বুস্টার ডোজ
সারাদেশে করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ দেয়া শুরু
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে টিকার দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ (চতুর্থ ডোজ) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।এসময় আহমেদুল কবীর বলেন, টিকার অ্যান্টিবডি বেশিদিন থাকে না। এজন্য সরকার চতুর্থ ডোজ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।তিনি বলেন, চার কোটি মানুষ ৪র্থ ডোজ নেবার উপযোগী। তবে আপাতত আমরা ৫টি ক্যাটাগরিতে এই টিকা দিব। এক্ষেত্রে আমাদের উদ্দিষ্ট মানুষ আছে ৮০ লাখ মানুষ।তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই পরিক্ষামূলকভাবে ৪৬০ জনকে চতুর্থ ডোজ দেয়া হয়েছে। আর আজ থেকে সারাদেশে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আমাদের প্রায়োরিটি থাকবে সম্মুখসারীর যোদ্ধা, গর্ভবতী মায়েরা আছে।
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিনব্যাপী করোনার টিকাদান কর্মসূচি
তিনি বলেন, আজ অনেকেই টিকা নিয়েছেন, ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে চাই। বাংলাদেশ টিকায় মাইলফলক অর্জন করেছেন, দেশের মানুষ টিকায় আগ্রহী। হাসপাতালে ভর্তি কম, মৃত্যু কম।টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ১৫ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ সাড়ে ১২ কোটি এবং তৃতীয় ডোজ দিয়েছি সাড়ে ছয় কোটি মানুষকে। এখনও আমাদের কাছে এক কোটি ৩৩ লাখ টিকা আছে। মন্ত্রী মহোদয় টিকা ব্যাপারে কনসার্ন আছেন।তিনি বলেন, যেই টিকা আছে, এগুলো শেষ হলে আবারও টিকা আসবে। টিকা নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই। ১৮ বছরের উর্ধে সাড়ে ১১ কোটি মানুষ আছে। পর্যায়ক্রমে আমরা সবাইকেই সেকেন্ড বুস্টার ডোজ (চতুর্থ ডোজ) দিব।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে আবারও ৭ দিনের টিকা ক্যাম্পেইন
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার ক্যাম্পেইন বাড়ল আরও ৩ দিন
১ বছর আগে
নভেম্বরের পর করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
আগামী নভেম্বরের পর থেকে দেশে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের পর করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হবে না। কারণ ওই সময়ে টিকার মেয়াদ থাকবে না। নতুন করে টিকা কেনার সম্ভাবনা কম।’
শামসুল হক বলেন, আগস্ট থেকে ৫ থেকে ১১ বছর বসয়সীদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেয়া বন্ধ হলেও সারাদেশে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম চলমান থাকবে। টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে মানুষের গড়িমসি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এর আগে রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণে মারা যাওয়াদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই টিকা নেয়নি।
তিনি বলেন, টিকা শতভাগ মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও যারা টিকা নিয়েছেন, তারা এক ধরনের সুরক্ষা পেয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ আক্রান্ত হলেও জটিলতা অনেকাংশেই কমে গেছে। এজন্যই সবাইকে দ্রুততম সময়ে টিকার আওতায় আসতে হবে।
পড়ুন: করোনায় মৃতদের ৭০ শতাংশই টিকা নেয়নি: স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ৫৭ কোটি ৬১ লাখ ছাড়াল
২ বছর আগে
মঙ্গলবার খুলনায় ১১ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতার আলোকে করোনার চতুর্থ ঢেউ প্রতিরোধে সারাদেশে বুস্টার ডোজ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগে ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৫শ’জনকে টিকা দেয়া হবে। এবার সবাই ফাইজারের টিকা পাবেন বলে জানা গেছে।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু রবিবার
সূত্র মতে, ১০ জেলা হাসপাতালে প্রত্যেকটিতে ৬ বুথে পাঁচশ’জন করে এই টিকা দেয়া হবে। খুলনা ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রত্যেকটির ছয়টি বুথে ৫০০ জন করে, খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এলাকায় ৩১টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে ২ বুথে, ৫০ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছয়টি বুথে ৫০০ জন করে এবং ৫৭০ ইউনিয়নে, ৯টি করে ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে ৫০০ জন করে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়, সোমবার সকালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টিকা পৌঁছে যাবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্বেচ্ছাসেবীরা টিকা দান কর্মসূচিতে সহায়তা করবেন। জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে কোভিড বুস্টার ডোজ
এ বিষয়ে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. ফেরদৌসী আক্তার জানান, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গায় এখনও টিকা পৌঁছায়নি। সোমবার নাগাদ পৌঁছে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
প্রসঙ্গত,এ পর্যন্ত বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিন হাজার ২৫৪ জনের মৃত্যু এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার ১২৩ জন আক্রান্ত হয়েছে।
২ বছর আগে
বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু আজ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু হয়েছে শনিবার। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত। নির্ধারিত এই সাতদিনে এক কোটির বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজ টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে এই বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ সপ্তাহ আজ থেকে শুরু হচ্ছে। এই সময়ে এক কোটির ওপরে বুস্টার ডোজ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বুস্টার ডোজ নেয়ার উপযুক্ত প্রায় চার কোটি মানুষ আমাদের এখনও অপেক্ষমাণ আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে মোট ১৬ হাজার ১৮১টি টিকা কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। এর মধ্যে স্থায়ী কেন্দ্র ৬২৩টি ও অস্থায়ী কেন্দ্র ১৫ হাজার ৫৫৮টি। বুস্টার ডোজ সপ্তাহ চলাকালে একযোগে ৪৫ হাজার ৫৩৫ জন টিকাদানকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী টিকাদান কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
যেসব অস্থায়ী কেন্দ্রে দুই দিন টিকা দেয়া হবে সেসব কেন্দ্রে টিকা দেয়ার তারিখ স্থানীয় পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা ও মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্যাম্পেইনের আওতায় ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব সকল নাগরিক তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের চারমাস পর বুস্টার ডোজ নেয়া যাবে।
অধিদপ্তর জানায়, সকল টিকাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন প্রদান করা শুরু হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য আপনার টিকা কার্ডটি অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে আসবেন। বুস্টার ডোজের পাশাপাশি কোভিড ভ্যাকসিন দেয়ার স্বাভাবিক কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু আজ
ডব্লিউএইচও থেকে বিনামূল্যে করোনার টিকা পাওয়া দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ
২ বছর আগে
৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের বুস্টার ডোজ দেয়ার আহ্বান সিডিসির
মার্কিন সরকারের উপদেষ্টারা ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বুস্টার ডোজ হিসাবে ফাইজারের টিকা দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) দ্রুত প্যানেলের এই সুপারিশটি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। ঠিক যেমনটা ইতোমধ্যেই ১২ বা তার বেশি বয়সের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
সিডিসি পরিচালক ডা. রোচেল ওয়ালেনস্কি একটি বিবৃতিতে বলেছেন,আশা করা হচ্ছে সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ার এই পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজ ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের সুরক্ষা বাড়িয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৩০ লাখ টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
তিনি আরও বলেন,আমরা জানি এই ভ্যাকসিনগুলো নিরাপদ, এবং আমাদের অবশ্যই সুরক্ষিত শিশুদের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফাইজারের বাচ্চাদের বুস্টার অনুমোদন করেছে, যা তরুণদের দেয়া শেষ ডোজের অন্তত পাঁচ মাস পরে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফাইজারের করোনার পিল ব্যবহারের সুপারিশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
২ বছর আগে
বুস্টার ডোজ নিয়েও করোনা আক্রান্ত বিল গেটস
করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় গেটস বলেছেন, তিনি হালকা লক্ষণ অনুভব করছেন। এবং সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তিনি আইসোলেশনে থাকবেন।
