সৈয়দ মো. সোহেল
কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া খুনের প্রধান আসামি শাহ আলম বুধবার দিবাগত রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এসময় পুলিশের দুই সদস্যও আহত হয়েছেন।
নিহত শাহ আলম সুজানগর বউ বাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি দল সদর উপজেলার চাঁনপুর রত্নবতী গোমতী বেড়িবাঁধ এলাকায় রাত দেড়টার দিকে অভিযান চালায়।
তিনি জানান, এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হন।
পুলিশ জানায়, আলমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
এর আগে সোমবার এই হত্যা মামলার দুই আসামি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২২ নভেম্বর বিকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর সোহেলের ভাই সৈয়দ রুমন কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় পার্শ্ববর্তী ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহালমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা: ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৩ বছর আগে
কুমিল্লায় কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা: ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে নগরের পাথুরিয়াপাড়ার কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যার একদিন পর হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এজহার নামীয় ১১ জনসহ মোট ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজীম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ওই সন্ত্রাসীরা বহু মামলার আসামি বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ সময় গুলিতে কাউন্সিলরের সহযোগী হরিপদও নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, মঙ্গলবার জানাযা শেষে সোহেলের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সৈয়দ মো. সোহেল ২০১২ ও ২০১৭ সালে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কার্যালয়ে ঢুকে কাউন্সিলরসহ দু’জনকে গুলি করে হত্যা
কুমিল্লা ইপিজেডে স্টোররুমের বোর্ড ধসে নারী শ্রমিকের মৃত্যু
৩ বছর আগে