ফতুল্লায়
ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে ২ নারী নিহত, দগ্ধ ১৫
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ফ্ল্যাটে গ্যাসলাইনের ভয়াবহ বিস্ফোরণে দুই নারীর নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত আরও ১৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে ফতুল্লার লালখাঁর মোড়ে মোক্তার মিয়ার পাঁচতলা ভবনে এই বিস্ফোরণে ওই ফ্ল্যাটের পাঁচটি কক্ষসহ পাশের আরও তিনটি বাড়ির দেয়াল চূর্ণ হয়ে গেছে। এঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
নিহতরা হলেন, মায়া রানী (৪০) ও মঙ্গলী রানী (৩৫)। নিহতদের মধ্যে মায়া রানী পাশের সুমির বাড়ির ভাড়াটিয়া আর মঙ্গলী রানী পথচারী।
দগ্ধরা হলেন, মায়া রানীর দুই মেয়ে বৃষ্টি (১৪), সৃস্টি (১০) ও তিন বছরের ছেলে নির্জয়সহ জুমা (২১), রুমা (১২), সোহেল (২৬), তুলশি (৫০) ও দেড় বছরের শিশু বিশালী।
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় বোমা বিস্ফোরণে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে বিকট শব্দে ফ্ল্যাটটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরও তিনটি বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিস্ফোরণে ফ্ল্যাটের পাঁচটি কক্ষ ও পাশের বাসার তিনটি বাড়ির তিনটি কক্ষের দেয়াল উড়ে গেছে। এ ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় মায়া রানী ঘটনাস্থলেই দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে মারা যান।
পুলিশ জানায়, এসময় মায়া রানীর তিন সন্তানসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে, বিস্ফোরণের সময় ওই বাড়ির পাশ দিয়ে মঙ্গলী রানী তার মেয়ে পূর্ণিমাকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন বিস্ফোরণের দেয়ালের ইট বালু এসে তাদের ওপর পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলী রানী মারা যান এবং পূর্নীমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, রান্নাঘরের গ্যাস কোনো কক্ষে জমে ছিল। তা থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মোংলায় বসুন্ধরা গ্যাস ফ্যাক্টরিতে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১০সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, দুই নারী নিহত হয়েছে। আট জন ঢাকা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও কয়েকজন আহত হয়েছে তারা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।
বিষয়টি তদন্ত চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
৩ বছর আগে