ড. এ কে আব্দুল মোমেন
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বক্তব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই,কারণ তারা জনগণের রায়কে সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অহিংস পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটাই যথেষ্ট।’ বাংলাদেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা এতে খুবই খুশি।’
ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় 'মিট অ্যান্ড গ্রিট' অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ আবারও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
মোমেন বলেন, দেশের জনগণ তাদের রায় দিয়েছে এবং তাদের আর কিছুর প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি, ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইসসহ বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল ‘ঢংঢাং’, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন: মোমেন
মোমেন এই অনুষ্ঠানটিকে কেবল একটি স্ট্যান্ডার্ড ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও ভাল অংশীদারিত্ব, আরও ভাল সহযোগিতা এবং আরও ভাল সমন্বয় দেখার জন্য আগ্রহী। এটা আমাদের জন্য অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, সহযোগিতা ও অবদানের কারণে বাংলাদেশ অনেক অর্জন করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র ব্যবস্থার ধারাবাহিকতার প্রতীক। যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবদান রাখতে পারে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও চরমপন্থা নির্মূলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মোমেনের বক্তব্যের পর কূটনীতিকদের মধ্যে দেওয়া এক ব্রিফিং নোটে বলা হয়, 'নতুন সরকারের উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সংহতকরণ ও যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় অভিন্ন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রস্তুত হবে।’
ব্রিফিং নোটে বলা হয়, 'আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সফল হবে, যা নিয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম গর্ববোধ করবে।’
এতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিগত তিন মেয়াদে অর্জিত আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে আরও গতিশীলতা আনার নতুন সুযোগের সূচনা করবে। গণতান্ত্রিক শাসনের অধীনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসব অর্জনে অনেক অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
১১ মাস আগে
বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা করে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে: ড. মোমেন
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে বলেই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন দুঃখজনক। তারা মনে করছে নির্বাচনে এলে তারা ভোট পাবে না। বিএনপি ভুল পথে চলছে। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরীতে নির্বাচনী প্রচারের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন এসব কথা বলেন।
সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সকালে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার চালান।
এরপর তেরো রতন ও গোটাটিকর শিল্প এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন এবং ভোট চান।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের দেশ, বিশ্বের ৩৩তম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমরা এখন আত্মনির্ভরশীল। সব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। বাংলাদেশ আফগানিস্তান নয়, কাজেই দু-একটি দেশের হুমকি-ধমকিতে কোনো লাভ হবে না।
প্রচারের সময় ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমদ সেলিম, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, আফসর আহমদ, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে রাব্বী চৌধুরী মাসুম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. আব্দুল ওয়াহিদ, মো. আবুর কামাল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক সাজেদা পারভীন, সৈয়দা রাবেয়া ইসলাম, সুলতানা বেগম, ওয়ার্ড সভাপতি জাভেদ আহমদ, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হোসেন আহমদ, তারেক আহমদ, সুয়েব আহমদসহ স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে: মোমেন
গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
১১ মাস আগে
গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প কোনো উপায় নেই। কাজেই যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন তারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করেনা। এবারের নির্বাচন জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।’
সোমবার ( ২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় মোমেন বলেন, বিপুল সম্পদ থাকা সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্য প্রক্সিযুদ্ধের কারণে ধ্বংসের মুখে। তাই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্যও শেখ হাসিনা সরকারের দরকার আছে। আমরা এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়তে চাই।
সাংবাদিকরা সামজের দর্পন ও বিবেক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ধীরগতির কারণ অনুসন্ধান করে প্রকাশের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: যারা নির্বাচন বর্জন করছে তাদের নেতৃত্বের গুণাবলীর অভাব রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সেইসঙ্গে হাওরাঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের উপযোগিতা, ইপিজেড অঞ্চলে স্থানীয়দের বিনিয়োগে ও স্থলবন্দরগুলোতে আমদানি-রপ্তানির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের বিষয়গেুলো তুলে ধরারও আহ্বান জানান।
সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সহসাধারণ সম্পাদক রবিকিরণ সিংহ রাজেশের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহসভাপতি আশফাক আহমদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও দৈনিক জনকণ্ঠের ব্যুরো চিফ সালাম মশরুর, সাবেক সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, সিনিয়র সহসভাপতি মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো চিফ সংগ্রাম সিংহ, দৈনিক যুগভেরীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অপূর্ব শর্মা প্রমুখ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমদ সেলিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১১ মাস আগে
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু দেশের জন্য নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনার সরকারের প্রয়োজন আছে। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে অপতৎপরতা চলছে। একটি মহল অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে এ অঞ্চলে প্রক্সি যুদ্ধ করার চক্রান্ত করছে। শেখ হাসিনা থাকলে এটা হবেনা।’
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ইউক্রেনে প্রক্সি যুদ্ধের কারণে ইউরোপের সব দেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সারা ইউরোপ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কাজেই আমাদের দেশের স্থিতিশীলতা কোনভাবেই নষ্ট করা যাবেনা। এজন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেদিকে তরুণ, শিক্ষার্থীদেরকে সজাগ, সাবধান থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইমাদুর হোসেইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন।
সোমবার সকালে সিলেট নগরীর নয়াসড়কে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
এরপর তিনি সকাল সাড়ে ১১ টায় নয়াসড়কের প্রেসবিটারিয়ান চার্চে কেক কাটার মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি-ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি আমাদের সবার। তাই সব শ্রেণি-পেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বড়দিন উদযাপনের আনন্দ মানুষের মধ্যে যেন সত্যিকার মানবতাকে জাগ্রত করে; মহামানব যিশু যে প্রেম, শান্তি ও সম্প্রীতির শিক্ষা প্রচার করেছেন, তার যথার্থ প্রতিফলন যেন সবার জীবনে ঘটে।
ড. মোমেন আরও বলেন, প্রত্যেক ধর্মেরই মূল বাণী মানবতা। বড়দিন উপলক্ষে যে প্রেম, প্রীতি ও শান্তির বাণী প্রচার করা হয় তার মূলে রয়েছে মানবতা। কোনো ধর্মই এ বোধ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বড়দিন মানুষকে শান্তি, প্রেম ও সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। দেশের সকল মানুষ ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে একাত্ম হবে-এ আশা বড়দিনে।
এ সময় প্রেসবিটারিয়ান চার্চের পাস্টার ফিলিপ বিশ্বাস ও ডিকন নিঝুম সাংমা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আগত অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বড়দিনে সমাগত সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামন চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, সহসভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিসিক কাউন্সিলর আব্দুল মোহিত জাবেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
১১ মাস আগে
জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
সিলেট-১ আসনে নৌকার পদপ্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেট নগরীর ১নং ওয়ার্ডে শাহজালাল (র.) মাজারসংলগ্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে তিনি প্রচারাভিযান শুরু করেন।
প্রচারভিযানে ড. মোমেন ভোটারদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করে নৌকার পক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে ভোট চান।
এসময় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নৌকা বাংলার জনগণের আস্থা ও উন্নয়নের প্রতীক। তাই আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে দলে দলে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে সমুন্নত রেখে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌকার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠ রাজনীতি নয়। বিএনপির নেতৃত্বে পরিপক্কতার অভাব রয়েছে বলেই তারা ধ্বংসাত্নক হিংসার রাজনীতি শুরু করেছে।
বিএপির নেতারা শুধু টিভি চ্যানেলের টক শোতে সীমবদ্ধ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের কাছে তাদের কোনো মূল্য নেই। কারণ তারা জনগণের জন্য রাজনীতি করেনা, ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে।
আব্দুল মোমেন একটি অবাধ সুষ্ঠু উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য ভোটারদেরকে নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুর রহমান আলোয়ার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সালমা সুলতানা, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আনোয়ার সাদাত, মহিলা শ্রমিক লীগের সভানেত্রী নাজমা খানম, শফিউল আলম জুয়েল, রুবেল আহমদ, সোহাগ আহমদ ওয়েছ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
আমেরিকা প্রতি ঘণ্টার মজুরি বাড়ালে আমরা সে পথ অবলম্বন করব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চাই। এই অগ্রযাত্রার জন্যই দেশের মান-ইজ্জত অনেক বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেটে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
সিলেট-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোমেন বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং সেই উন্নয়ন নিরবচ্ছিন্ন থাকা দরকার।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই দেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে।
আরও পড়ুন: কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না: যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মন্তব্য সম্পর্কে মোমেন
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বিএনপি একটি ভুল করেছে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিৎ ছিল।
২৮ অক্টোবর থেকে পুলিশ সদস্য হত্যা এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা একটি সুযোগ হারিয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতাও হারিয়েছে।’
বিএনপির নেতৃত্ব ও পরিপক্কতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, রাজনীতি জনগণ ও দেশের কল্যাণের জন্য, তাদের ধ্বংসের জন্য নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে আসবে।
