স্যার এ এফ রহমান হলে
ঢাবির এফ রহমান হলে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের প্রথম বর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রুবেল হোসেন ও আল আমিন হোসেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বুলবুল আহম্মেদ ও রানা হোসেন এবং ফিনান্স বিভাগের মো. ইমদাদুল। তারা সবাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী লালন হোসাইন, মার্কেটিং বিভাগের আরিফুল ইসলাম আরিফ ও আসিফ হোসাইন এবং সঙ্গীত বিভাগের ওয়াজিদ তাওসিফ। অভিযুক্তরা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাজুর কাছের ‘ছোটভাই’ হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি রবিউল ইসলাম নামে একই হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সমালোচনার মুখে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সাজু হলটিতে গেস্টরুম বন্ধের নির্দেশনা দেন। বিষয়টিতে খুশি হয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে আনন্দ প্রকাশ করে পোস্ট করেছিলেন।
তাদের এ পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে হলের প্রথম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীকে গেস্টরুমে ডেকে গালিগালাজ করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীরা। পরে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে আলাদা করে মারধর করা হয় বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, ছাত্রলীগ নেতা লালন হোসাইন ওই শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের নানাভাবে নির্যাতন করেন অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: বিনা প্রয়োজনে ঢাবি ক্যাম্পাসে যেতে মানা
তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা কথা বলতে রাজি হননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত লালন হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, আমাদের হলে গেস্টরুম হয় না। তাদের নির্যাতনের প্রশ্নই আসে না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। অপর অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম আরিফ লালনের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলেন।
এদিকে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাজু জানান, তিনি বিষয়টি জানার পর সবার সাথে বসেছিলেন। যাদের মারধর করা হয়েছে বলা হচ্ছে, তারা কিছুই বলছে না। সামনে যাতে এ রকম ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি বলে ইউএনবিকে জানান। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি। আমাদের হলে গেস্টরুমে যে কোনো ধরনের জামায়েত করার জন্য প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এমন কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। তবুও আমি সংশ্লিষ্ট ব্লকের হাউস টিউটরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন!
ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসিসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
৩ বছর আগে