সাইবেরিয়া
শীতের অতিথি পাখি দেখতে কোথায় যাবেন?
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের পাখিরা তাদের খাবারে সন্ধানে, প্রজনন এবং ছানাদের লালন-পালনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশের খোঁজে হাজার হাজার মাইল উড়ে যায়। বাংলাদেশে অতিথি পাখিরা আসে মূলত উত্তর মেরু, ইউরোপ, সাইবেরিয়াসহ রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল, মঙ্গোলিয়া এবং হিমালয়ের পাদদেশ থেকে। নিজেদের জায়গা থেকে তুলনামূলকভাবে কম শীতল হওয়ায় বাংলাদেশকে বেছে নেয় এই পরিযায়ী পাখিগুলো। এই অতিথি পাখিদের ভীড় করা দেশের কয়েকটি স্থানের তালিকা নিয়েই এবারের ফিচার।
শীতের অতিথি পাখি দেখতে কোথায় যাবেন
ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের এলাকা
ঢাকার ভেতরে অতিথি পাখির দেখা মেলে পিলখানা, মিরপুর চিড়িয়াখানা ও মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের পার্শ্ববর্তী লেকে। তবে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির ভীড় প্রাণ ভরে উপভোগ করতে হলে যেতে হবে ঢাকার নিকটে সাভার উপজেলায় অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হওয়া নয়নাভিরাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে ২০১৪ সালে ঘোষণা করা হয় অতিথি পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কোথায় ভালো পরিবেশে সাঁতার শেখা যায়
সিলেটের হাওড় এলাকায়
হাওড়, নদী ও পাহাড়ের সমৃদ্ধ সিলেটে অতিথি পাখিগুলো খুঁজে পায় পরম আশ্রয়। সিলেট বিভাগজুড়ে বিস্তৃত হাকালুকি হাওড়, মৌলভীবাজারের বাইক্কা বিল, হাইল হাওড় ও পাত্রখোলা লেক, সুনামগঞ্চের টাঙ্গুয়ার হাওড় ও রোয়া বিল-এ প্রতি বছরই মুখরিত হয়ে উঠে অতিথি পাখির কলকাকলিতে।
২ বছর আগে
রাশিয়ায় কয়লা খনি বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৫২
রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার দেশটির জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন সকালে সাইবেরিয়ার লিস্টভ্যাজনায়ার ওই খনিতে মোট ২৮৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। মিথেন গ্যাস বিস্ফোরণ এবং আগুনের কারণে খনিটি বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরে গেলে বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শ্রমিকেরা প্রায় ২৫০ মিটার মাটির নিচেই মারা যান।
এর কয়েক ঘণ্টা পরে উদ্ধারকারীরা প্রথমে ১৪টি লাশ খুঁজে পান। কিন্তু আগুন থেকে মিথেন ও কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস বেড়ে গেলে নিখোঁজ বাকি ৩৮ জনের অনুসন্ধান থামাতে বাধ্য হন তারা। পরবর্তীতে আরও ২৩৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস এবং আরআইএ-নভোস্তি জরুরি উদ্ধার কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম সাইবেরিয়ার কেমেরোভো অঞ্চলের লিস্টভ্যাজনায়া খনিতে আর কোনো জীবিত ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি আঞ্চলিক প্রশাসনের একজন প্রতিনিধিকে উদ্ধৃত করেছে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫২, তারা কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় মারা গেছে।
২০১০ সালের পর রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় খনি দুর্ঘটনা এটি। সে বিস্ফোরণে এই অঞ্চলের রাস্পাদস্কায়া খনিতে বিস্ফোরণে ৯১ জন নিহত হয়েছিল। পরের দিন খনির একটি সরু অংশে আটকে পড়া শ্রমিকদের সন্ধান করতে গিয়ে ছয়জন উদ্ধারকর্মীও মারা যান।
বৃহস্পতিবারের এই দুর্ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন দেশটির স্থানীয় সরকার।
রাশিয়ার সহকারী প্রসিকিউটর জেনারেল দিমিত্রি দেমেশিন সাংবাদিকদের বলেছেন, সম্ভবত একটি স্ফুলিঙ্গের কারণে মিথেন বিস্ফোরণ ও আগুন লেগেছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের সব ধরণের সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসী প্রত্যাশীদের নৌকাডুবি, নিহত ৩১
আগামী মার্চের মধ্যে ইউরোপে করোনায় আরও ৭ লাখ মানুষ মারা যাবে: ডব্লিউএইচও
৩ বছর আগে