একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী
খুলনার একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ছুরিকাঘাত
খুলনায় ২৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নির্বাচন চলাকালে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে খর্নিয়া বাজার থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বে এই ঘটনা ঘটে।
আহত আফরোজা আক্তার মিতা ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
আহত মিতার স্বামী রবিউল আলম বলেন, ভোট গ্রহণ চলাকালীন কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন মিতা। দুপুর ২টার দিকে খর্ণিয়া বাজার পার হয়ে সামনে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার বমি আসলে গাড়ি থেকে নামেন। হঠাৎ মোটরসাইকেলে দু’জনন লোক এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা মিতাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এরপর ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, স্থানীয়রা মিতাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার মাথায় ছয়টি সেলাই দেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: প্রচারণার সময় হঠাৎ হামলায় পিরোজপুরে যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন রবিউল ইসলাম।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজীত অধিকারী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা নৌকার প্রার্থীর ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালিয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে এ ভোট গ্রহণ শুরু হয় চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ২৬১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬৮ জন। ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ১১৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী ২৯৬ জন এবং সাধারণ সদস্য প্রার্থী ৯৫৮ জন।
খুলনা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়ন, বটিয়াঘাটায় তিনটি ইউনিয়ন, ফুলতলার চারটি ইউনিয়ন এবং রূপসা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ওই এলাকাগুলোতে বৈধ অস্ত্রসহ চলাচল ও অস্ত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এছাড়া নির্বাচনী এলাকাগুলোতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গত সোমবার ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক নারী ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনে ইউপি সদস্যের লাশ
খুলনা জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার এম মাজহারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খুলনার ২৫টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় র্যাব ও বিজিবির তিনটি করে মোট ৬ প্লাটুন টহল দিয়েছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ৫-৬ জন পুলিশসহ ১৭ জন আনসার দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলায় তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ তিন-চারটি ইউনিয়ন তদারকির জন্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করেছেন।
৩ বছর আগে