পেঁয়াজ উৎপাদন
ন্যায্যমূল্য ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষিদের
শেখ মফিজুর রহমান শিপন
দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়ে সারা বছরের চাহিদা মেটাতে নানা পরামর্শ দিয়েছে পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় সর্বোচ্চ জেলা ফরিদপুরের চাষিরা।
তারা মনে করেন, উন্নত জাতের পেঁয়াজ বীজ সরবরাহের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং উৎপাদিত পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকবে না।
তবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দাবি, চাষিদের মাঝে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও উন্নত বীজ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত বছর ফরিদপুরের ৯ উপজেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করে চার লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের (মুড়িকাটা) আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। যা থেকে উৎপাদিত হবে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
আরও পড়ুন: হিলিতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
ফরিদপুরের সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর মাঠে সরেজমিনে দেখা গেছে, মৌসুমে পেঁয়াজ সংগ্রহের পর পরবর্তী ফসল আবাদের অর্থ যোগান দিতে বাধ্য হয়ে কম মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় করতে হয় তাদের। এছাড়াও গ্রীষ্মকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদের খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। একর প্রতি চাষিদের খচর লাখ টাকার বেশি। এ কারণে এই পেঁয়াজ বাজারের তুলার সময়ে কেজি প্রতি কৃষক পর্যায়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা হারে দর না পেলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে তারা।
জেলার সালথার মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষি আকবর মাতুব্বর, সিরাজ মোল্লা, হানিফ ব্যাপারীসহ বেশ কয়েক জন চাষি জানান, মৌসুমের শুরুতে ভালো দাম ও পেঁয়াজ সংরক্ষণের আধুনিক সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না এই পেঁয়াজ।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য এনবিআরকে অনুরোধ
চাষিরা বলেন, ‘পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য, বেশি দিন সনাতন পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা যায় না। এ কারণে ফরিদপুর অঞ্চলের পেঁয়াজ আধুনিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে সারা বছর চাষিরা বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ করতে পারবে।’
৩ বছর আগে