বাজারজাতকরণ
সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে চায়: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার কৃষকদের দেশের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোই সরকারের লক্ষ্য।
মঙ্গলবার সাপাহারের গোডাউন পাড়া এলাকায় ২০২৩ মৌসুমে আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, তারা আম বা ধান চাষ করুক না কেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বোরো,আমন ধান ও আমের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আশা করি তারা আমেরও ন্যায্যমূল্য পাবেন।
সাধন চন্দ্র বলেন, এখন দেশি ফলের সরবরাহ বেশ ভালো। বিদেশ থেকে ফল আমদানি না করলে ডলার সাশ্রয় হবে এবং দেশি ফলের পুষ্টিগুণও বেশি হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ফল রপ্তানির সুযোগ রয়েছে এবং আমরা আম রপ্তানি করছি। ফলে আম চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু সমস্যা হলো, বিদেশিরা জানতে চান আম নিরাপদ কি না। আমরা তাদের সার্টিফিকেট দেখাতে পারব না।
ভবিষ্যতে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আরও আম রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাপাহার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, কৃষি শ্রমিক শাপলা খাতুন প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী জাবাই বিলে মৎস্য চত্বর এবং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জয় বাংলা চত্বর উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য লজ্জার: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
ইউরোপের চাহিদা মতো পাটপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সমঝোতা চুক্তি সই
ইউরোপের বাজার উপযোগী বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সহায়তায় মঙ্গলবার দুপুরে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
এদিন রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’ (জেডিপিসি) সম্মেলন কক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’ (জেডিপিসি)-এর নির্বাহী পরিচালক মো. মাহমুদ হোসেন এবং সেন্টার ফর প্রমোশন ইম্পোর্ট ফর্ম ডেভলপিং কান্ট্রিস (সিবিআই) এর পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন মধ্যে এ সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে
এসময় সেন্টার ফর প্রমোশন ইম্পোর্ট ফর্ম ডেভলপিং কান্ট্রিস (সিবিআই) ও জেডিপিসি'র ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলন।
‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’ (জেডিপিসি) ও সেন্টার ফর প্রমোশন ইম্পোর্ট ফরম ডেভলপিং কান্ট্রিস (সিবিআই) এর মধ্য সমঝোতা চুক্তি সই হওয়ায় জেডিপিসি’র হোম টেক্সটাইল এন্ড হেম ডেকোরেশন উৎপাদনকারী উদ্যোক্তারা ইউরোপের বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন ডিজাইনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সক্ষম হবে।
ফলশ্রতিতে ইউরোপের বাজার উপযোগী বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এতে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
আগামি পাঁচ বছরের জন্য এ সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হল।
বিশ্বব্যাপি পরিবেশ সচেতনতারর কারণে পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের চাহিদা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়ছে। সরকার জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ইস্যুতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল ঢাকায়
২ বছর আগে
মলনুপিরাভির জরুরি বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ও এসকেএফ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে অ্যান্টিভাইরাল ওরাল পিল বা মুখে খাওয়ার ওষুধ 'মলনুপিরাভির' জরুরি বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেয়েছে দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ও এসকেএফ। এই মুখে খাওয়ার ওষুধ টিকার বিকল্প নয় বলেও জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, দেশে মলনুপিরাভির অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেট জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেট খেতে হবে। তবে এগুলো অবশ্যই টিকার বিকল্প নয়। টিকা নিতে হবে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত দশটি প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। ইতোমধ্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আরও আটটি প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেগুলো হলো- স্কয়ার, জেনারেল, বিকন, রেনেটা, ইনসেপটা, একমি, হেলথ কেয়ার, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সিন: ভারতে ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য অনুমোদন
ওষুধের ব্যবহারবিধি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মুখে খাওয়ার এই ওষুধ পাঁচ দিনের ডোজ। সকালে চারটা ট্যাবলেট আর রাতে চারটা ট্যাবলেট। পাঁচ দিনে মোট চল্লিশটা ট্যাবলেট খেতে হবে।
রেমডিসিভির প্রথম নিয়ে এসেছে। ওরাল মলনুপিরাভি দেশে প্রথম ৮ নভেম্বর বেক্সিমো অনুমোদন পায়।
ওষুধ প্রশাসন মহাপরিচালক বলেন, ট্যাবলেটটি ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে। এটি ব্যবহার করতে পারলে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এর পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে। আমাদের দেশেও হয়েছে। ফলাফলও আমরা ভালো পেয়েছি। মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি অর্ধেক কমাতে পারে এই ওষুধ। তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শেই এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। তবে কোন ক্রমেই আঠার বছরের নিচে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।
এর আগে ৮ নভেম্বর দেশে মলনুপিরাভির অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, এই ওষুধ করোনাভাইরাসের বংশবিস্তার অকার্যকর করতে সক্ষম। পাশাপাশি, করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর সক্ষমতা মলনুপিরাভিরের রয়েছে।
পিল প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, মলনুপিরাভির মানবদেহের প্রবেশকারী করোনাভাইরাসের জেনেটিক কোডে সমস্যা সৃষ্টি করে ভাইরাসটির বংশবৃদ্ধি প্রায় স্থবির করে দেয়। আর এর ফলেই কমতে থাকে করোনা রোগীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও এ রোগে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: ম্যালেরিয়ার টিকা অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে