টিপস
এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
গ্রীষ্ম; দীর্ঘ ছুটি, উদ্বেল সৈকত আর সোনালি রোদ গায়ে মাখার সময়। দারুণ এই সময়টার জন্য আমরা সকলেই অপেক্ষায় থাকি, তবে গ্রীষ্মের সবচেয়ে বড় ভীতি হলো সানট্যান।
চমৎকার এই ঋতুর পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমাদের রোদেপোড়া ত্বক নিয়ে ভুগতে হয়। সেজন্য সূর্যের রশ্মি থেকে সুরক্ষা অপরিহার্য।
আর চিন্তা করবেন না, আমাদের কাছে সেরা কিছু টিপস আছে, যা দিয়ে আপনি এই গ্রীষ্মে ট্যানিং এড়াতে পারবেন:
পিক আওয়ারে সূর্য এড়িয়ে চলুন:
গ্রীষ্মে বাইরে যাওয়ার সেরা সময় হল সন্ধ্যা। সাধারণত সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে সূর্য যখন সর্বোচ্চে তাপ ছড়ায়, তখন বাইরে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। যদি যেতেই হয় যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলুন। এই সময়ে শরীরে ট্যানড হওয়ার এবং রোদে পোড়া হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। জ্বলন্ত সূর্যের তাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ছায়ায় থাকুন।
সানস্ক্রিন আবশ্যক:
বাইরে যাওয়ার সময় সবচেয়ে ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো সানস্ক্রিন লাগানো। মেঘলা আবহাওয়া থাকলেও এসপিএফ ৫০+ সানস্ক্রিন লাগানোর চেষ্টা করুন এবং প্রতি দুই ঘন্টা পর পর পুনরায় লাগান।
যদি ৫০+ নাও হয়, তাহলে অন্তত এসপিএফ ৩০+ সানস্ক্রিন বেছে নিন। দিনের বেলা নিজেকে রক্ষা করার জন্য এসপিএফযুক্ত লোশন, লিপবাম ও আইক্রিম লাগাতে পারেন।
আরও পড়ুন: শীতে বাড়তি যত্ন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়
হাইড্রেটেড থাকুন:
হাইড্রেটেড থাকা ট্যানিংয়ের প্রভাব কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতি। বাইরে চলাফেরা করার সময় আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।
প্রতিদিন ১৫-২০ গ্লাস পানি পান করা ট্যানিং প্রতিরোধে সহায়তা করে। পানি আপনার ত্বককে শুষ্ক হতে বাধা দেয় এবং এটিকে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করে তোলে।
পারফিউম এড়িয়ে চলুন:
বাইরে থাকার সময় রোদে কড়া গন্ধের পারফিউম ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। পারফিউম ত্বকে লাগালে এটি সূর্যের তাপে আরও কড়া হয় এবং ত্বক আরও ট্যান হয়ে যায়। এর বদলে প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন- গোলাপ জল বা একটি ভাল রিফ্রেশিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
ছাতা, সানগ্লাস ও আচ্ছাদিত পোশাক:
সূর্যের আলোতে বের হওয়ার সময় ছাতা ও সানগ্লাস আবশ্যক।
হাতে ছাতা নিয়ে ইউভি -সুরক্ষিত সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢেকে রোদে বের হোন।
এছাড়াও, গা ঢেকে রাখে এমন পোশাক পড়ুন। হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার:
স্বাস্থ্যকর ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার উজ্জ্বল ও সতেজ ত্বকের জন্য সহায়ক।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের ভিতরে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা আপনার ট্যানিং কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে সুস্থ ও পুষ্ট রাখার সমৃদ্ধ উৎস, যা আপনাকে সুস্থ ত্বক অর্জনে সহায়তা করে।
টমেটো, বেরি, ব্রকলি ও অলিভ অয়েল ইত্যাদি সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে দারুণ সুরক্ষা দেয়।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া উপায়ে ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায়
চুলের যত্নে তেলের বিকল্প নেই
১ বছর আগে
পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উত্তরোত্তর উন্নয়নে দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন। একটি দিন স্মার্টফোন ছাড়া চলার কথা এখন কল্পনাও করা যায় না। তাই নিত্য ব্যবহার্য এই বস্তুটি কোন কারণে নষ্ট হয়ে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। যতদিন বিকল হয়ে যাওয়া ফোনটি ঠিক না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের প্রতিটি কর্মকান্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। তাই চলুন, জেনে নেয়া যাক বেশ পুরনো স্মার্টফোনটি অকেজো হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এর আয়ু বাড়ানোর উপায়।
পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
১। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ এবং ফাইল মুছে ফেলা
