অন্তঃস্বত্ত্বা
বৈদ্যুতিক শক দিয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী হত্যা দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ফেনী সদরের ফাজিলপুরের অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূ শিরীন আক্তারকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী মো.ইয়াছিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রবিবার ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড.বেগম জেবুন্নেছা এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্র জানায়,পরিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ রাতে বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে শিরীনকে হত্যা করা হয়। ঘটনার দু’দিন পর খুনের অভিযোগ এনে শিরিনের মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে ইয়াছিনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার গ্রেপ্তারের পর ৮ মার্চ অভিযুক্ত ইয়াছিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই আবু তাহের চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ইয়াছিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ১০ নভেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন হয়। এ মামলায় মোট ২১ জন সাক্ষী এবং ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড, বাবাসহ ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
সূত্র আরও জানায়, ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর শেষ হয়। ২০১৯ সালের ৮ মার্চ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে আসামি ইয়াছিন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেন আসামি।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.আলতাফ হোসেন জানান, রায় ঘোষণাকালে আসামি মো.ইয়াছিন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রায়ে তার মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস ছাত্তার জনান, রায়ে আসামির ওপর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা রায়ের কপি নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
অন্যদিকে পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহাম্মদ জানান, আসামি ইয়াছিন নিজেই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর সদর উপজেলার ফাজিলপুর এলাকার মো.ইয়াছিনের সঙ্গে শিরীন আক্তারের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় শিশু হত্যা মামলায় সৎ মায়ের মৃত্যুদণ্ড
নড়াইলে বোনকে হত্যার দায়ে ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
৩ বছর আগে