সতীন
ছোট সতীনের হাতে বড় সতীন খুন!
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ছলিমপুর এলাকায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ছোট সতীনের হাতে বড় সতীন খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত শাহনাজ বেগম (৩০) ও অভিযুক্ত সুলতানার (২৭) স্বামী মোহাম্মদ আজিম। তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৬ বারখাইন ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানায়, জুমার নামাজের সময় ছলিমপুর কালুশাহ মাজার সংলগ্ন বক্ষব্যাধি হাসপাতাল কলোনীর দ্বিতীয় তলায় চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে গেলে দেখতে পায় বাসার ছাদে আজিমের বড় স্ত্রীর জবাই করা রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে নিজ ঘরে। এর আগে দুই সতীনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ধারালো বটি দিয়ে শাহনাজকে হত্যা করে ছোট সতীন সুলতানা। পরে এলাকাবাসী সুলতানাকে আটক করে পুলিশে তুলে দেয়।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) তৌহিদুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং নিহত নারীর ছোট সতীনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ সিএমপির
চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বোমা হামলার মাস্টাররমাইন্ড গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
ইউপি নির্বাচনে দুই সতীন মুখোমুখি, বিপাকে স্বামী
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এক ব্যক্তির দুই স্ত্রী পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় চমক সৃষ্টি হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। স্বামী এক স্ত্রীকে সমর্থন দিলেও অপর স্ত্রী প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করায় ঘরের লড়াই এবার নেমে এসেছে ময়দানে। ফলে ওই এলাকার ভোটাররা উৎসুখ হয়ে আছেন দুই সতীনের ভোটের ফলাফল নিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ওই এলাকার চন্দ্রখানা বুদারবান্নি গ্রামের ফজলু কসাইয়ের দুই স্ত্রী আঙ্গুর বেগম ও জাহানারা বেগম। স্বামী ফজলু কসাই আঙ্গুর বেগমের পক্ষ নিলেও তার অপর স্ত্রী জাহানারা বেগম ভোটযুদ্ধ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করতে রাজী নয়।
ফজলু কসাই জানান, আমার তিন স্ত্রীর মধ্যে আঙ্গুর বেগম প্রথম স্ত্রী, নাজমা বেগম দ্বিতীয় স্ত্রী ও জাহানারা বেগম তৃতীয় স্ত্রী। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী আমার সাথে রয়েছে। তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগমকে আলাদা বাড়ি করে দিয়েছি। সেখানেই অবস্থান করছে সে। এবারের নির্বাচনে পাড়া-প্রতিবেশি ও আত্মীয়-স্বজনদের সমর্থনে প্রথম স্ত্রী আঙ্গুর বেগম সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কিন্তু আমার তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগম আমাদের বাঁধা-নিষেধ সত্ত্বেও একাই নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ৬
এ ব্যাপারে জাহানারা বেগম বলেন, ‘২০১৭ সালে আমি স্বামীর সমর্থনে প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। সেবার আমি দ্বিতীয় হয়েছিলাম। আমার জনপ্রিয়তার ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার সতীন আঙ্গুর বেগম স্বামীকে ফুসলিয়ে প্রার্থী হয়েছে। নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতে আমাকে চাপ দেয়া হচ্ছে। তাতে আমি ভীত নই। জনগণ আমার সাথে রয়েছে। আমিই শেষ হাসি হাসবো।’
গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) প্রতীক বরাদ্দে আঙ্গুর বেগম পেয়েছেন কলম আর জাহানারা বেগম পেয়েছেন তালগাছ। এছাড়াও তাদের সাথে আরও পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউপি নির্বাচনের ভোট ২৩ ডিসেম্বর
স্থানীয়রা জানান, তৃতীয় বিয়ের পর এমনিতে ফজলু কসাইয়ের পরিবারে অশান্তি নেমে এসেছে। এখন দুই সতীন পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিপাকে পরেছেন তিনি। সংসারে বেড়েছে ঝগড়া-বিবাদ। অনেক বুঝিয়েও জাহানারা বেগমের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা যায়নি। এখন দুই সতীন পুরো ফুলবাড়ী উপজেলায় নির্বাচনে আলোচনা-সমালোচনার খোরাক হয়েছে।
আগামী ২৮ নভেম্বর এই দুই গৃহবধূ পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এখন অপেক্ষার পালা ফলাফল কার পক্ষে যায়। কে হাসবে বিজয়ের হাসি।
৩ বছর আগে