প্লাস্টিক
সুস্থভাবে বাঁচতে ক্ষতিকর প্লাস্টিক-পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে ক্ষতিকর প্লাস্টিক ও পলিথিনের পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
বুধবার (২০ মার্চ) পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে প্রায় পাঁচ হাজার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ উপহার বিতরণের পর পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করেছে সরকার। বায়ুদূষণে এককভাবে নয় যৌথভাবে কাজ করা হলে আগামী বছর কিছুটা উন্নতি দেখতে পাওয়া যাবে।
ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়ায়।
তিনি আরও বলেন, ঈদ উল ফিতর একটি আনন্দের উৎসব। এই সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা ও রংপুরের কিছু অংশ থেকে ১৫৮ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ
দেশের দুটি প্রধান শহর ঢাকা ও রংপুর থেকে একদিনে প্রায় ১৫৮ কেজি একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছেন পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার (ইএসডিও) পরিচালিত ব্র্যান্ড অডিটের সময় স্বেচ্ছাসেবকরা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্লাস্টিক দূষণকারী শনাক্ত করতে ৩০ সেপ্টেম্বর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং গার্লস গাইড ও বয়েজ স্কাউটদের সঙ্গে ব্র্যান্ড অডিট পরিচালনা করে ইএসডিও।
ব্র্যান্ড অডিট হলো একটি অংশগ্রহণমূলক বিজ্ঞান উদ্যোগের অংশ। যেখানে প্লাস্টিক বর্জ্যে আবিষ্কৃত ব্র্যান্ডগুলোকে গণনা করা হয় এবং রেকর্ড করা হয়; যাতে প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী কোম্পানিগুলোকে চিহ্নিত করা যায়।
২০১৮ সাল থেকে প্লাস্টিকের আবর্জনা দেখা যেতে পারে এমন বিভিন্ন ব্র্যান্ড চিহ্নিত করার প্রয়াসের অংশ হিসেবে ইএসডিও প্রতি বছর এই ব্র্যান্ড অডিট করে।
ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক (বিএফএফপি), প্লাস্টিক দূষণ থেকে মুক্ত ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কাজ করা একটি বৈশ্বিক আন্দোলনের সহযোগিতায় ইএসডিও ষষ্ঠবারের মতো ব্র্যান্ড অডিট পরিচালনা করেছে।
ঢাকায় প্রায় ৮৯ কেজি এবং রংপুরে প্রায় ৬৭ কেজি এককবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকের একক ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন প্রয়োগের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
এ বছর ঢাকা শহরের লালমাটিয়ায় অডিট শুরু হয় এবং আসাদ গেট, আড়ং সার্কেল, সংসদ ভবন, ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ স্কুল, ধানমন্ডি ২৭, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুলে গিয়ে শেষ হয়।
আবার একই দিনে রংপুরে ডিসি মোড়, কাচারি বাজার, ডিসি অফিস, শিখা অফিস, টাউনহল ও সুরভি উদ্যান ব্র্যান্ড অডিট করা হয়।
এতে প্রায় ১০০ স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। ঢাকার ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অডিটে অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল, লালমাটিয়া গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এ ছাড়াও রংপুরের ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অডিটে অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে রংপুর জিলা স্কুল এবং রংপুর গার্লস হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে প্রতিটি স্কুলের গার্লস গাইড ও বয়েজ স্কাউট অন্তর্ভুক্ত ছিল।
স্বেচ্ছাসেবক ও ইএসডিও সদস্যরা নির্বাচিত এলাকা জুড়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছে।
বর্জ্যের মধ্যে ইএসডিও প্রধানত কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে, ইউনিলিভার, মন্ডেলেজ, পারফেটি ভ্যান মেলে, বোম্বে সুইটস, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড, প্রাণ আরএফএল লিমিটেড, স্কয়ার ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, আকিজ গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, এসিআই ফুডস লিমিটেড এবং একমি গ্রুপসহ প্রায় ৭২টি জাতীয় ও বহুজাতিক ব্র্যান্ড উৎপাদনকারী ৬টি আন্তর্জাতিক এবং ১৪টি স্থানীয় মূল কোম্পানিকে চিহ্নিত করেছে।
বিএফএফপি গ্লোবাল ক্যাম্পেইন এই ব্র্যান্ড অডিট টুল তৈরি করেছে, যা প্রাথমিকভাবে জনসচেতনতা বাড়াতে ও প্রযোজকদের একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব থেকে পরিবেশকে কীভাবে রক্ষা করা যায় সে সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করার জন্য পরিচালিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
এবার কক্সবাজার প্লাস্টিক মুক্ত করার ঘোষণা স্পিকারের
সেন্টমার্টিনের পর এবার কক্সবাজার প্লাস্টিক মুক্ত করার উদ্যোগ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের (বিটিবি) আয়োজনে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের এ মেলা ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকের একক ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন প্রয়োগের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনকে প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামীতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকেও প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সরকারের সব পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন করা হবে। এর জন্য আমরা সবাই নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে এর একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, যদি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো পরিবেশ তৈরি করা যায় তবে বিদেশি পর্যটকরা আরও বেশি পরিমাণে আগ্রহী হবে।
স্পিকার বলেন, শ্রীলঙ্কা শুধু পর্যটনের আয়ে চলছে। তাদের মতো করতে পারলে আমাদেরও আয় বাড়বে। এজন্য আমরা ঢাকায় ট্যুরিস্ট বাসের ব্যবস্থা করতে পারি। এতে বিদেশি পর্যটকরা একটি ট্যুরের মাধ্যমে ঢাকা শহরের ঐতিহ্যগুলো দেখতে পারবে। পুরান ঢাকার জন্য একটি রুট, নতুন ঢাকার জন্য একটি রুট, নদী পথেও একটি ট্যুরের আয়োজন করা যেতে পারে। আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য অনেক কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: কৃষকই শেখ হাসিনার উন্নয়নের মূল কারিগর : ডেপুটি স্পিকার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার।
চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালে ২০টি হোটেল রিসোর্ট, অঞ্চলভিত্তিক খাবারের স্টল ৭০টি, ডিস্ট্রিক্ট ব্রান্ডিং এর আওতায় ২৯টি জেলা, ক্রাফট স্যুভিনিউর ২৬টি, এয়ারলাইনস দুইটিসহ বিনোদন পার্ক, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, বিদেশি দূতাবাসসহ ১৬০টিরও অধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পীরগঞ্জ: স্পিকার
প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সরকার প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে 'মাল্টিসেক্টোরাল অ্যাকশন প্লান ফর সাসটেইন্যাবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রয়, মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, এনজিও, বেসরকারি খাত, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত ও তৎসংলগ্ন হোটেল-মোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন আইটেম পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়ে কার্যক্রম চলমান।
আরও পড়ুন: জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ‘ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল’ ব্যবহার হ্রাস করা, ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃচক্রায়ন নিশ্চিতকরা, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, এক্সেন্ডেড প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটি বাস্তবায়নে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলে একসঙ্গে কাজ করলে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সফল হওয়া যাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
আরও পড়ুন: পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস-এর বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন
পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। পুনঃব্যবহার সম্ভব না হলে বর্জন করার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে স্কাউটদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ স্কাউটসের সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড বিতরণ এবং প্লাস্টিক টাইড টার্নার ব্যাজ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন জানান, স্কাউট ও রোভার স্কাউটদের ভালো কাজের স্বীকৃতির স্বীকৃতি হিসেবে ‘প্লাস্টিক টাইড টার্নারস চ্যালেঞ্জ ব্যাজ’ প্রদান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, স্কাউটদের অনুকরণে সবাই প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো ও পুনঃব্যবহার বিষয়ে কাজ করলে দেশে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্কাউটস এই মৌসুমে ৫০ লাখ গাছের চারা রোপণ করার উদ্যোগ নিয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। স্কাউটদের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে। স্কাউট আগামী বছর ১ কোটি চারা রোপণ করবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ রোধ করে ও জলবায়ুর পরিবর্তনের রাশ টেনে ধরতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কমিশনার (সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) কাজী নাজমূল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. শাহ কামাল এবং প্লাস্টিক টাইড টার্নার প্রোগ্রামের সমন্বয়ক জামাল উদ্দিন সিকদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী ২৪১ জনকে সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড দেন। এ ছাড়াও, সারাদেশে প্লাস্টিক দূষণ রোধে কাজ করা ‘প্লাস্টিক টাইড টার্নারস চ্যালেঞ্জ ব্যাজ’ অর্জনকারী ৫ হাজার ৬৪২ জনের মধ্যে ২৪ জনকে ব্যাজ পরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন চায়: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্রিটেনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশে ১৫ বছরে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে ৫ গুণ: বিশ্বব্যাংক
২০০৫ সাল পরবর্তী ১৫ বছরে প্লাস্টিকের ব্যবহার ৫ গুণ বেড়েছে। শুধু ২০২০ সালে বাংলাদেশে ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এসব প্লাস্টিকের মাত্র ৩১ শতাংশ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার তিনগুণ বেড়েছে: বিশ্বব্যাংক
পৌরসভার ডাম্পিং ও পর্যটকদের প্লাস্টিক উচ্ছিস্টের কারণে বন ও জলাভূমিতে দুষণ বাড়ছে বলে জানানো হয়।
প্রতিবছর বঙ্গোপসাগরে ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য পড়ছে।
প্রবন্ধে বলা হয়, প্লাস্টিক দুষণ রোধে আন্তর্জাতিক চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই চুক্তি সই করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সময়ের আগেই প্লাস্টিক দূষণ রোধের ব্যাপারে করণীয় বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জোরালো করার তাগিদ দেয়া হয় প্রবন্ধে।
প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার এবং পর্যটন অনুরাগী ও উদ্যোক্তা অপু নজরুল।
প্লাস্টিক দূষণ রোধে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করা, এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ট্যুর অপারেটরদের সংযুক্ত করা ও সার্কুলার ইকোনমির প্রচলনের ব্যাপারে মত দেন তারা।
সেমিনারে সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটা বন্ধ: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
জীবিকার উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: টিআইবি
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০০২ সালে বাংলাদেশে পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ হলেও ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’- এ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ও লেমিনেটেড প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ না হওয়ায় ফলে ‘প্লাস্টিক দূষণ’ অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে প্লাস্টিকের বেআইনি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার রোধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ৬ (ক) ধারা সংশোধন, দূষণ-কর আরোপ এবং প্লাস্টিক দূষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের জবাবদিহির লক্ষ্যে পরিবেশ আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেটে নেই দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং সুশাসন-ন্যায্যতা বিষয়ক কোনো দিকনির্দেশনা: টিআইবির উদ্বেগ
বৈশ্বিক মোট প্লাস্টিক দূষণের ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ বাংলাদেশে হয়ে থাকে উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন করা হলেও, কার্যকর প্রয়োগের অভাবে প্লাস্টিক থেকে পরিবেশ দূষণ শুধু অব্যাহতই নয় বরং উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধিই পেয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্যসহ ব্যাপকভাবে বর্জ্য ফেলার কারণে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা ও কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশের অন্যতম দূষিত নদীতে পরিণত হয়েছে। প্লাস্টিক দূষণের কারণে আমাদের বাস্তুতন্ত্র ও ভূমির ব্যাপক দূষণ ঘটায় গাছপালা ও অন্যান্য প্রাণীর অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। এ ছাড়া জৈব রাসায়নিক সারে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকায়, তা কৃষিকাজে ব্যবহারের ফলে স্থায়ীভাবে মাটি দূষিত হচ্ছে।’
পরিবেশ দূষণ রোধে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ, এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্স (ইপিআই)-২০২২ এর এই তথ্য উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ‘প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার হ্রাস এবং প্লাস্টিক বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য প্লাস্টিক দূষণসংক্রান্ত বিধিমালা অবিলম্বে প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্ষেত্রসমূহে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ ও সীমিত করাসহ প্লাস্টিকের পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক বিকল্প এবং বায়েডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক উৎপাদনে প্রণোদনা ও উৎসাহ প্রদানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে প্লাস্টিকের বেআইনি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার রোধে দূষণ-কর প্রয়োগসহ আইনের কঠোর প্রয়োগ, প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন সংস্কার করে শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি ও তার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক প্রণীত একটি অ্যাকশন প্ল্যান নীতিগতভাবে গ্রহণের পাশাপাশি জেলা কার্যালয় ও প্রতিষ্ঠানসমূহে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ ব্যবহার বর্জনের যে নির্দেশনা প্রদান করেছে, তা যেন শুধু ‘কাগজে-কলমে’ সীমাবদ্ধ না থাকে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি। একইসঙ্গে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় গৃহীত সকল কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের অর্থবহ সচেতনতা ও কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণ রোধে ব্যবহৃত তহবিলসহ সার্বিকভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি, আইন ভঙ্গকারী এবং প্লাস্টিক দূষণের সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের কার্যকর জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য টিআইবি জোর দাবি জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসা চেয়ারম্যানকে অপসারণের নিন্দা টিআইবি’র
