নারী ও শিশু নির্যাতন
ভিডিও ধারণ করে গৃহকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষণ, থানায় মামলা
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলিং করে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব আদর্শ গ্রামের মো. মানিকের ছেলে মো. নূর আলম রাব্বি (২২) এবং তার বড় ভাই নূর হোসেন (২৯) এবং ভাবি রাশেদা আক্তার (২৪)।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার দুই নম্বর আসামি বড় ভাই নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর পরিবার গরীব হওয়ায় তাকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রধান আসামি নূর আলমের ভাবি রাশেদা আক্তার তার ছোট সন্তানদের দেখাশোনা করার জন্য ওই কিশোরীকে বাড়িতে রাখে।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৯ জনের যাবজ্জীবন
একপর্যায়ে নূর আলম রাব্বি ওই গৃহকর্মীকে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে নিজের রুমে ১৯ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। পরে, ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
পরে, ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রধান আসামিসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ধর্ষণের অভিযোগ: টঙ্গীতে দুই যুবককে পুলিশে দিলো স্থানীয়রা
২ বছর আগে
রংপুরে তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, ১৫ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন
রংপুরে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৫ বছর পর তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
রবিবার (২৬ জুন) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর বিচারক মো. মোস্তফা কামাল এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রংপুর নগরীর এরশাদ নগর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আসাদুল ইসলাম, আউয়াল মিয়ার ছেলে রঞ্জু মিয়া ও কেডিসি রোড এলাকার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে বাবু মিয়া।
রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও মামলার মূল আসামি বাবু মিয়া পলাতক ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৬ মে নগরীর তাজহাট টিবি হাসপাতাল সংলগ্ন বস্তি থেকে রিকশাযোগে মর্ডান মোড়ে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী ( তৎকালীন বয়স ২৪)। পথে বাবু মিয়া ও তার সহযোগীরা রিকশার গতি রোধ করে তাকে তুলে নিয়ে নগরীর কৃষি খামারবাড়ি সংলগ্ন একটি জঙ্গলে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে বাবু মিয়াকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম তদন্ত সাপেক্ষে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার রফিক হাসনাইন জানান, সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে রবিবার দুপুরে আদালত তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
পড়ুন: রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার ২
২ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাতিজিকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাতিজিকে (১০)ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় চাচা মজিবুর রহমানকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও সেইসাথে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. আয়েজ উদ্দিন আসামির উপস্থিতিতে দণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত মজিবুর রহমান (৫৪) জেলার সদর উপজেলার কমলাকান্তপুর মুন্নাপাড়া গ্রামের মৃত ঝাটু মণ্ডলের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নাজমুল আজম জানান, গত ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে ভাতিজিকে সাথে নিয়ে ছাগল খুঁজতে বাড়ির বাইরে গিয়ে জোর করে ভাতিজিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বাড়ি ফিরে মেয়েটি পরিবারের লোকদের বিষয়টি জানালে,মেয়ের বাবা শিবগঞ্জ থানায় ভাইকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক রনি কুমার দাস ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মজিবুরকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন:প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর হত্যাই ‘সিরিয়াল কিলার’ মুন্নার নেশা
ভোলায় বিয়ের আশ্বাসে সৌদি প্রবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
৯৯৯ এ কল: কুমিল্লায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জন গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে