সাক্ষাত
গুজরাটে ভারতের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কামালের সাক্ষাত, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
ভারতের গুজরাটে জি-২০ অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সম্মেলনের ফাঁকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে ২৩-২৪ জুলাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন জাপানের মন্ত্রী
জি-২০ জোটের সদস্য না হয়েও বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে 'অতিথি দেশের' মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইইউর মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করবেন আগামী সপ্তাহে
বাংলাদেশকে 'অতিথি দেশ' হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজক দেশ ভারত। কামাল জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে 'অতিথি দেশ' হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ভারতের সহায়তাপুষ্ট ৩ মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন: হাইকমিশনার
১ বছর আগে
রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করায় রাষ্ট্রপতি হামিদকে অভিনন্দন জানান স্পিকার।
তিনি ৭ এপ্রিল সংসদের বিশেষ সুবর্ণ জয়ন্তী অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদও জানান।
রাষ্ট্রপতি হামিদ জাতীয় সংসদের (সংসদ) সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল যাত্রা শুরু হওয়া জাতীয় সংসদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিয়েছে বিশেষ এই সংসদ।
আরও পড়ুন: লিঙ্গসমতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সম্ভব: ড. শিরীন শারমিন
এছাড়া সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা সম্পর্কে জনগণ বিস্তারিত জানতে পেরেছে।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতি সংসদের বিভিন্ন বিষয়ে স্পিকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন।
ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী ও হুইপ আতিউর রহমান আতিক, মাহবুব আরা বেগম গিনি ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন স্পিকারের সঙ্গে ছিলেন।
এসময় রাষ্ট্রপতির সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্পিকার হিসেবে শপথ নিলেন শিরীন শারমিন
১ বছর আগে
জি-২০ সম্মেলন: পুতিন ও এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাত হতে পারে বাইডেনের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী মাসে এক সপ্তাহে তিনটি দেশ সফর করবেন। তিনি একটি সম্মেলনের চতুর্থভাগে যোগ দেবেন। এসময় তিনি সম্ভাব্যভাবে চীনের শি জিনপিং এবং রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের মতো বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের শুক্রবার জানিয়েছেন, বাইডেন দক্ষিণ-পূর্বের ইউএস-আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে কম্বোডিয়ার নমপেনে যাওয়ার আগে ১১ নভেম্বর প্রথম কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনের জন্য মিশরের শার্ম আল-শেখ যাবেন। পরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতাদের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এরপর তিনি বিশ্বের বেশিরভাগ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের নেতাদের একটি সমাবেশ গ্রুপ অব-২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যাবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন পরে প্রেসিডেন্টের বিদেশ ভ্রমণ শুরু হবে। যেটি নির্ধারণ করবে কোন দল হাউস এবং সিনেট নিয়ন্ত্রণ করবে।
বাইডেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একইসঙ্গে ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সঙ্গেও তিনি মিলিত হতে পারেন।
আরও পড়ুন: জর্জিয়ায় জিতলেন জো বাইডেন
তবে পুতিন, শি এবং এমবিএস এখনও তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা ঘোষণা করেননি।
বাইডেন এবং শি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে একসঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন যখন উভয়ই ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন৷ কিন্তু মার্কিন ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়ে উঠেছে৷
যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট উইঘুর এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনকে দায়ী করেছেন। এছাড়াও হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের কণ্ঠস্বর রোধ করা, জবরদস্তিমূলক বাণিজ্যের অনুশীলন, গণতান্ত্রিক, স্বশাসিত তাইওয়ানের বিরুদ্ধে তার সামরিক উস্কানি এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আট মাস ধরে চলমান যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার বিচারের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
এদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শির সরকার তাইওয়ানের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের নীতির সমালোচনা করেছে। এবং বেইজিং শেষ পর্যন্ত চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ন করার নামান্তর উল্লেখ করে তাইওয়ানকে কমিউনিস্ট মূল ভূখণ্ড চীনের সঙ্গে একত্রিত করতে উৎসাহিত করেছে।
হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন যে মার্কিন ও চীনের কর্মকর্তারা নেতাদের একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন। তবে এটি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
বুধবার প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে বাইডেন ‘চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান তীব্র প্রতিযোগিতা পরিচালনা করার দায়িত্ব’-এর ওপর জোর দিয়েছিলেন।
বাইডেন বলেন, ‘যেমনটি আমি বলেছি, আমাদের যে সামরিক সুবিধা তা আমাদের অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। তবে আমরা এটি স্পষ্ট করছি যে আমরা সংঘাত চাই না।’
বাইডেন পুতিন বা এমবিএসের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করবেন এমন সম্ভাবনা কম।
বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংগঠিত করেছে। যুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত ইউক্রেন ও এর প্রতিবেশীদের সহায়তার জন্য ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করার কয়েক মাস আগে বাইডেন এবং পুতিন ২০২১ সালের জুনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন। তারা ফেব্রুয়ারিতে ফোনে শেষ কথা বলেছিল, বাইডেন পুতিনকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে রাশিয়া আক্রমণের জন্য অগ্রসর হলে ‘গুরুতর মূল্যের’ সম্মুখীন হবে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন যে রিয়াদের নেতৃত্বাধীন ওপেক + জোট তেল উৎপাদন কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার পরে সৌদি আরবের জন্য ‘পরিণাম’ ভোগ করতে হবে। হোয়াইট হাউস আরও বলেছে যে এটি তেল উৎপাদন হ্রাসের আলোকে রাজ্যের সঙ্গে তার সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন করছে যে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন যে রাশিয়া, অপর ওপেক + সদস্য, ইউক্রেনে প্রায় আট মাসের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণে রাশিয়াকে সাহায্য করবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ১৮ থেকে ১৯ নভেম্বর এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন লিডারদের বৈঠকে যোগদানের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আলাদাভাবে ভ্রমণ করবেন। তারপরে ফিলিপাইনের ম্যানিলা যাবেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকার না করা 'বিব্রতকর': জো বাইডেন
প্রথমেই যেসব পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন
২ বছর আগে
জর্ডানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আসাদুজ্জামান খাঁনের সৌজন্য সাক্ষাত
জর্ডানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাযেন ফারায়ে-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। রবিবার জর্ডানের স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অবস্থিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘন্টাব্যাপী সৌজন্য সাক্ষাতে মতবিনিময় করেন দুই মন্ত্রী।সৌজন্য সাক্ষাতে তারা জর্ডান এবং বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।আলোচনাকালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জর্ডানে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভিসা প্রাপ্তি/ নবায়ন সহজীকরণ এবং ইতোমধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের ভিসা নবায়ন প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানান।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের পারষ্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের জন্য বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় জর্ডানের দূতাবাস স্থাপনের জন্য জর্ডানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাযেন ফারায়েকে অনুরোধ করেন। জবাবে জর্ডানের মন্ত্রী এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে জর্ডানের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করবেন বলেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় জনগণের কল্যাণে সব করেছে পুলিশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক দ্রুত অগ্রগতির প্রশংসা করেন জর্ডানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।জর্ডান এবং বাংলাদেশে পারস্পরিক ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও সুযোগ বৃদ্ধি এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের দুই দেশ ভ্রমণের সুযোগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশ ও জর্ডানের পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও উন্নয়নে দুই দেশ একত্রে কাজ করবে বলে জানান জর্ডানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।বাংলাদেশ পুলিশসহ আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং দুই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনা হয়।জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে জর্ডানের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
আরও পড়ুন: সব দায় র্যাবের ঘাড়ে চাপানো অবিচার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জর্ডানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানালে মাযেন ফারায়ে সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং দুই দেশের সুবিধাজনক সময়ে তিনি বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন বলে জানান।বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়া ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়সহ দুই দেশের মাদক সমস্যা সমাধানে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে মন্ত্রীরা একমত হন।বৈঠকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আইয়ূব চৌধুরী, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিএস আসাদুজ্জামান ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাড়ি চালকদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
৪০ নোবেল বিজয়ীর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেন চৌদ্দগ্রামের মেয়ে আফরিনা
বিশ্বে এ যাবতকালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ৪০ জন বিজ্ঞানীর সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা গ্র্যাজুয়েট খন্দকার আফরিনা হক।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মেয়ে আফরিনা চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও কুমিল্লা মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে।
লিন্ড্যাও নোবেল লরিয়েটের ৭১ তম মিলনমেলায় যোগ দিতে জার্মানিতে যাবেন তিনি। যেখানে ৪০ জন নোবেল বিজয়ীর সাথে সাক্ষাতের পাশাপাশি তিনি রসায়নে বিশ্বের সেরা ৬০০ বিজ্ঞানীর সাথে নিজের গবেষণা অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন।
তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় ব্যাচ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এম ফিল করছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারীরা: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের পৃষ্ঠপোষকতায় নানা যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত কয়েকজনের মধ্যে মাত্র দুইজনকে এবার আমন্ত্রণ জানিয়েছে লিন্ড্যাও নোবেল লরিয়েট কমিটি। তাদেরই একজন খন্দকার আফরিনা হক।
এই আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে খন্দকার আফরিনা হক বলেন, ‘এতো বড় কোনো সুযোগ পাবো সেটা ভাবিনি। এটা স্বপ্নের মতো।যারা রসায়নে নোবেল পেয়েছেন তারা তো পুরো পৃথিবীর সেরাদের সেরা। তাদের সামনে থেকে দেখাই তো ভাগ্যের ব্যাপার। তার মধ্যে আমি আবার তাদের সাথে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাচ্ছি এটা অকল্পনীয়।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে এ যাবতকালে সর্বোচ্চ ফলাফলধারী আফরিনা হক শুরু থেকেই ছিলেন গবেষণামুখী। স্নাতকে ৩.৮৯ এবং স্নাতকোত্তরে ৩.৯২ পেয়ে অসাধারণ ফলাফল করা আফরিনা পূর্বের গবেষণা প্রকাশনা এবং রসায়নে আরও গবেষণার আগ্রহের কারণে এই আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
আফরিনা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শুরু থেকেই পড়াশোনা এবং গবেষণার প্রতি আগ্রহ ছিল। কুবি থেকেই আমার গবেষণার হাতেখড়ি। এখন বুয়েটে আল নকীব চৌধুরী স্যারের অধীনে গবেষণা করছি। তিনিই আমাকে এই ইভেন্টে আবেদন করতে বলেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘স্যার যে আমাকে এটার জন্য যোগ্য ভেবেছেন তাতেই আমি আনন্দিত ছিলাম। শেষ পর্যন্ত লিন্ড্যাও নোবেল লরিয়েট কমিটি থেকে যখন আমন্ত্রণও পেয়ে গেলাম তখন সেটা আমার কাছে কতো বড় ব্যাপার তা শব্দ দিয়ে বোঝানো সম্ভব না।’
লিন্ড্যাও নোবেল লরিয়েট মিটিংয়ের এবারের মিলনমেলায় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আফরিনার মতো এমন তরুণ ও যোগ্য এক হাজার রসায়ন গবেষক যোগদানের সুযোগ পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এই সুযোগ পেতে কী কী মাপকাঠি পূর্ণ করতে হয়েছে জানতে চাইলে আফরিনা বলেন, ‘তারা মূলত দেখেছে একাডেমিক ফলাফল কেমন, গবেষণার দক্ষতা এবং আগ্রহ। আমি এগুলো দিয়েই আবেদন করেছিলাম।’
আফরিনা বলেন, ‘আমি আমার শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারাই আমাকে গড়েছেন আর আমি আমার পরিশ্রম করেছি, পড়াশোনা করেছি। তারই ফলাফল পেলাম।’
আফরিনার এমন সাফল্যে খুশি তার শিক্ষকেরাও। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. সৈয়দুর রহমান বলেন, ‘আফরিনা শুরু থেকেই মেধাবী ও পরিশ্রমী ছিল। গবেষণার প্রতি ঝোঁক ছিল। লিন্ড্যাও নোবেল লরিয়েটে উদীয়মান রসায়নবিদ হিসেবে তার এই আমন্ত্রণ পাওয়ার সংবাদ বিভাগের জন্য খুবই গর্বের। এমন শিক্ষার্থীরাই বিভাগের সম্পদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের তারকা। আমরা তার আরও সাফল্য প্রত্যাশা করি।’
উল্লেখ্য, লিন্ড্যাও নোবেল লরিয়েট মিটিংগুলো শরীরবিদ্যা, চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন এই তিনটি প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কারের বিষয়ে ফোকাস করে হয়ে থাকে৷ প্রতিটি লিন্ড্যাও মিটিং বিভিন্ন সেশন, বক্তৃতা, আলোচনা, মাস্টার ক্লাস, প্যানেল ডিসকাশন এবং নোবেল বিজয়ীদের সাথে তরুণ বিজ্ঞানীদের জ্ঞান, ধারণা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়কে কেন্দ্র করে সাজানো হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে