স্লো পয়জনিং
জেলে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শরীরে বিষ প্রয়োগ করা (স্লো পয়জনিং) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে শ্রমিক দল আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার এখন উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিলেও সরকার অনুমতি দিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ করবে
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বর্তমানে কোনো অপরাধ না করেই কারাগারে রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মায়া চৌধুরী, হাজী সেলিমের মতো ব্যক্তিরা অপরাধ করেও আইনের নাগালের বাইরে রয়েছেন।’
এসময় মির্জা আব্বাস ‘অবিচারের শিকল’ ভাঙার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে এটা শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদার মুক্তির কথা নয়, এটা সারাদেশের মানুষের স্বাধীনতা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের ভোটাধিকারের স্বাধীনতার কথা।’
আব্বাস আরও বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপার্সন আজ কারাগারে। আমরা তাকে মুক্ত করতে পারিনি। এটাই আমাদের দুর্বলতা। দেশ ও জনগণের স্বার্থে তিনি কখনো আপস করেননি। তিনি যদি এখন আমাদের মাঝে থাকতেন, তাহলে আজ দেশের এই অবস্থা হতো না।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসনে বিরক্ত জনগণ পরিবর্তন চায়: ফখরুল
‘সেলফি’ সরকারকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
১ বছর আগে
খালেদা জিয়াকে হয়ত ‘স্লো পয়জনিং’ করা হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকার সময় হয়ত ধীরগতির বিষক্রিয়ার শিকার হতে পারেন।
বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল। এ সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ১/১১ পালাবদলের সময় একটি চক্রান্তের অংশ হিসাবে, তাকে (খালেদা) মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে রাখা হয়েছিল। প্রায় দুই বছর তাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের এমন পরিত্যক্ত স্যাঁতসেঁতে ভবনে রাখা হয়েছিল, যেখানে সারা ঘরে ইঁদুর ঘুরে বেড়াত।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে পরে কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে ২৫০০ সাংবাদিকের আহ্বান
ফখরুল বলেন, এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন,কারাগারে খালেদা জিয়াকে বিষ দেয়ায় সরকারের হাত থাকবে কিভাবে? আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, তাদের (সরকার) পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ভোটের আগের রাতে ‘ভোট ডাকাতি’ করে ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, গণতন্ত্রপন্থী নেতা-কর্মীদের গুলি করে হত্যা ও পঙ্গু করে, প্রায় ৫০০ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে গুম করে যে সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে,তাদের পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয় দিন পর ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, ক্রিটিক্যাল কার্ডিয়াক, কিডনি, চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন। তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কমে গেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অবশ্য সম্প্রতি বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে প্রথমে কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবি স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে