গলাকেটে
সাতক্ষীরায় গলাকেটে দাদিকে হত্যার অভিযোগ, নাতি আটক
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নে দাদি সখিনা খাতুনকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নাতি হানিফ জোয়ার্দারের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) নিজ বাড়িতে ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিহতের লাশ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন নাতিকে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিদ্যুতায়িত-পুকুরে ডুবে ২ জনের মৃত্যু
নিহত সখিনা খাতুন (৭০) তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শালিখা গুচ্ছগ্রামের মৃত কাওছার জোয়ার্দারের স্ত্রী।
আর সন্দেহভাজন হত্যাকারী হানিফ নিহত সখিনা খাতুন’র ছেলে মশিয়ার রহমান জোয়ার্দারের ছেলে হানিফ জোয়ার্দার (২৩)।
তিনি শালিখা ডিগ্রি কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দাদির সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে হানিফ তার দাদিকে গলাকেটে হত্যা করেন। এ সময় বাড়িতে হানিফ ও তার দাদি ছাড়া আর কেউ ছিল না।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মো. ফারুক হোসেন বলেন, লাশ থানায় আনা হয়েছে। হানিফকেও আটক করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: শনিবার কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সমাবেশ নিষিদ্ধ: ডিএমপি
২ সপ্তাহ আগে
ফতুল্লায় মেহমান হয়ে এসে কবিরাজকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ
ফতুল্লায় এক কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত কবিরাজের নাম আল আমিন ভাণ্ডারি (৪৮)। তিনি পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ পুকুরিয়ার হারুনুর রশীদের ছেলে।
নিহত আল আমিন ভান্ডারি তৃতীয় স্ত্রী ও প্রথম স্ত্রীর এক ছেলেকে নিয়ে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার মৃত তৈয়ুবআলী মেম্বারের বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন।
নিহতের ভাই আলিম শেখ জানান, তার বড় ভাই নিহত আল আমিন ভাণ্ডারি কবিরাজি করলেও এক সময় জাহাজে বাবূ্র্চি হিসেবে কাজ করতেন। তিন বছর আগে তিনি জাহাজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে নোয়াখালী তার শ্বশুড় বাড়ি এলাকায় বসবাস করতে শুরু করেন। দেড় বছর আগে তিনি ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলারমাঠ এলাকায় এসে বসবাসের পাশাপাশি কবিরাজি শুরু করেন। জাহাজে চাকরির সময়ে একই জাহাজে কর্মরত হাফেজ মাস্টার নামে একজনের সঙ্গে তার ভাইয়ের পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে হাফেজ মাস্টার প্রায় সময় তার ভাইয়ের কাছে আসতেন এবং রাতে থাকতেন।
আরও পড়ুন: বাবুগঞ্জে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা!
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হাফেজ মাস্টার তার ভাইয়ের কাছে আসেন। সঙ্গে একটি কালো ব্যাগও ছিল। তখন তার ভাই আল আমিন ভাণ্ডারি স্ত্রী ও ছেলেকে পাশের রুমে ঘুমানোর জন্য বলেন। ভোর ৪টার দিকে আল আমিন ভাণ্ডারি তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ভাত ও সেমাই রান্না করে নিয়ে আসতে বলেন। রান্না করা ভাত ও সেমাই খেয়ে আল আমিন ভাণ্ডারি নিজ রুমের দরজা লাগিয়ে হাফেজ মাস্টারকে নিয়ে শুয়ে পড়েন। সকাল ৮টার দিকে আল আমিনের স্ত্রী দরজা খোলা দেখতে পেয়ে উঁকি মেরে দেখেন নিহতের রক্তাক্ত দেহ খাটের উপর পড়ে রয়েছে। তার ভাইয়ের সঙ্গে থাকা হাফেজ মাস্টার ৪টার পরে কোনো এক সময় তার ভাইকে গলাকেটে পালিয়ে গেছেন। হাফেজ মাস্টার সঙ্গে করে নিয়ে গেছে তার ভাইয়ের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম জানান, নিহতের পূর্ব পরিচিত হাফেজ মাস্টার রাত ১০টার দিকে বাসায় আসেন। পরে রাত ১টার দিকে তাকে নিয়ে নিহতের শ্বাশুড়িকে গ্রামের বাড়ি নেয়াখালীতে যাওয়ার জন্য পঞ্চবটী বাসট্যান্ড থেকে বাসে তুলে দেন। সেখান থেকে তারা নদীর ঘাটে যান। পরে রাত ৩টার দিকে বাসায় এসে স্ত্রীকে বলেন তিনি অসুস্থবোধ করছেন এবং মাথা ঝিমুনি দিচ্ছে। তিনি ভাত খেয়ে মেহমান হাফিজের জন্য খাবার নিজ রুমে স্ত্রীকে দিয়ে আসতে বলেন। স্ত্রী খাবার দিয়ে এসে দরজার বাইরে সিঁড়িতে বসে থাকলে তাকে গালমন্দ করে শালিকার ঘরে পাঠিয়ে দেন। পরে তিনি দরজা লাগিয়ে দেন। আল আমিন ভাণ্ডারির তৃতীয় স্ত্রী রোকসানা। গত রমজান ঈদের পর রোকসানাকে বিয়ে করেন আল আমিন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) নূরে আযম মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত খুনিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
গাজীপুরে যুবককে গলাকেটে হত্যা
গাজীপুর মহানগরের নাওজোড় এলাকায় শুক্রবার রাতে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
নিহত মেহেদী হাসান তুহিন সিটি করপোরেশনের মজলিশপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি কোনাবাড়িতে একটি মোবাইল কোম্পানির শো-রুমে বিক্রয় কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়,শুক্রবার সন্ধ্যায় কোনাবাড়ির মোবাইল শো-রুম থেকে বের হন তুহিন। এরপর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে নাওজোড় এলাকায় স্থানীয় কটজ অ্যাপারেল কারখানার সামনে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে তার গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মালেক খসরু খান জানান, নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মামলা দায়ের সহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দুই কারখানায় আগুন
পিকআপ ভ্যানের চাপায় গাজীপুরে ৩ পথচারী নিহত
গাজীপুরে কেমিকেল কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয় ইউনিট
৩ বছর আগে