গ্লাসগো সম্মেলন
তরুণদের জলবায়ু যুদ্ধে শামিল হওয়ার আহ্বান ওবামার
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ সালে জলবায়ুবিষয়ক প্যারিস সম্মেলনে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গঠনমূলক আলোচনায় যে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন,মার্কিন তরুণদের মধ্যে তা ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
কিন্তু বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গ্লাসগো সম্মেলনে জলবায়ু নিয়ে তার দেশের তরুণ প্রজন্মের আক্ঙ্ক্ষার যথাযথ প্রতিফলন ঘটাতে পারেননি।
গ্লাসগোতে যখন কপ-২৬ এ বিশ্ব নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধানের আলোচনায় ব্যস্ত, ওবামা তখন জলবায়ু নিয়ে সচেতন ২০-৩০ বছর বয়সী বেশকিছু তরুণদের সাথে এক উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনায় তিনি ভবিষ্যৎ বিশ্বকে রক্ষায় তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওবামা তরুণদের উদ্দেশে বলেন,জলবায়ু যুদ্ধে আমরা কোন দেশকে আমাদের পাশে চাচ্ছি, কার কাছে আমরা প্রত্যাশা করছি? আমি মনে করি,এখন সবটাই আপনাদের ওপর নির্ভর করছে,আপনারাই পারেন সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালনের জন্য চাপ দিতে। তাই আপনারা এগিয়ে আসুন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ওবামার ক্ষোভ
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ওবামার অবস্থানের কারণে অনেক তরুণই ওবামার ভক্ত বনে গেছে। ক্ষমতায় থাকাকালে ওবামা বেশকিছু জলবায়ুবান্ধব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন,যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কার্বন নিঃসরণের হার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসতে পারতো। কিন্তু তার উত্তরসূরী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই সংস্কারগুলোকে পরিবর্তন করে যুক্তরাষ্ট্রকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে গেছে।
তবে জলবায়ু সচেতন অনেক তরুণই ওবামার সমালোচনা করেছেন। উগান্ডার জলবায়ুকর্মী ভানেসা নিকিতা সোমবার এক টুইটে বলেন, আমার বয়স যখন ১৩ বছর ছিল,তখন ক্ষমতায় থাকাকালে ওবামাসহ অন্যান্য ধনী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা যখন ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ১০০ বিলিয়ন ডলার করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও ধনী দেশই তার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এমনকি বারাক ওবামাকেও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
নিকিতা আরও বলে,আমি ওবামাকে আক্রমণ করছি না, তবে এটা ঠিক যে সে কথা দিয়ে কথা রাখেনি।
আরও পড়ুন:মিশেল ওবামার বই: প্রকাশের ১ সপ্তাহেই ১.৪ মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি
৩ বছর আগে