মো. জাহাঙ্গীর আলম
বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে: ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সম্প্রীতি বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধীরা যাতে অংশ নিতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে ইসির কাছে দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনের নেতারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচনে সম্ভাব্য সহিংসতা নিয়ে সংখ্যালঘুদের উদ্বেগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব জবাব দেন, যাদের এ ধরনের আশঙ্কা আছে তারাই তাদের কথা বলতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন জোর দিয়ে বলতে চায় যে তাদের দৃষ্টিতে বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে শান্তিপূর্ণ রয়েছে।’
কমিশন মনে করে এখনো উদ্বেগের কোনো পরিস্থিতি নেই বলে জানান ইসি সচিব।
পরবর্তী সময়ে কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
বৈঠকে সম্প্রীতি বাংলাদেশের নেতারা কমিশনের কাছে চারটি দাবি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
লিখিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ধর্মভিত্তিক অপপ্রচার ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ; আসন্ন নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধীদের অংশগ্রহণ রোধে কার্যকর ভূমিকা নেওয়া; ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঝুঁকিতে থাকা এলাকা চিহ্নিত করা এবং প্রাক-নির্বাচন, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন ওইসব প্রস্তাবের বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে ইসির পক্ষ থেকে কয়েকজন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়।
একই সঙ্গে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে ২০০১ সালের মতো একটি কালো অক্টোবর দেখতে চাই না; যে ভয়াবহতা ও নৃশংসতা আমাদের শুধুমাত্র 1971 ১৯৭১ এর কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা বাংলাদেশ থেকে এই ধরনের নৃশংসতা চিরতরে দূর করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তাদের সরকারে দেখতে চাই না আমরা।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে অপপ্রচার রোধে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুক: ইসি সচিব
আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারে হবে: ইসি সচিব
১ বছর আগে
মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
একটি জমির দখল নেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করায় আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। বাকি তিনজন হচ্ছেন-আলফাজ, হারুনুর রশিদ ও জফলুল হক।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মেয়র জাহাঙ্গীরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রিভিউ আবেদন করবেন আ’লীগের বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর
তিনি জানান, গাজীপুরের সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দখলে থাকা ব্যক্তি আশরাফ উদ্দিন আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। তখন হাইকোর্ট তার জমিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে এবং তাকে ওই জমিতে অবস্থানের ক্ষেত্রে কোন ধরণের ডিস্টার্ব না করার নিষেধাজ্ঞা দেন। ওই নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে গত ২১ জুন মেয়র জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন ওই জমি নিজের দাবি করে ব্যবহারে বাধা দেন। তাই জাহাঙ্গীর আলমসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। আজ শুনানি নিয়ে রুল দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আলোচনা চলছে তাকে মেয়র পদ থেকে অপসারণ করার বিষয়েও।
পড়ুন: মেয়র আইভীর ভাইয়ের মামলায় সাংবাদিক কারাগারে
নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
৩ বছর আগে