স্মার্টফোনটির স্টোরেজ এবং র্যাম ক্ষমতার সর্বাধিক ব্যবহারের ফলে প্রত্যেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করতে যেয়ে রীতিমত হতাশার ভেতর পড়ে যান। কারণ এর ফলে ফোনটির কার্যকারিতা প্রথমে ধীর গতি হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। অ্যাপের আধিক্যের কারণে প্রায়শই আপগ্রেড সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অবিরাম নোটিফিকেশন ফোনটির সার্বিক প্রতিক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসহ অন্যান্য অদরকারি ফাইলগুলো মুছে ফেলতে হবে।
ফোনের স্টোরেজ এবং মেমরির কথা মাথায় রেখে অ্যাপের সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এখানে অ্যাপের প্রয়োজনীয়তার চেয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে স্মার্টফোনের কারিগরি দিককে। অদরকারি ফাইলগুলো নিয়মিতই স্মার্টফোনকে জমা হতে থাকে, তাই নিয়মিত; কমপক্ষে তিন দিনে একবার করে হলেও সেগুলো মুছে ফেলার নিয়মটি অনুসরণ করা যেতে পারে। এতে ফোনের স্টোরেজ সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা কাজের পরিমাণ কমে যাবে। ফলশ্রুতিতে ফোনটির কার্যকারিতায় গতি আসবে এবং ফোনের আয়ুও বাড়বে।
পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
২। অতিরিক্ত কাজ করে ফোনের ব্যাটারি গরম করা এড়িয়ে চলা
স্মার্টফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো ব্যাটারি। সারাদিনে ফোন ব্যবহারের সাথে ওটা-নামা করে এই ব্যাটারির কার্যকারিতা। প্রথমেই যে ব্যাপারটি আসে সেটি হচ্ছে যে কোন অবস্থাতেই ব্যাটারিটিকে দ্রুত চার্জ দেয়া। এই কাজটি ব্যাটারির কোন ক্ষতি করে না কিন্তু ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে ফোনটিকে একদম শূন্যে নামিয়ে তারপর চার্জ দেয়া উচিত।
দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে গরমের দিনে ফোনকে উন্মুক্ত স্থানে যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে সেখানে রাখা ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ছাড়া অতিরিক্ত কাজগুলো যেমন গেম খেলা, শুধু সময় অতিবাহিত করার জন্য ফোন ব্রাউজিং বাদ দেয়া যেতে পারে। প্রচন্ড গরম হলে অবশ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়, তাই কোন ভয়ের কারণ না থাকলেও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সামগ্রিক ভাবে ব্যাটারির আয়ু কমাতে পারে।
পড়ুন: অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার নিয়ম
৩। অ্যাপগুলো আপডেটেড রাখা
স্মার্টফোনের ইন্টারফেসটিকে যতটা সম্ভব দ্রুত এবং সমস্যামুক্ত রাখার জন্য অপারেটিং সিস্টেম এবং থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো রিলিজের সাথে সাথেই আপডেট করা উচিত। এর সুবিধাগুলোও অনেক উপকারি। যেমন- পূর্বের ভার্সনে থাকা সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং আরো শক্তিশালী সুরক্ষা নিশ্চিত থেকে শুরু করে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে, যা ফোনের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা উন্নত করে।
এক্ষেত্রে কোন আপডেট মুলতুবি আছে কি না তা নিয়মিত চেক করতে হবে। গুগল প্রতি মাসের প্রথম দিকে অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা আপডেট প্রকাশ করে, তাই ফোনের কোন আপডেট আছে কিনা তা দেখতে মাসের মাঝামাঝি সময় চেক করা ভালো।
আইফোনের ক্ষেত্রে আপডেট ডিফল্ট থাকলেও যেকোনো নতুন আপডেট রিলিজ হওয়ার সাথে সাথেই ফোন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করবে না। বরঞ্চ ফোনটির সিস্টেম বা সফ্টওয়্যারটির ভার্সন আউটডেট হওয়ার এক বা দুই দিন পরে নতুন আপডেটটি ডাউনলোড করবে এবং তারপরে এটি রাতারাতি চার্জ হওয়ার পরের বার ইনস্টলেশনের সময় নির্ধারণ করবে।
পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
৪। নির্দিষ্ট নিয়মানুসারে ফোনের পাওয়ার ডাউন রাখা
এটি পুরনো ফোনের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। কিছুদিন পরপর স্মার্টফোনটিকে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। আসলে এটি ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতই একটি বস্তু, যেটির বিশ্রাম প্রয়োজন হয়। সপ্তাহে অন্তত একবার ফোনকে কয়েক মিনিটের জন্য পাওয়ার ডাউন করার নিয়মটি পরবর্তীতে আরও দক্ষতার সাথে ফোনটিকে ব্যবহার করা যাবে। এমনকি, স্মার্টফোনের আয়ু বাড়াতেও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।
পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
৫। টেম্পারড গ্লাস স্ক্রীন প্রোটেক্টর ব্যবহার করা