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ডিএসএ বাতিলের দাবি টিআইবি’র
অবৈধ ইটভাটা বন্ধ: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
দেশের বায়ুদূষণ রোধকল্পে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেশের সকল জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখা-১ থেকে পাঠানো চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে দেশের সকল অবৈধ ইটভাটা, বিশেষ করে অধিক ক্ষতিকর ইটভাটাসমূহকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বন্ধ করতে বলা হয়েছে। কোনও লাইসেন্স ছাড়াই নতুন তৈরি ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদার করতে বলা হয়েছে।
যে জেলাগুলোতে বৈধ ইটভাটার চেয়ে অবৈধ ইটভাটা বেশি, সে জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকগণকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ
আজ জারীকৃত অপর এক চিঠিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ জেলার সকল সরকারি অফিসসমূহে এবং উপকূলীয় এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ রোধকল্পে মাসিক সভা ও অংশীজনদের নিয়ে নিয়মিত আলোচনা সভা আয়োজন এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটাসমূহের হালনাগাদ অবস্থা, প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার রোধকল্পে গৃহীত কার্যক্রম এবং পরিবেশ দূষণ সম্পর্কিত এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকগণের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত এসব সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি, পরিবেশের ডিজিসহ ৫ ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
'রিকশা বিন': ঢাকাকে প্লাস্টিক বর্জ্যের ঝুঁকিমুক্ত করতে বিদ্যানন্দের নতুন পদক্ষেপ
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ‘রিকশা বিন’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে, যেখানে রিকশাচালকদের প্লাস্টিক বর্জ্য জমা করার জন্য টাকা দেয়া হবে।
বুধবার ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হযয়েছে, প্রাথমিকভাবে ২০০ রিকশাচালককে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
সংগঠনটি তার পেজে কিছু ছবি পোস্ট করে বলেছে, ‘রিকশা বিনের প্লাস্টিক জমা করে যাচ্ছেন ভাঙ্গারী স্টোরে। বিনিময়ে মিলছে অর্থ। হতে পারে সামান্য। কিন্তু দূর্মূল্যের বাজারের গরীবের কাছে এই এক টাকাই এখন লাখ টাকার সমান।’
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, “প্রতিটি কাজেই খুঁত ধরাটা মানুষের জন্মগত স্বভাব। 'রিকশা বিন' প্রজেক্টেও তার ব্যতিক্রম নয়। খারাপ কাজে ব্যবহার হবে, এমন চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরলে ভালো চিন্তা আসবে কিভাবে? ”
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আপাতত ২০০ রিকশাকে এই প্রজেক্টের আওতায় আনছি। শুরুটা না হয় আমরা করলাম। বাকীটা করতে সকলের সহযোগীতা দরকার।’
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দিন, চাল ও খাদ্য সামগ্রী নিন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ বর্জ্যমুক্ত করতে বিদ্যানন্দের উদ্যোগ
ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার প্রণীত টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা অ্যাকশন প্ল্যান অনুসরণ করে ২০২৬ সালের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
এছাড়াও, ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার ৮০ শতাংশে উন্নীত করা এবং এই সময়ে প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি ৩০ শতাংশে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।সরকার উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। পরিবেশবান্ধব ও জৈব-পচনশীল বস্তুর ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও এ আয়োজিত ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে সহজ শর্তে ঋণ দিবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ২০২১ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। চিকিৎসা বর্জ্য বিধিমালা হালনাগাদকরণের কাজ চলছে। সরকারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ন্যাশনাল ৩আর পলিসির লক্ষ্য হলো উন্মুক্ত জমি, নদী, নালা, খাল এবং সমভূমিতে বর্জ্য নিষ্পত্তি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা এবং উৎসে বর্জ্যের বাধ্যতামূলক পৃথকীকরণের মাধ্যমে বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করা। এছাড়া এর পাশাপাশি পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যগুলোর জন্য একটি বাজার তৈরি করা।
মন্ত্রী বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
জনগণের সহযোগিতায় অদূর ভবিষ্যতে কঠিন বর্জ্য সংক্রান্ত সমস্যার টেকসই সমাধান অর্জন করতে সক্ষম হওয়া সম্ভব বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড ফারহিনা আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিবেশ সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এর প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজা এবং বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা পরিবেশমন্ত্রীর
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক