ব্যালট পেপার
ব্যালট পেপার ও বাক্স রক্ষায় প্রয়োজনে গুলি করবে পুলিশ: ফেনীর এসপি
ব্যালেট বক্স ও পেপার রক্ষায় গুলি করার নির্দেশনা রয়েছে মন্তব্য করেছেন ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান। তিনি বলেন যদি কোন দুষ্কৃতিকারী ব্যালট ও ভোটের সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তার উপর গুলি চালানোর নির্দেশনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আপনারা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার(২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞা বাজারের জিরো পয়েন্টে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ভোটারদের উদ্বুদ্ধকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ভোট নিয়ে বিভিন্ন মহল গুজব ও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। একারণে এবারের ভোটে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার সকালে পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পাঁচটি বাহিনী মাঠে কাজ করবে। এবার ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি কেন্দ্রে এসে সকলে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ২০৭৭৩ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে: ইসি
এ সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফেনী জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ফেনী-৩ আসনে এবার ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তারা যেন আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আমরা এই উদ্বুদ্ধকরণ সভা করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদরা থাকবে তাঁরা ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা দেবে।
ফেনী জেলা তথ্য অফিসার রাশেদুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা, দাগনভুঞা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম।আরও পড়ুন: নড়াইল-২ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আ. লীগ নেতা লিটু
১০ মাস আগে
আগামী নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নেওয়া হয়নি: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নেওয়া হয়নি। এটা নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বা ব্যালট পেপার নির্বাচনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নয় উল্লেখ করে সিইসি বলেন, প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ।
তিনি আরও বলেন, ‘সব দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কমিশনের। সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’
আরও পড়ুন: সংলাপে নয়, অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিএনপিকে আমন্ত্রণ: সিইসি
সিইসি বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা।
'ব্যালটের চেয়ে ইভিএম বেশি নিরাপদ' উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপি বন্ধ করা সহজ। কিন্তু ব্যালট বা ইভিএম দিয়ে শতভাগ সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়।
আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং আগাম নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে: সিইসি
১ বছর আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারে হবে: ইসি সচিব
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন(ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সোমবার ইসি সচিবালয়ে নির্বাচন কমিশনারদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৩০০ আসনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে।
ইসি সচিব বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ও প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাবে তারা ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২৩ আগস্ট পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ১৫০টি আসনে ঐতিহ্যবাহী ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি। যা সম্ভাব্য আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অর্থ ছাড়ের ওপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ভাগ্য ঝুলছে: ইসি সচিব
এরপর ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০টির মধ্যে ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংগ্রহের জন্য আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিএনপি এবং তার মিত্ররা, যারা জুলাই মাস জুড়ে চলা সিইসির সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেয়নি।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কারণ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহারের দাবি তাদের।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি সরকার বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণ দেখিয়ে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম m1348 Hrs 13achines (EVMs) কেনার বিষয়টি এগিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভিএম কেনার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি: ইসি সচিব
১ বছর আগে
নির্বাচনের দু’দিন পর কেন্দ্র থেকে বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দু’দিন পর সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন প্রার্থীর এক বস্তা ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ইউনিয়নের পার কোদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার করে পুলিশ।
এছাড়া বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন ওই কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের দিন ফল ঘোষণার পর দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রিজাইডিং অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ভীত হয়ে সবাই দ্রুত কেন্দ্র ত্যাগ করায় একটি ব্যালটের বস্তা খোয়া যায়। এ ব্যাপারে ওইদিন রাতেই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চান্দাইকোনা ইউপি’র পার কোদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শনিবার দুপুরের দিকে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বস্তাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ার একদিন পরে চাঁদপুরে ইউপি সদস্যের মৃত্যু
সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছে: বিএনপি
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ৬
৩ বছর আগে