একটি ভাঙা স্ক্রীন যে কোন স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য একটা বিরাট বাধা। শুধু তাই নয়; ভাঙা স্ক্রীনে ফোন ব্যবহার করলে এটিকে আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই স্ক্রীন বদলে নেয়ার কোন বিকল্প নেই। একটি স্ক্রীন প্রোটেক্টর শুধু স্মার্টফোনকে সুরক্ষাই দেয় না, ফোনের টাচ কার্যকারিতাটিকেও সমুন্নত রাখে। অনেকে পুরনো ফোনটির স্ক্রীন ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরো ফোনটিই বদলে ফেলতে যান। কিন্তু শুধুমাত্র টেম্পারড গ্লাস স্ক্রিন প্রোটেক্টর-এ বিনিয়োগ করা নতুন ফোন কেনা থেকে অপেক্ষাকৃত ভালো। কেননা, স্টোরেজ ও র্যামের ক্ষমতা থেকে যথেষ্ট কম অ্যাপ ও ফাইল স্মার্টফোনে থাকলে আর অতিরিক্ত কাজ করে ফোনটিকে গরম না করলে ফোনটি আরো বহুদিন কাজ করবে। শুধু একটি টেম্পারড গ্লাস স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগিয়ে নিলেই চলবে। সুতরাং একজন সঠিক ব্যবহারকারির নতুন ফোন কেনার পরিবর্তে মেরামতের দিকে নজর দেয়া উচিত৷
পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
পরিশেষে
কারিগরি দিক থেকে প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক বস্তুর একটি নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল থাকলেও সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সেগুলোর আয়ু বাড়ানো যায়। উপরোল্লিখিত উপায় শুধু পুরনো নয়, নতুন কেনা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পুরনো স্মার্টফোনটির আয়ু বাড়ানোর উপায়গুলো আকস্মিক ভাবে অর্থ ও সময় অপচয়ের সম্মুখীন হওয়া থেকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারিদের মুক্তি দিতে পারে।
২ বছর আগে
এসি রক্ষণাবেক্ষণ: দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস
যে কোন যন্ত্রাংশের ক্ষয় অনিবার্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তা ব্যবহারের উপযোগী রাখার জন্য প্রয়োজন যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের। প্রতি বছর পাল্লা দিয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ গৃহস্থালি যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য যন্ত্রপাতির মত নতুন কিনে এসিটিও এক সময় অকেজো হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নতুন থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়ার মাঝের সময়টাকে আরেকটু বাড়িয়ে নিতেই প্রয়োজন যত্নের। নিয়ম মাফিক রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি কীভাবে ব্যবহার করা হলে দীর্ঘদিন ধরে কোন ঝামেলা ছাড়াই এসি ব্যবহার করা যাবে- তা নিয়েই এই ফিচার।
নিয়মিত এসি সার্ভিসিং-এর প্রয়োজনীয়তা
এসির কার্যক্ষমতার উন্নতি
সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া এসির বার্ষিক কার্যক্ষমতা প্রায় পাঁচ শতাংশ লোপ পেতে পারে। নিয়মিত সার্ভিসিং এসি দ্রুত শীতল ও গরম করার ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি এসি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা সেটাও নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: সাজেক ভ্রমণ: ঘুরে আসুন মেঘে ঢাকা স্বর্গে
বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়
এসি অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন্যান্য গৃহস্থালি যন্ত্রের তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসির সামগ্রিক অবস্থা এমন হয় যে তা সাধারণ সময়ের তুলনায় আরও বেশি লোড টানে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ দীর্ঘ সময় এসি ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সাহায্য করে। প্রকৃতপক্ষে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণকৃত যন্ত্রাদি থেকে মাসিক বিদ্যুৎ বিলগুলিতে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সঞ্চয় করা যায়।
বাতাসের গুণগত মানোন্নয়ন
একটি ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট কার্যকরভাবে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং সর্বাধিক শীতল করার মাধ্যমে বাড়ি বা অফিসকে আরও আরামদায়ক রাখে। নিয়মিত সার্ভিসিং-এর মাধ্যমে নিম্নমানের বাতাসের কারণে সৃষ্ট বেশিরভাগ স্বাস্থ্য সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা যেতে পারে।
পড়ুন: 'ইনসাইড আউট’: শিশুদের জন্য গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী পেইন্টিং ও অরিগামি ওয়ার্কশপ
উত্তাপক ও বাতাস চলাচল ব্যবস্থার যন্ত্রাংশ রক্ষা
একটি এয়ার কন্ডিশনার প্রতিস্থাপন খুব ব্যয়বহুল। অন্যদিকে, নিয়মিতভাবে এসির সরঞ্জামের পরিচর্যা করলে এর আয়ু বাড়ে। ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক এক্সপার্টদের মতে, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে বেশিরভাগ এসি প্রতিস্থাপন এড়ানো যায়।
এছাড়াও, নির্ধারিত চেকআপ অপ্রত্যাশিত মেরামতের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়। এসি সার্ভিসিং-এর সময় টেকনিশিয়ানরা যেকোন জীর্ণ যন্ত্রপাতি এবং মেরামতের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবহিত করে থাকে, যা পরিবর্তে আরও ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
৩ বছর আগে