তৌহিদ হোসেন
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের 'জিরো টলারেন্স' নীতির কথা উল্লেখ করে বৈশ্বিক নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং জাতিসংঘ কনভেনশনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় মানবাধিকারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্বের ওপর জোর দেন, রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার করা নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেন এবং মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশের চলমান সংস্কারের কথা তুলে ধরেন।
কুয়েত সিটিতে 'স্ট্রেংদেনিং ইন্টারন্যাশনাল কাউন্টার-টেরোরিজম কো-অপারেশন অ্যান্ড বিল্ডিং এজাইল বর্ডার সিকিউরিটি মেকানিজম' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দায়িত্বশীল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘এআইকে অবশ্যই মানবাধিকারকে সম্মান করতে হবে এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।’
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলোকে তাদের দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানান তৌহিদ হোসেন।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বহুপাক্ষিকতার সারমর্ম তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সত্যিকারের নিরাপত্তা তখনই অর্জিত হয় যখন প্রতিটি সমাজ সুরক্ষিত থাকে।
তিনি আরও বলেন, 'আজকের আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে প্রতিটি সমাজ নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সমাজই সত্যিকার অর্থে নিরাপদ নয়।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও সীমান্ত সুরক্ষায় সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ২০১৮ সালে চালু হওয়া একটি উদ্যোগ ‘দুশানবে প্রসেস’-এর চতুর্থ পুনরাবৃত্তি এই উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনটি।
এই সম্মেলনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি প্রথমবারের মতো ‘দুশানবে প্রসেস’-এর সুযোগ ও প্রভাব মধ্য এশিয়ার বাইরেও প্রসারিত করেছে এবং জাতিসংঘের গ্লোবাল কাউন্টার-টেরোরিজম স্ট্র্যাটেজির বাস্তবায়ন জোরদার করার প্রচেষ্টার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
২ সপ্তাহ আগে
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আয় ক্রমবর্ধমান পর্যায়ে থাকায় বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি শিক্ষার্থী ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের পরামর্শ দেন।
তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশ কোনোভাবেই অনিয়মিত অভিবাসন সমর্থন করে না এবং অস্ট্রেলিয়ায় অনিয়মিত নাগরিকদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি পারস্পরিক অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
প্রশাসনে গুণগত পরিবর্তন আনতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করেন এবং সেই চেতনার আলোকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তৌহিদ হোসেন।
এসময় সাম্প্রতিক অস্থিরতায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে শোক প্রকাশ করেন অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার।
এছাড়াও ঢাকাস্থ বিদেশি মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার ভূমিকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
নার্দিয়া দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে ২০২৪ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি ওংয়ের বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন।
অস্ট্রেলিয়া সব বাংলাদেশির জন্য একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা।
তৌহিদ হোসেন এই সংকটের কারণে এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা উদ্বেগের ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন। প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে দীর্ঘায়িত সংকটের এই চূড়ান্ত সমাধানের লক্ষ্যে মিয়ানমারের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তায় জোর দেন।
২ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা আটক
চুয়াডাঙ্গায় এক ভুয়া পুলিশকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকালে এক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা প্রমাণে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় তাকে আটক করা হয়।
আটক তৌহিদ হোসেন জেলা সদরের গাইদঘাট গ্রামের মিল্লান হোসেনের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, তৌহিদ একজন মহাপ্রতারক। তিনি সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশ হিসেবেই পরিচিত। আবার পুলিশের কাছে পরিচিত দুদক কিংবা এনএসআই কর্মচারী হিসেবে। এগুলো প্রমাণে তিনি আবার সেসব বাহিনীর পোশাক পড়ে ছবি তুলে ফেসবুকেও শেয়ার করেন। এরকম বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য সেজে মূলত টাকা হাতিয়ে নেয়াই তার মূল কাজ।
ওসি বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, তৌহিদের বিরুদ্ধে এক নারী প্রতারণা অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে অশ্লীল ছবি ধারণকারী প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য আটক
৯৯৯ এ ফোন, প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্য আটক
৩ বছর আগে