গেটস লিখেছেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ এবং দুর্দান্ত চিকিৎসা সেবা পেয়েছি।’
প্রায় ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদের অধিকারী সিয়াটল-ভিত্তিক বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রাইভেট ফাউন্ডেশন।
মহামারি নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ভ্যাকসিন এবং ওষুধের সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিতে সোচ্চার ছিলেন বিল গেটস।
অক্টোবরে গেটস ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য ওষুধ প্রস্তুতকারক মার্কের অ্যান্টিভাইরাল করোনা পিলের জেনেরিক সংস্করণের প্রাপ্যতার নিশ্চিয়তা বাড়াতে ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করবে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসান করোনা পজিটিভ
২ বছর আগে
দ্বিতীয় ডোজের ৪ মাস পর বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার চার মাস পরেই বুস্টার ডোজ নেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ উদযাপন উপলক্ষ্যে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সফলভাবে টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। করোনাকালীন সময়ে যখন সকল সেবা বন্ধ ছিল, আমরা আমাদের হাসপাতালগুলোতে সকল সেবা কার্যক্রম চালিয়েছি। করোনার পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীদেরও সেবা দিয়েছি। এখন করোনা সংক্রমণ কমে এসেছে, এখনও আমরা একসঙ্গে দুটি সেবাই চালিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: করোনা টিকার পেছনে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ ক্যাম্পেইন হাতে নিয়েছে সরকার। প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ মিলে ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট তিন কোটি ২৫ লাখ মানুষকে করোনা টিকা দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শিশুদের টিকা দেয়া প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। তাদের অনুমোদন পেলে দেশে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেয়া শুরু হবে।
উল্লেখ্য, কৃমি সপ্তাহ শুরু হবে ২০ মার্চ। ৫-১৬ বছর বয়সী শিশুদের এই ক্যাম্পেনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট না দেয়ায় বাংলাদেশকে টিকা দেবে না লিথুয়ানিয়া
২ বছর আগে
বুস্টার ডোজ দেয়া থাকলে ভারতে যেতে লাগবে না করোনা টেস্টের সনদ
বুস্টার ডোজ দেয়া থাকলে এখন থেকে বেনাপোল দিয়ে ভারতে যেতে ৭২ ঘণ্টার করোনা টেস্টের সনদ লাগবে না। শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, যেসব যাত্রী দুই ডোজ টিকা শেষ করে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন তাদের ভারতে যেতে আর ৭২ ঘণ্টার আরটি পিসিআরের করোনা টেস্টের কোনও সনদ লাগবে না। কিন্তু ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে আসার সময় সে দেশ থেকে ৭২ ঘণ্টার করোনা টেস্টের সনদ আনতে হবে।
আরও পড়ুন: গণটিকাদানের মেয়াদ আরও দুইদিন বাড়লো
ভারত ফেরত যাত্রী দেবুল কুমার বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় বুস্টার ডোজ দেয়া থাকলে করোনা টেস্টের সনদ লাগছে না। কিন্তু ফিরে আসার সময় ভারতের ইমিগ্রেশনে আগের মতো ৭২ ঘণ্টার করোনা টেস্টের সনদ দেখাতে হচ্ছে। যদি উভয় দেশে একই নিয়ম চালু হতো তাহলে সাধারণ যাত্রীরা অতিরিক্ত খরচের হাত থেকে রেহাই পেতেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ডা. জাহিদুর রহমান জানান, ভারত থেকে আসার সময় ভারতীয় ও বাংলাদেশি উভয় যাত্রীদের আগের মতো ৭২ ঘণ্টার আরটি পিসিআরের সনদ লাগছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার সকল ডোজই চালু থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব মানুষ টিকার পরিপূর্ণ ডোজ পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব মানুষ বুস্টার ডোজসহ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পরিপূর্ণ টিকা পাবে বলে জানিয়েছন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, টিকার জন্য এখন পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: করোনা রোগীদের ৭০-৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক জানান, টিকা কার্যক্রমে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। দেশের ১০ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছে। ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। পৌনে সাত কোটি দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে। বুস্টার ডোজ পেয়েছে ২৬ লাখ মানুষ।
তিনি জানান, টিকা হাতে আছে ১০ কোটি। মোট টিকা পেয়েছে সাড়ে ২৭ কোটি মানুষ। সবাইকে দেয়ার পরও টিকা থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা টিকা নেন নি তারা টিকা নেন। হাসপাতালে এখন সারা দেশে মিলে আড়াই হাজার রোগী আছে, আর ঢাকায় রয়েছে দেড় হাজার রোগী। টিকা নেয়ার কারণে দেশে মৃত্যুহার কমেছে।
আরও পড়ুন: ভাসমান জনগোষ্ঠীকে দেয়া হবে জনসনের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষায় কার্যকর বুস্টার ডোজ: সিডিসি
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে এবং অসুস্থতার মাত্রা কমাতে টিকার বুস্টার ডোজ কার্যকর বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি)।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সিডিসির করা এ সংক্রান্ত তিনটি গবেষণার ফল প্রকাশ করে বলা হয়- এই তিন গবেষণা থেকে জানা যায়, করোনার বুস্টার ডোজ নেয়া লোকেরা ওমিক্রন থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে।
মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যের করা বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় প্রচলিত টিকাগুলো করোনার অন্যান্য ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কম কার্যকর। তবে, এটিও ঠিক যে দুই ডোজ টিকা ও বুস্টার ডোজ নেয়া লোকেরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভালোভাবে লড়াই করতে পারছে এবয় খুব দ্রুতই তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি পুনরুদ্ধার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু যুক্তরাজ্যে
সিডিসির করা প্রথম গবেষণায় আগস্ট থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি রাজ্যের হাসপাতালে ভর্তি এবং জরুরি ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের ওপর পরিচালিত হয়েছে।
করোনার চিকিৎসা সেবা দেয়া হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগের তথ্যমতে, ওমিক্রন প্রতিরোধে ফাইজার বা মডার্না টিকার তি ডোজের কার্যকারিতা সবচেয়ে ভাল বলে তারা মনে করছে। এই দুই টিকার দুই ডোজ গ্রহণে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৯৪ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া গেলেও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা কমে ৮২ শতাংশে নেমে আসে।
এই গবেষণায় বিশেষজ্ঞেরা শুধু সংক্রমণই নয়, গুরুতর রোগ প্রতিরোধের ওপরও জোর দিয়েছেন। সেই হিসেবে আশাপ্রদ খবর হলো টিকার তৃতীয় ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অন্তত ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা
দ্বিতীয় গবেষণাটি এপ্রিলের শুরু থেকে ডিসেম্বরে বড়দিন পর্যন্ত ২৫টি রাজ্যে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর হারের ওপর করা হয়েছে। এ গবেষণায় দেখা যায়, যখন ডেল্টা খুবই কার্যকর ছিল এবং যখন ওমিক্রন বাড়তে শুরু করে, এই দুই সময়েই যে সমস্ত লোকেরা বুস্টার ডোজ নিয়েছিল, এই টিকা তাদের করোনভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য ওমিক্রন সংক্রমণের ঢেউয়ের মুখোমুখি: বরিস জনসন
সিডিসি এই দুটি নিবন্ধ অনলাইনেও প্রকাশ করে।
সিডিসি গবেষকদের নেতৃত্বে আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল তৃতীয় গবেষণাটি প্রকাশ করেছে। এটি ১০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চার হাজার ৬০০টিরও বেশি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত লোকদের ওপর করা হয়েছে।
এ গবেষণায় দেখা যায়, ফাইজার ও মডার্না টিকার তিনটি ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকা না দেয়া মানুষের তুলনায় প্রায় ৬৭ শতাংশ কার্যকর ছিল। যদিও দুই ডোজ টিকা নেয়ার কয়েক মাস পরে যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে তাদের শরীরে উল্লেখযোগ্য কোনো সুরক্ষা দেখা যায়নি।
গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য সিডিসির এমা অ্যাকরসি বলেছেন, এটি সত্যি যে,একটি বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সিডিসির ডিরেক্টর ডা.রোচেল ওয়ালেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আপনার যদি টিকার বুস্টার ডোজ নেয়ার সময় হয় এবং আপনি এটি না নিয়ে থাকেন তবে আপনি যথেষ্ট সচেতন নন এবং দ্রুত আপনাকে বুস্টার ডোজ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফাইজারের পিল করোনায় মৃত্যু ঝুঁকি কমায় প্রায় ৯০ শতাংশ
২ বছর আগে