ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন ম্যাক্রোঁ ও মেরিন লে পেন
নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফ্রান্সের মধ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং চরম ডানপন্থী মেরিন লে পেন রবিবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।বিবিসি জানিয়েছে, ফরাসি ভোটাররা রবিবার ভোটে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফ্রান্সের নেতৃত্ব কে দেবেন তা নির্ধারণ করবেন।
জরিপ বলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রেসিডেন্টের প্রয়োজনীয় ২৮৯টি আসনে জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে ডানপন্থী প্রার্থী মারিন ল পেনের দিক থেকে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে।
২৮৯টি আসনের সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে অবসরের বয়স বাড়ানো, কর কমানো এবং সংস্কার সুবিধাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ম্যাক্রোঁকে অন্যান্য দলের সমর্থন পেতে হবে।
এর আগে প্রথম ধাপে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ম্যাক্রোঁ।
আরও পড়ুন: কাবুলে মন্দিরে বিস্ফোরণে ২ জন নিহত
ফের করোনায় মৃত্যু হার বেড়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
২ বছর আগে
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা-প্যারিস সম্মতিপত্র স্বাক্ষর
প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করায় বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ক সম্মতিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন ইউএনবিকে বলেছেন,‘হ্যাঁ, আমরা করেছি (সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর)। এটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি বিনিময়ের সাথে সম্পর্কিত।’
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সরকারি সফরে ফ্রান্সে যান। এসময় এক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করা, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশই প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তা অনুভবে আহ্বান জানালে, নিজেদের সক্ষমতার ভিত্তিতে একে অপরকে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া একে অন্যকে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমেও সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
দুই দেশই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা স্মরণ করে এবং বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ফ্রান্স সরকার ও জনগণের সমর্থনের কথা স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: প্যারিসের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
এসময় উভয় পক্ষই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করে। দুই দেশই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে সকলের জন্য কল্যাণকর একটি মুক্ত, স্বাধীন, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ কামনা করেন।তারা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার বজায় রাখতে এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সমুদ্র অর্থনীতিতে সহযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে।
জাতিসংঘের কনভেনশন প্রণীত ১৯৮২ সালের সমুদ্র আইন পালনের পাশাপাশি সমুদ্র নিয়ে বিভ্ন্ন বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি, হুমকি বা বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকা প্রভৃতি বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের নিয়ে সৃষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে ঢাকা-প্যারিসের মতবিনিময়
দেশের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা সংকট থেকে সৃষ্ট সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা তুলে ধরে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এই সংকট নিরসনে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় এক বৈঠকে শেখ হাসিনা এই আহ্বান জানান।
এসময় দুই দেশই বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল নিশ্চিত করার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিয়ানমারে তাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
নিজ দেশে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতাকে স্বাগত জানিয়েছে ফ্রান্স।
উভয় দেশই রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশের ওপর সৃষ্ট চাপের কথা উল্লেখ করেছে। বিশেষ করে ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার মানুষদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ নভেম্বর এক সরকারি সফরে ফ্রান্স যান। এসময় দুই দেশই বাংলাদেশের সঙ্গে ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার (এএফডি) দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আটক ৩ রোহিঙ্গা, অস্ত্র জব্দ
এএফড‘র কার্যক্রমের মাধ্যমে এবং বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন কৌশলের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি সমুদ্র অর্থনীতি, জ্বালানি ও পানি খাতে অব্যাহত সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ফ্রান্স।
উভয় পক্ষই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং একটি পানি শোধনাগার স্থাপনের জন্য ক্রেডিট সুবিধা চুক্তি স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছে।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ এ অংশ নেয়ার পর ফ্রান্স এবং বাংলাদেশ ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য তাদের যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ফ্রান্স ‘জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামে’ বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে। দুই দেশই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অধীনে প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়নের জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
ফ্রান্স প্রাসঙ্গিক ফরাসি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও সামরিক পেশাজীবীদের জন্য বিশেষ কোর্স প্রদানে সম্মত হয়েছে।
উভয় দেশই বাংলাদেশে ফরাসি ভাষা এবং ফ্রান্সে বাংলা ভাষার ব্যবহার প্রচারে তাদের আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে।
উভয় পক্ষই নিশ্চিত যে এই সফর ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘কথিত’ আরসা নেতা হাসিমের লাশ উদ্ধার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ খুনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১০
৩ বছর আগে