা যায়
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ
প্রতিদিনের আহারে যা খাওয়া হয় তা সম্পূর্ণ বিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন করে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে ৩ দিন লাগে। এর মধ্যের সময়টা খাবারের গন্ধ মুখ গহ্বরে লেগে থাকে এবং নিঃশ্বাসের উপর প্রভাব ফেলে। এ সময় মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনের মাধ্যমে মুখের আভ্যন্তরীণ প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়।
খাবারের উচ্ছিষ্ট অপসারণের জন্য দিনে ন্যূনতম ২ বার ব্রাশ করা উচিৎ। প্রতিবার ভারী খাবারের পর ব্রাশ করে দাঁতের ফাকে জমে থাকা টুকরো খাবারগুলো ফেলে দেওয়া আবশ্যক। এই অনুশীলনে দীর্ঘ সময় ধরে একই টুথব্রাশ ব্যবহার না করে প্রতি ২ থেকে ৩ মাস টুথব্রাশ বদলাতে হবে।
কুলি করা
বিশেষজ্ঞের প্রস্তাবিত মাউথওয়াশ দিয়ে কুলি করাটা ব্যাকটেরিয়া থেকে পরিত্রাণে অতিরিক্ত সুরক্ষা যোগ করে। সারাদিনে প্রতিবার খাওয়ার পরে ভালো ভাবে কুলি করলে দাঁতে আটকে থাকা খাদ্য কণা বের হয়ে আসে। পানির সঙ্গে অল্প লবণ যোগ করে কুলি করলে আরও ভালো।
আরও পড়ুন: সার্কেডিয়ান রিদম বা দেহ ঘড়ি নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
এর জন্য ৮ আউন্স গরম পানিতে এক-চতুর্থাংশ থেকে আধা চা চামচ লবণ দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। প্রায় ৩০ সেকেন্ড মুখভর্তি করে কুলি করে বাইরে ফেলে দিতে হবে। এই পদ্ধতিটি যতবার খুশি ততবার পুনরাবৃত্তি করা যায়। এতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ধ্বংস করা সহ মাড়িতে প্ল্যাক এবং প্রদাহ কমে। এটি নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, গহ্বর বা মাড়ির রোগ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাসের পাশাপাশি গলা ব্যথাও দূর করে।
জিহ্বা পরিষ্কার করা
নিত্যদিনের আহারে জিহ্বায় যে আবরণ তৈরি হয়, তা দুর্গন্ধযুক্ত ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশের যোগান দেয়। টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার সময় জিহ্বার উপরিভাগ সমানভাবে ঘষে আবরণটি তুলে ফেলা যেতে পারে।
দিনে প্রতিবার ব্রাশ করার সময় দাঁতের সঙ্গে জিহ্বাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে কোনোভাবেই টুথব্রাশটি ধুয়ে ফেলতে ভুলে যাওয়া চলবে না।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু সম্পর্কে ১০টি প্রচলিত ধারণা: জেনে নিন সঠিক তথ্য
দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার রাখা
দাঁত ও জিহ্বার পরিষ্কারের সময় মাড়ির যত্নের প্রতিও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। জিনজিভাইটিসের মতো মাড়ির রোগ থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তারের প্রস্তাবিত ব্যাকটেরিয়া-বিরোধী মাউথওয়াশ একটি উৎকৃষ্ট উপায়। এটি ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে প্ল্যাক দূরীকরণে অংশ নেয় এবং মুখ নিঃসৃত দুর্গন্ধ দূর করে।
অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা
পেঁয়াজ ও রসুনের মতো অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত খাবারের পাশাপাশি মশলাদার খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। পেঁয়াজ-রসুন খাওয়ার পরে ব্রাশ করলেও দুর্গন্ধ যায় না।
ভারী খাবারের পরে চিনি জাতীয় কোনো খাবার খাওয়া যাবে না। কেননা মুখের অভ্যন্তরে থাকা ব্যাকটেরিয়া চিনি ব্যবহার করে অ্যাসিড তৈরি করে। এতে নিঃশ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ বের হয়, এমনকি দাঁত পড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: নারীদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেশি যে কারণে
এর পরিবর্তে চিনিবিহীন গাম চাবানো বা চিনি ছাড়া মিছরি চুষে খাওয়া ভালো। এর ফলে লালা উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যা মুখের ভেতর থেকে খাদ্যের কণা এবং ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখা
মুখগহ্বরে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা তৈরি না হওয়াটা মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ লক্ষণ। মুখ শুকিয়ে গেলে দিনে প্রচুর পানি পান করতে হবে। এমনকি মুখের ভেতরের অংশের পাশাপাশি মুখের বাইরের ত্বককেও শুষ্ক হতে দেওয়া যাবে না। পানি দিয়ে ঠোটের চারপাশসহ সারা মুখমন্ডল ভালো করে ভিজিয়ে নিতে হবে।
নানা ধরনের ভেষজ খাবার খাওয়া
মুখ থেকে বের হওয়া বাতাসকে তাৎক্ষণিকভাবে সুগন্ধি যুক্ত করতে একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য উপাদান লবঙ্গ। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সহায়তা করে। যে কোনো সময় খাওয়ার জন্য কয়েকটি লবঙ্গ সারাদিন সঙ্গে রাখা যেতে পারে। চুষে বা চিবিয়ে যে কোনো ভাবেই খাওয়া যেতে পারে এই ভেষজ খাবারটি।
আরও পড়ুন: অটিজম কী? অটিজম সচেতনতা ও সহমর্মিতা কেন জরুরি?
নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের এই প্রাকৃতিক প্রতিকারের মধ্যে আরও রয়েছে পুদিনা, তুলসী, এবং এলাচ। কারো সঙ্গে দেখা করতে বা কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের যাওয়ার ঠিক আগে এগুলো ব্যবহার করা চমৎকার একটি কৌশল।
দাঁত পরিষ্কারের জন্য আরও একটি উপকারী খাদ্য উপাদান হচ্ছে মৌরি বীজ। এই বীজ চিবিয়ে খাওয়া যায় অথবা হাল্কা গরম পানি দিয়ে গারগেল করা যায়।
এছাড়া পান পাতাও মুখের খারাপ গন্ধকে দূর করতে পারে। দিনের যে কোনো আহারের পর কয়েকটি পান পাতা চিবিয়ে খেলে নিঃশ্বাসে মিষ্টি গন্ধ ছড়ায়, মাড়ি শক্ত হয়, দাঁত সুরক্ষিত থাকে এবং সমগ্র মুখ গহ্বর পরিষ্কার হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য বর্জন করা
নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের অন্যতম কার্যকর উপায় হলো ধূমপানসহ নানা ধরনের তামাকজাত পণ্য ত্যাগ করা। ধূমপানে জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায় এবং মুখ শুকিয়ে যায়। এই ধরনের নেশাজাত দ্রব্য বর্জনের মাধ্যমে মাড়ির রোগ, দাঁতের ক্ষয় থেকে শুরু করে মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে যায়।
ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া
আপেল ও গাজরসহ বিভিন্ন ফল এবং শাকসবজি ঠিক আপনার টুথব্রাশের মতো দাঁত থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। মুখের লালা বাড়াতেও এগুলোর ভূমিকা অপরিসীম।
এছাড়া কমলালেবু, লেবু, ও জাম্বুরার মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সাইট্রাস ফলগুলো মাড়ির স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফলমূল ও শাকসবজি রাখা মুখের দুর্গন্ধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার।
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
শেষাংশ
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য দাঁত, জিহ্বা ও মাড়ি প্রত্যেকটির সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। এর জন্য নিয়মিত দাঁত ব্রাশ এবং ভালোভাবে কুলি করার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবার খাবারের পরপরই মুখের ভেতর থেকে যাওয়া উচ্ছিষ্টগুলো ভালোভাবে বের করে ফেলা হলে আর দুশ্চিন্তা থাকে না।
তবে দীর্ঘদিন ধরে যারা এ সমস্যায় ভুগছেন তাদের দুর্গন্ধনাশক বা সুগন্ধি ছড়ানো খাদ্য উপকরণগুলো গ্রহণ করা উচিৎ। পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ডেন্টিস্টের সরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক। এতে করে আগে থেকেই মাড়ির রোগ, বা সংক্রমণসহ মুখের বিভিন্ন রোগ শনাক্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
৫ মাস আগে
ঢাকার বাতাস শুক্রবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শুক্রবার সকালে ঢাকার অবস্থান অষ্টম। কারণ সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১২৪ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ছিল সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’।
ইসরায়েলের তেল আবিব, পাকিস্তানের লাহোর ও চীনের উহান যথাক্রমে ৩১৩, ১৮৭ ও ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। আর ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস রবিবার সকালে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান শনিবার সকালে ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস বুধবার সকালে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’
১ বছর আগে
শরীয়তপুর পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিতে ময়লা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পৌরবাসী
শরীয়তপুর পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিতে ময়লা। তাছাড়া ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই পানি। পানি সরবরাহ বিভাগ জানিয়েছে, বহু বছরের পুরনো পাইপ লাইনে পানি সরবরাহের কারণে এই সমস্যা হচ্ছে।
এছাড়া ময়লা পানি ব্যবহারে চর্ম ও পেটে পিড়ার মতো কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: নৌকা গ্রাম: শরীয়তপুরের ৩০ পরিবারের জীবিকা চলে নৌকা তৈরি করে
শরীয়তপুর পৌরসভা সূত্র জানায়, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১১টি গভীর নলকূপ চালু আছে। তুলাসার, আংগারিয়া, আটং, প্রেমতলা ও কোতোয়াল বাড়ির রাস্তার পাইপ লাইনে পানির সঙ্গে ময়লা আসে। মাঝে মধ্যে পাইপ লাইন ওয়াশ করা হয়। বহুদিনের পুরানো পাইপ লাইন পরিবর্তনের জন্য নতুন প্রকল্প চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। পৌরসভার রাস্তা সংস্কার হলে পাইপ লাইন রিপ্লেসমেন্ট করা হবে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুই বেলা পানি সরবরাহ করে থাকে পৌরসভার পানি সরবরাহ বিভাগ। প্রায় এক লাখ মানুষ এই পানি ব্যবহার করে থাকে।
প্রতিনিয়ত পানির সঙ্গে শ্যাওলা ও লাল বর্ণের আয়রন জাতীয় ময়লা আসে। যে সকল পরিবার এই পানির ওপর নির্ভরশীল তাদের সকল কাজেই এই ময়লা পানি ব্যবহার করতে হয়।
তুলাসার এলাকার আব্দুল মজিদ, আঙ্গারিয়া এলাকার মুন্নি আক্তার ও নিরালা এলাকার আমিন জানায়, পানির সঙ্গে ময়লা আসে। কিছু ময়লা ছাকনি দিয়ে পরিস্কার করা যায়। পানির সঙ্গে মিশে কিছু ময়লা আসে তা ছাকনিতেও পরিস্কার করা যায় না। এই পানিতে গোসল করে তাদের চুলকানির মতো চর্মরোগের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া এই পানিতে রান্না করা খাবার খেয়েও অনেকের পেটের অসুখ হচ্ছে।
শরীয়তপুর পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখার প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পানির সঙ্গে ময়লা যায় এমন অভিযোগ সকল এলাকা থেকেই পাওয়া যায়। পাইপ লাইনের শেষের দিকে এই সমস্যা বেশী হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝে মাঝে কোতোয়াল বাড়ির পাইপ লাইন পরিস্কার করা হয়।
এছাড়া বটতলার নলকূপটি ১৯৮৯ সালে স্থাপন করা হয়েছে। এই নলকূপের পাইপ লাইনের ওপরে রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় পাইপ রিপ্লেসমেন্ট সম্ভব হয়নি।
তাছাড়া পাইপ লাইনে বাহিরের ময়লা প্রবেশের সুযোগ নাই। পাইপ লাইনে সৃষ্ট ময়লা পানির সঙ্গে যায়। এই ময়লায় তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার কথা না।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবুল মোহাম্মদ শাহ পরান বলেন, ময়লা পানির ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ময়লা পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করা যেতে পারে। তা নাহলে চর্ম রোগ পেটের পিড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে মৎসখাতে সোনালি সম্ভাবনার হাতছানি
পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে পরিবহন খাতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রত্যাশা
১ বছর আগে
ঢাকার 'অস্বাস্থ্যকর' বাতাসের মানে উন্নতি নেই
ঢাকার বাতাসের মান বুধবার সকালেও 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৯ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ষষ্ট স্থানে আছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও আরব আমিরাতের দুবাই যথাক্রমে একিউআই ৩২০, ২৮৯ ও ১৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস এখনও 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’: একিআই
শীত ঘনিয়ে আসায় আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
২ বছর আগে
ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর না হলেও এর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা এক মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১১২ রেকর্ড করা হয়েছে। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ১৬তম স্থানে রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, চিলির সান্তিয়াগো ও পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে একিউআই ১৭১, ১৫৪ ও ১৫১ স্কোর নিয়ে প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানের ‘উন্নতি’
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'স্বাভাবিক' বলা হয়, তবে কিছু মানুষের জন্য 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
২ বছর আগে
ঢাকার বাতাস এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ১৮৬। যার অর্থ হলো জনবহুল এ শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
এ তালিকায় পোল্যান্ডের ক্রাকো, পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি এবং মঙ্গোলিয়ার উলানবাটার যথাক্রমে ২৯২, ২৮০, ২০৮ ও ১৮৯ একিউআই সূচক নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দুষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে জনজীবনে দুর্ভোগ
২ বছর আগে
বায়ুদূষণ: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান চতুর্থ।
সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ১৮৮। যার অর্থ হলো জনবহুল এ শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ভারতের দিল্লি, মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ৩৭৬, ২৪৩ এবং ২৩৩ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগের মতো নানা রোগের জন্য দায়ী দূষিত বাতাস থেকে রেহাই না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকাবাসী।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দুষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
পড়ুন: ঢাকার বাতাস এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’
২ বছর আগে
কোরবানির পশু নিয়ে বেঙ্গল মিটের ‘অনলাইন কোরবানির হাট’
আসন্ন ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে দেশে ষষ্ঠ বারের মতো ‘অনলাইন কোরবানির হাট’- এর আয়োজন করেছে বেঙ্গল মিট।
৪ বছর আগে
করোনা: মানসিক চাপ কমাতে ‘অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে’
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৪ বছর আগে