রাশিয়ান হাউস
ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের উদ্যোগে ৮৪ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা
ঢাকার রাশিয়ান হাউস, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৫২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আয়োজকেরা ৫২ জন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নেপথ্য শিল্পী সৈনিকসহ মোট ৮৪ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানান।
রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব তাজ মোহাম্মদ, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক এবং ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম খান অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সবার জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন।
সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস আমাদের উভয় দেশের জন্যই একটি গৌরবের দিন। এই দিনটি আমাদেরকে আমাদের ঐতিহাসিক বিজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ১৯৭১ সালের বিপ্লবের দিনে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এরপর থেকে রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। রাশিয়া বৃহৎ শিল্প ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করেছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে সরকারি সফরের মধ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক সম্পর্কের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাতীয় গণ ঐক্য দিবস পালন করল রাশিয়ানরা
বঙ্গবন্ধুর সফরে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য প্রতিনিধিত্ব, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার বিষয়ে আন্তঃসরকারি চুক্তি সই হয়।
বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে তৎকালীন সোভিয়েত সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সোভিয়েত নৌবাহিনী চট্টগ্রাম বন্দর নিষ্ক্রিয় করে এবং বন্দরটিকে সম্পূর্ণরূপে চালু করে।
সফরকালে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অনুরোধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পূর্ণ সরকারি বৃত্তি নিয়ে রাশিয়ায় পড়তে যায়। পরে তারা দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে সক্রিয় হন। তাদের মধ্যে, ৬০০০ জনেরও বেশি সোভিয়েত ও রাশিয়ান গ্র্যাজুয়েট বর্তমানে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চ পদে কর্মরত ও অধিষ্ঠিত।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধির কারণে রুশ সরকার ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়িয়ে ১২৪ করেছে।
তিনি এই বৃত্তির সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধির জন্য তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে ও আশ্বাস দেন।
ঢাকার রাশিয়ান হাউস রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রাশিয়ান ভাষা কোর্সের প্রচারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অধ্যায়। এই যুদ্ধে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা অসামান্য বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাদের অবদানের জন্য আমরা তাদের নিকট চিরকৃতজ্ঞ।
মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্মান করা আমাদের সবার কর্তব্য। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের গান ও কবিতা পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শেয়ার করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
১ বছর আগে
ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের উদ্যোগে রুশ ঔপন্যাসিক ইভান তুর্গেনেভের ২০৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত
ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের উদ্যোগে রুশ ঔপন্যাসিক, কবি ও নাট্যকার ইভান তুর্গেনেভের ২০৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ইভান তুর্গেনেভের ২০৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের প্রধান মিলনায়তনে একটি রুশ সাহিত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল তুর্গেনেভের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য উপস্থাপনা, বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রুশ ভাষা কোর্সের শিক্ষার্থীরা তার কবিতা থেকে বেশ কয়েকটি আবৃত্তি এবং সাহিত্যকর্ম ‘প্রথম প্রেম’ এর একটি ছোট নাটক উপস্থাপন করেন।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ ইউসুফ তার স্বাগত বক্তব্যে কলেজটিতে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য রাশিয়ান হাউজের পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে আরও অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর শিক্ষাসহ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়ার মানবিক সহায়তা ও অবদানের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
রাশিয়ান হাউসের পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ তার বক্তৃতায় ইভান তুর্গেনেভের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তার জীবন ও সাহিত্যকর্মের বিস্তারিত তথ্য এবং রুশ ও বিশ্ব সাহিত্যে তার মূল্যবান অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের রাশিয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তির সুযোগ পেতে এবং রাশিয়ার সমৃদ্ধ শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে রাশিয়ান হাউসে রাশিয়ান ভাষা কোর্সে ভর্তির জন্য আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় অনুষ্ঠান শেষে সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদপত্র ও স্মারক উপহার প্রদান করা হয়।
পুরো অনুষ্ঠানটি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে উপভোগ করেন এবং রুশ সাহিত্য সম্পর্কে তাদের জ্ঞানকে আলোকিত করার জন্য অন্যান্য বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব যেমন ফিওদর দস্তয়েভস্কি, আলেকজান্ডার পুশকিন, মিখাইল লেরমন্তভসহ অন্যান্যদের নিয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
১ বছর আগে
ঢাকায় ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নে রাশিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী
ঢাকায় রাশিয়ান হাউস, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের সহযোগিতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নে রাশিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আব্দুল কালাম আজাদ তার বক্তৃতায় কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার জন্য বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম এবং এই উচ্চ লক্ষ্যের জন্য আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন।
তিনি স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও কাঠামো তৈরিতে প্রাক্তন ইউএসএসআর (সোভিয়েত ইউনিয়ন) এর জরুরি সহায়তা এবং রাশিয়ার ভূমিকা ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
১ বছর আগে
রাশিয়ায় বৃত্তিপ্রাপ্তদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় বিদায় সভা
রুশ ফেডারেশন সরকার প্রদত্ত বৃত্তিপ্রাপ্ত রুশ ফেডারেশনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ২০২০-২০২১ সালে নির্বাচিত সকল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী বিদায়ী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার রাশিয়ান হাউসে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের পরিচালক ম্যাক্সিম দোব্রোখোতোভ উচ্চ শিক্ষার গন্তব্য হিসেবে রাশিয়াকে বেছে নেয়ার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঠিক সিদ্ধান্তের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা চালু হচ্ছে রাজশাহীতে
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার পরে তারা অবশেষে রাশিয়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে। তাদের সবার জন্য তার শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে সোভিয়েত/রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পাঁচ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি স্নাতক দেশে ও বিদেশে মর্যাদাপূর্ণ এবং ভালো বেতনের চাকরি পেয়েছেন যারা এখন উচ্চ খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।’
এ সময় সভায় বলা হয়, মহামারির করোনা কারণে প্রায় অনেক দিন লকডাউন ছিল।
বৈঠকে বাংলাদেশস্থ রুশ ফেডারেশনের দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর মিসেস একাতেরিনা এ. সেমেনোভা এবং সেকেন্ড সেক্রেটারি মিখাইল ভি. কাত্সুরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
এর মধ্যে রাশিয়ায় অধ্যয়নরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রাশিয়ায় তাদের থাকার বাস্তব অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত প্রক্রিয়া সম্পর্কিত কিছু দিক সম্পর্কেও কথা বলেন।
৩ বছর আগে