অনেক শিক্ষিত মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে আমরা সর্বত্র যাব।’
মোমেন বলেন, ‘আমি তাদের ভোট দিতে আসার জন্য অনুরোধ করব। আমি তাদেরকে আমাকে ভোট দিতে বলব না… তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন চাই। পৃথিবীকে আমরা আদর্শ দেখাতে চাই।’
সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিফেন লামারকে চিঠি দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের ৮ সদস্য বলেছেন, তারা মনে করেন বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা একটা কাজ করতে পারে। নিউ ইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। যদি তারা বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করতে পারে ও আদর্শ তৈরি করে, তখন আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করব। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
১ বছর আগে
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে মানুষ প্রাণ দিয়েছে গণতন্ত্র আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মানুষের ন্যায্য দাবি অস্বীকার করা হয়। নির্যাতন আর গণহত্যা শুরু হলে সারা বাংলাদেশ ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ড. মোমেন ও ক্লাব সভাপতি আশরাফুজ্জামান খান ক্লাবের মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের ক্রেস্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা দেন।
এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন আশরাফুজ্জামান খান।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন বীর উত্তম মাসরুর-উল-হক সিদ্দিকী, বীর বিক্রম মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, বীর প্রতীক এম হাবিবুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ খান, মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও মুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদ।
সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা ও কবিতা পাঠ করেন।
শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠানসহ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
সিলেটের রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাই: মোমেন
১৯৭১ সালে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে কিসিঞ্জারের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল: মোমেন
১ বছর আগে
আগামীকাল কুয়েত যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে এবং সেখানে প্রাসঙ্গিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) কুয়েত যাচ্ছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমেদ আল সাবাহ ৩ বছরের রাজত্বের পর শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, বোয়িং কেনার মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে, কুয়েতের মন্ত্রিসভা শনিবার কুয়েতের সংবিধানের বিধান অনুযায়ী শেখ মিশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহকে আমির হিসেবে মনোনীত করেছে।
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এক বিশেষ বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
৫২তম বিজয় দিবসে বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা ভারতের
বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর এক বার্তায় বলেছেন, ‘৫২তম বিজয় দিবসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা!’
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী (বন্ধুত্ব) কেবল তার জনগণের স্বার্থেই কাজ করেনি, একটি দৃষ্টান্তও তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
দূতাবাসের এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘শুভ বিজয় দিবস, বাংলাদেশ।’
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, তারা স্বাধীনতা আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণের ‘সাহস ও আত্মত্যাগ’কে অভিবাদন জানায়।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই দিনটি ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধির অনুপ্রেরণা অব্যাহত রাখুক।’
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
ঢাকা-লন্ডন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব অব্যাহত রয়েছে: সারাহ কুক
১ বছর আগে
বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রবণতা ও প্রভাব নিয়ে দোহা ফোরামে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দোহা ফোরামে ' নিয়ারশোরিং অ্যান্ড ফ্রেন্ডশোরিং – চেঞ্জিং প্রায়োরিটিস ইন গ্লোবাল ট্রেড’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) কাতারের দোহায় শুরু হয় এ প্যানেল আলোচনা।
বৈশ্বিক বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা, বাণিজ্য ব্যবস্থার প্রভাব এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের রুটগুলো আবার নির্ধারণের পাশাপাশি লাভের বিষয়ে আলোচনা করেন মোমেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) মালিকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
তিনি কোভিড-১৯ মহামারির সময় ও তার আগে টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের কথাও তুলে ধরেন।
এর আগে তিনি ফোরামের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
দু'দিনব্যাপী এই ফোরামে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের পাশাপাশি নীতি নির্ধারক, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানির আমন্ত্রণে দোহা ফোরামে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২১তম দোহা ফোরামের প্রতিপাদ্য হলো- 'বিল্ডিং শেয়ার্ড ফিউচার'। প্রতি বছর অনুষ্ঠিত এই ফোরামে বৈশ্বিক নীতি নির্ধারক, সরকারি নেতা, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থাগুলো একত্রিত হয়ে ইস্যুভিত্তিক সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মানে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেন মোমেন।
এছাড়া নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: 'দোহা ফোরাম ২০২৩'-এ যোগ দিতে কাতারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সমর্থন অব্যাহত রেখেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে