রায়পুরা
নরসিংদীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নলবাটা গ্রামে সোমবার ভোরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গোবিন্দ সরকার জানান, আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আলাউদ্দিনের সমর্থক এবং সাবেক সদস্য গুলজার সমর্থকদের মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষই গুলি চালায়।
গোবিন্দ সরকার জানান, আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বাঞ্ছারামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানায়, গত ছয় মাসে এই দুই পক্ষ বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
ওসি জানান, পুলিশ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
২ বছর আগে
নরসিংদীতে আসামির হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত
নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায় মঙ্গলবার এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আহত পুলিশরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ রাব্বানী (৩৫) ও কনস্টেবল মো. আল আমিন (৪০)। তারা রায়পুরা থানায় কর্মরত আছেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে পুলিশের একটি দল ডাকাতির মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি স্বপন মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়।
তিনি বলেন, এসময় স্বপন মিয়া তার নিজের ঘরেই অবস্থান করছিলেন। ঘরে ঢুকে স্বপনকে গ্রেপ্তা করতে গেলে তাঁর পরিবারের লোকজনের সাথে আরিফ রাব্বানীর ধস্তাধস্তি হয়। এর এক পর্যায়ে স্বপন ঘরে থাকা দা দিয়ে উপপরিদর্শক আরিফ রাব্বানীর মাথায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন পুলিশ সদস্য আল আমিন।
পরে তাদের দুজনকে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে এসআই রাব্বানীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
ওসি বলেন, আসামি স্বপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বাসহ ৭ জনকে মারধরের অভিযোগ
২ বছর আগে
ইউপি নির্বাচন: নরসিংদীতে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৩
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে তিনজন নৌকা সমর্থক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের মৃত হেকিম মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন (৩০), আব্দুল হক মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (২৬) ও হাজী সিরাজ মিয়ার ছেলে দুলাল (৪৫)। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহত জাহাঙ্গীর ও সালাহউদ্দিনের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং দুলাল মিয়ার লাশ তার বাড়িতে রয়েছে। তিনজনই আওয়ামী লীগ প্রার্থী আশরাফুল হকের সমর্থক বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় আহতদের নরসিংদী সদর ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসীরা জানান, রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল হক ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) রাতুল হাসান জাকিরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নির্বাচনে ভোট শুরু হওয়ার পূর্বেই সকাল ৬টার দিকে এ দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে। এতে ঘটনাস্থলেই গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে পুলিশ প্রশাসন।
রায়পুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, ‘বাঁশগাড়িতে এখন পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের লাশ এলাকায় রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছি।’
নরসিংদী সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হারুন অর-রশিদ বলেন, বাঁশগাড়ীর ঘটনায় এ পর্যন্ত নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে দুজনের লাশ এসেছে।
পড়ুন: দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে
কুষ্টিয়ায় ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের মৃত্যু
৩ বছর আগে