মাওলানা ভাসানী
মাওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার
দেশব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় বুধবার মাওলানা ভাসানীর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে। ‘মজলুম জননেতা’ (দরিদ্রদের নেতা) নামে পরিচিত এই জনপ্রিয় নেতা ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এছাড়া টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে। যেখানে এই মহান নেতাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ভাসানীকন্যার অবস্থান কর্মসূচি
বিএনপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী), গণসংহতি আন্দোলন, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভাসানী ফাউন্ডেশন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মহান নেতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা করবেন।
বুধবার সকাল ১০টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল টাঙ্গাইলে ভাসানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভার আয়োজন করবে দলটি।
এ উপলক্ষে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে মাওলানা ভাসানীর ভূমিকার কথা স্মরণ করে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
এদিকে ভাসানীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গঙ্গা নদীর পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে তিনি ১৯৭৬ সালে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন যা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ হয়। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) নামে একটি প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনও গঠন করেছিলেন।
৩ বছর আগে