নায়িকা দীঘি
সরকারি অনুদানের ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমায় নায়িকা দীঘি
বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার ইমদাদুল হক মিলনের রোমান্টিক উপন্যাস ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র। সরকারি অনুদানে একই শিরোনাম নিয়ে গত ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গেছে সিনেমাটির শ্যুটিং। সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন নায়িকা দীঘি। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ একটি। করোনার প্রাদুর্ভাবে মুষরে পড়া ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিকে পুনরুজ্জীবন দান করার লক্ষ্যেই এই সরকারি অনুদান। সেই সুবাদে সিনেমার ব্যবসায়িক সফলতা নিয়ে বেশ আশাবাদী সিনে বোদ্ধারা। চলুন, নতুন এ সিনেমাটির সম্পর্কে আরও কিছু জেনে নেয়া যাক।
‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমার চিত্রনাট্য
নাবিল আমেরিকায় বেড়ে ওঠা সমৃদ্ধশালী বাঙালি ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হয় মৌয়ের। বাবা-মা ও হবু বর নিয়ে বাবার বন্ধুর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে মৌয়ের পরিচয় হয় শুভর সাথে। শুভ গ্রামের সাদাসিধা ছেলে। পরোপোকারী হিসেবে গ্রাম জুড়ে তার বেশ নামডাক। এই শুভ ও মৌয়ের মাঝে ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে থাকে প্রেমের সম্পর্ক। তাদের পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করলে সেই প্রেমের পথটা একদমি নিষ্কন্টক থাকে না।
এরকমই প্রেমের গল্প বেধেছেন ইমদাদুল হক মিলন তাঁর উপন্যাসটিতে। আর এই প্রেমকাহিনীটিই উপজীব্য করা হয়েছে ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ চলচ্চিত্রে।
আরও পড়ুন: মাধবন ও সুর্ভিন চাওলা অভিনীত নেটফ্লিক্স ওয়েব সিরিজ ‘ডিকাপল্ড’
‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ নির্মাণের কথা
‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমার শ্যুটিং-এর কাজ নিরবচ্ছিন্ন ভাবে এগিয়ে চলছে ঢালিউডের বর্ষীয়ান পরিচালক আব্দুস সামাদ খোকন-এর নির্দেশনায়। তিনি ‘ঝিনুক মালা’ (১৯৮৫), ‘মাটির পুতুল’ (১৯৮১)-এর মাধ্যমে দর্শকপ্রিয়তার পাশাপাশি সিনেমা পাড়ায়ও বেশ সুনাম অর্জন করেন। এরপর বাংলার কিংবদন্তির ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের ছোট গল্প ‘কাশিনাথ’ অবলম্বনের নির্মিত ১৯৮২ সালের ‘বড় বাড়ির মেয়ে’ চলচ্চিত্রটি সব শ্রেণীর দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। ছবিগুলোর পল্লী নির্ভর গান এখনো মানুষের মুখে মুখে গুঞ্জরিত হয়।
সেই ৮০-এর দশকের মূলধারার সিনেমার নির্দেশক আব্দুস সামাদ খোকন দীঘির বিপরীতে বেশ সময় নিয়েই খুঁজেছেন গ্রাম্য ছেলের চরিত্রে মানানসই একটি মুখ। শিল্পী বাছাই ও সংলাপ রচনার পাশাপাশি ছবিটির গানগুলোও বেশ যত্ন নিয়ে ঠিক করেছেন তিনি। সঙ্গীত পরিচালনায় থাকছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার মিল্টন খন্দকার। রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুল সঙ্গীতের পাশাপাশি থাকছে লালণ ফকীরের গান। মিরপুরের বিভিন্ন স্থানসহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ইতোমধ্যে সিনেমার শ্যুটিং অনেক দূর গড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার হংকংয়ের ‘নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড‘ জিতলো রেহানা মরিয়ম নূর
২ বছর আগে