আই এম নট ভেরি হ্যাপি
সিনহার কারাদণ্ড প্রমাণ করে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়: আইনমন্ত্রী
ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে পৃথক দুটি ধারায় ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘অবশ্যই আমি বলবো, বিচার বিভাগের জন্য এটা একটা সুখকর দিন নয়। কিন্তু এটাও সঠিক, অন্যায় করলে তার বিচার হবে। এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হল, কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়।'
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যে কোন সাংবিধানিক পদ বা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে থাকুক না কেনো কর্মকাণ্ডের হিসাব তাকে দিতে হয়। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় এটা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হল।’
আরও পড়ুন: আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদণ্ডের সংবাদ সঠিক নয়: আইনমন্ত্রী
এ সময় ‘আই এম নট ভেরি হ্যাপি’-মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেন, ‘ট্রান্সফারেন্সি এবং একাউন্টেবলিটি সবসময় মেইনটেইন করা উচিৎ। আর যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সরকার বা রাষ্ট্রের জন্য পালন করে, তাকে তার কর্মকাণ্ডে আরও সতর্ক থাকা উচিৎ। এটা আমার মনে হয় আজকের রায় থেকে শেখার বিষয়।’
এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'তার কারণ হচ্ছে, বিচার বিভাগের সাথে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন। আমি একজন আইনজীবীও। আমিও বিচার বিভাগের সাথে সারাজীবনই সম্পৃক্ত। সেজন্য আমার জন্য এটা সুখকর হতে পারে না।'
এ রায়ের মাধ্যমে দেশের আইন ব্যবস্থায় কী মেসেজ আসলো- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এ রায়ের প্রেক্ষিতেই না, আমরা ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কী দেখেছি? এই দেশে জাতির পিতাকে তার সপরিবারে হত্যা করলেও একটা মামলা হয় না। এই সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।’
পর্যায়ক্রমে অনেক বিচার হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেসবের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, দেশে আইনের শাসন আছে এবং অন্যায় করলে আদালত ও আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে, অন্যায়ের বিচার হবে এবং অন্যায় প্রতিরোধ হবে।'
অঅরও পড়ুন: বাংলাদেশ কখনোই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেবে না: আইনমন্ত্রী
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম অন্যায় কোন প্রধান বিচারপতি করেননি। সেজন্য এরকম বিচার করার প্রয়োজন হয়নি। এরকম অন্যায় হলে নিশ্চয়ই বিচার হতো।’
২ বছর আগে